বাড়িওয়ালারা যে ব্যাচেলরদের বাসা ভাড়া দিতে চায় না তার পেছনে বেশ কয়েকটা যুক্তি যুক্ত কারন আছে । তার উপর যদি বাড়িওয়ালার যদি একটা অবিবাহিত মেয়ে থাকে তাহলে তো কথাই নেই । কিন্তু আশ্চার্য ভাবে আমাদের বাড়িওয়ালার সুন্দরী একটা মেয়ে থাকা সত্ত্বেও সে আমাদের ঠিকই বাড়ি ভাড়া দিয়ে দিল । অবশ্য এর পেছনে একটা কারন আছে অবশ্য । ফ্যামিলি বাসা এতো টাকা দিয়ে এই সাত তলার উপর বাসা ভাড়া নিতে চায় না খুব একটা ঠ্যাকায় না পড়লে । আর আমাদের বাড়িওালা সম্ভবত সেই ঠ্যাকা ভাড়াটিয়া খুজে পায় নি । এই জন্য আমাদের ভাড়া দিয়েছে ।
আসলে আমরা যে বাসাতে ভারা এসেছি সেটার দুইজন মালিক, দুইভাই । শুনেছি দুইভাইয়ের নাকি মুখ দেখা-দেখি বন্ধ ! বাবার জমির উপর দুইজন মিলে এক সময় বাড়ি করেছিল । দুইজন ভাগ করে নিয়েছে ফ্ল্যাট গুলো ! নিচের বাড়িওয়ালা আমাদের বাড়ি ভাড়া দিতে রাজি না হলেও উপরের জন ঠিকই রাজি হয়ে গেল । বিশেষ করে বাড়ি ভাড়াটা অন্যান্য ফ্ল্যাটের তুলনায় একটু বেশিই ছিল !
এখন ভাড়া যখন দিয়েই ফেলেছে তখন এর সুযোগের সৎ ব্যবহার তো করা উচিৎ ! আমাদের কাছ থেকে এতো টাকা বাড়ি ভাড়া নিবে আর আমরা এমনি এমনি ছেড়ে দিবো ? অবশ্য আমাদেরকে একার দোষ সেই কথা কিছুতেই বলা যাবে না ! মেয়ের নিজেও একটু দোষ আছে !
না, দোষ শব্দটা ব্যবহার করা উচিৎ নয় ! আমার যেমন আগ্রহ আছে ঠিক তেমনি মেয়েটারও আগ্রহ আছে । নয়তো এমন হবে কেন ?
আরে কেবল মেয়েটা কেন বলছি ? বাড়িওয়ালার মেয়ে বলে কথ!
প্রথম সপ্তাহে মেয়েটার সাথে দেখা হয়ে গেল ছাদে । আমি বিকেল হলে ছাদে চলে আসি ! আমার রূম মেট সুমন ছাড়া অবশ্য আর কেউ ছাদে আসে না, তাও কম আসে ! অন্য কারো হাতে আমাদের দুজনের মত সময় নেই কারন ফ্ল্যাটে কেবল আমরা দুজনই ছাত্র বাকীরা সবাই চাকুরীজীবী । আমার হাতে অসম্ভব অবসর তাই ছাদে কাটাই বেশ ভাল সময় ! ছাদেই বসে বই বই পড়ি ! ক্লাসের বই না, গল্পের বই !
প্রথম দিন মেয়েটাকে দেখলাম বিকেল বেলা ছাদে উঠতে । তখন কেউ ছিল না বাসায় ! আমি একাই ছিলাম বলতে গেলে ! আমি ছাদে একটা প্লাস্টিকের চেয়ার পেতে বসে বসে গল্পের বই পড়ছিলাম ! মেয়েটা এল, এদিক ওদিক একটু ঘোরাফেরা করলো তারপর চলে গেল !
মেয়েটার আসা দেখে আমি ছাদে যাওয়া একটু বাড়িয়ে দিলাম । কদিন পরে লক্ষ্য করলাম যে মেয়েটাও ছাদে আসছে । একদিন বিকেল বেলা দাড়িয়ে আছে ছাদের এক কোনায় আমি মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত । মাঝে মাঝে আড় চোখ তাকিয়ে দেখছি । এমন সময় মেয়েটা আমার দিকে এগিয়ে এল । সরাসরি বলল
-কি দেখো এইভাবে ?
খাইছে ! এক মুহর্ত ভাবলাম কি বলবো ! কি বলতে গিয়ে আবার কি না হয় ! উল্টাপাল্ট কিছু বললেন না আবার বাড়ি ছাড়তে হয় ! আমি খুব সহজ কগায় বললাম
-কেন ? কিভাবে দেখছি ?
-আড় চোখে !
-এমন কিছু ব্যবস্থা কর যাতে আর আড় চোখ না দেখতে হয় !
-মানে ?
-মানে......উমউম... মানে তোমার কয়েকটা ছবি তুলতে দাও তাহলে আর আড় চোখে তাকাবো না ! তখন কেবল ফোনের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখবো !
বাড়িওয়ালার মেয়ে আমার দিকে অর্থপূর্ন দৃষ্টিতে তাকালো । তাকানোর ধরন দেখেই আমি বুঝে গেলাম এর সাথে আমার কিছু একটা হতে যাচ্ছে ! মানে আগ্রহী মেয়েদের দিকে তাকালেই ঠিকঠাক বোঝা যায় !
সে বলল
-কেন ? আমি তোমাকে আমার ছবি তুলতে কেন দেব ?
-দেখো, আমি বিশ্বাস করি, উপরওয়ালা সুন্দরকে সৃষ্টিই করেছে দুচোখ ভরে দেখার জন্য !
-আআআচ্ছাআআআআআ !
এমন ভাবে আচ্ছা বলল আমি মনে মনে হাসলাম !
-আমার বাবা জানলে কিভবে তুমি জানো তো ?
-জানবে না !
-এতো নিশ্চিত কিভাবে হচ্ছো ?
-কারন জানলে এতো দিনে জেনে যেত ! আমার ছাদে আসা বন্ধ হত । তোমারও ! আমার হয়তো এই বাড়িতেই থাকা হত না ! সেটা যেহেতু হয় নাই.....
আমি কথাটা শেষ না করে হাসলাম ! মেয়েটাও আর কোন কথা না বলে কেবল হাসলো ! আর সাথে সাথে একটু ছবি তোলার ভঙ্গিতে । যদিও মুখ ফুটে কিছু বলে নাই । তবুও কেন জানি মনে হল মেয়েটা ছবি তোলার একটা নিরব সম্মতি দিল ! প্রথমে একটু দ্বিধা করলেও আমি বেশ কয়েকটা ছবি তুলে ফেললাম আমার মোবাইল দিয়ে !
-আমি এখনও তোমার নাম জানি না !
-আমিও জানি না ! তাতে কি !
-তাও ঠিক ! কাউকে ভাল লাগলেই যে তার নাম জানতে হবে এমন নয় তাই না !
মেয়েটা হাসলো ! তারপর বলল
-ইজি বয় ! সব কিছু এক সাথে পাওয়া যায় না !
-একটা অনুরোধ করবো ?
-কি !
-আসো একটা সেলফি তুলি !
-কেন ?
-আরে ছবি তুলতে দিয়েছে তার মানে পরিস্কারই তুমি আমার প্রতি একটু হলেও ইন্টারেস্টেজ ! তাই না ! আর তুমি তো পরিস্কার বুঝতেই পারছো যে আমি তোমার প্রতি কেমন আগ্রহী !
-হুম ! তোমার চোখ দেখলেই বোঝা যায় ! বড় বেয়াদব চোখ তোমার !
-তাহলে !! প্লিজ !!
মেয়েটা যে সত্যি সত্যি রাজি হয়ে যাবে আমি ভাবতে পারি নি ! সেলফিও তুলে ফেললাম ! তবে একটু দুর থেকেই । সেলফি তোলার জন্য যেমন একদম কাছাকাছি আসতে হয় তেমন কাছে না ।
যাক সমস্যা না, আজকে হয়নি সামনের দিন হবে !
সেলফি টা মোবাইলে দেখতে দেখতে বললাম
-ভাবছি এটা প্রোফাইল পিকচার দেব !
-একদম মেরে ফেলবো ! আমার বাবা একেবারে খুন করে ফেলবে তোমাকে ! সাবধান !
-সত্যি নাকি ?
-একদম ! সাবধান !
ততক্ষনে সন্ধ্যা নেমে গেছে । মেয়েটা সিড়ি ঘরের দিকে রওনা দিল । একেবারে দরজার কাছে গিয়ে ফিরে তাকালো ! তারপর বলল
-বাইদ্যওয়ে আমার নাম নিতু !
-আমি....
নিতু হেসে বলল
-আমি জানি তোমার নাম !
এরপর নিচে নেমে গেল ! এরপর নিতুর সাথে কথা হতে লাগলো প্রতি বিকেলে ! মেয়েটা টুকটাক কথা বলতো ! আমার কাছে গল্পের বই নিতে লাগলো ! নিজের বইও আমাকে দিতে লাগলো ! মোটামোটো নিশ্চিত আর মাস খানের ভেতরেই আমাদের সম্পর্ক টা আরওএকটু বাড়বে ! আর সব থেকে মজার ঘটনা ঘটতে লাগলো যে মেয়েটার সাথে প্রতিদিন সেলফি তুলতে লাগলাম ! আগে নিতু আমার থেকে বেশ দুরুত্ব বজায় রেখেই দাড়াতো ! কিন্তু যতই দিন যেতে লাগলো দুরুত্ব ততই কমতে লাগলো ! কেবল যে আমি সেলফি তুলতাম তা কিন্তু না ! নিতু নিজেও ওর মোবাইলে আমাদের ছবি তুলতো !
সত্যি বলতে কি দিন বেশ ভালই যাচ্ছিলো ! ঠিক তখনই একটা ঘটনা ঘটলো !
আমার রূমমেট হঠাৎই কথার ছলে বলে ফেলল যে বাড়ি ওয়ালার মেয়ের সাথে ওর কিছু চলছে । মেয়েটা নাকি প্রায় সকাল বেলা ছাদে আসে ! আমি তখন ক্যাম্পাসে থাকি ! ওর সাথে কিছু চলছে ! আমার মাথার ভেতরে কেমন যেন করে উঠলো ! তাহলে এতো দিন ঐ নিতু আমাদের দুজনের সাথেই টাংকি মেরেছে । সকালে ওর সাথে আর বিকেলে আমার সাথে !
পরদিন প্রচন্ড মেজাজ খারাপ নিয়ে দেখা করতে গেলাম ওর সাথে । বেশ খারাপ ব্যবহারও করলাম ! বলে দিলাম যে আমার সাথে আর যেন কথা না বলে !
নিতু কেবল অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে রইলো কয়েক মুহুর্ত । তারপর ওর চোখের কোনে আমি অশ্রু দেখতে পেলাম ! আমার কোন কথার কোন জবাব না দিয়েও সিড়ির দিকে দৌড়ে চলে গেল ! আমি আকাশের দিকে তাকিয়ে রইলাম ! মন টা এতো খারাপ হল ! মেয়েটাকে সত্যিই বেশ পছন্দ করতে শুরু করেছিলাম !
দুদিন চলে গেলেও তেমন কিছু হল না ! নিতু গত দুইদিন ছাদে না আসলেও তিন দিনের দিন ঠিকই ছাদে এল তবে আমার কাছে এল না ! ছাদের এক কোনে দাড়িয়ে রইলো মন খারাপ করে ! ওর মন খারাপ দেখে কেন জানি আমার নিজেরও খারাপ লাগল ! আমি আর না দাড়িয়ে ঘরের ভেতরে চলে গেলাম ! আমাদের মাঝে মনে হয় আর কোন ঘটনা নেই ঘটার !
কিন্তু ঘটনা আরও ঘটার বাকি ছিল ! রাতের বেলায় বাড়িওয়ালার হুংকার শুনতে পেলাম !
আমাদের দরজা দিয়ে সোজা ঢুকে চিৎকার করতে লাগলো
-এতো বড় সাহস আমার মেয়ের সাথে সেলফি তোলে ? আমার মেয়ের সাথে !
আমি রুম থেকেই শুনে আমার বুক শুকিয়ে গেল ! ঐ বদ মেয়ে নিশ্চয়ই সব বাবার কাছে গিয়ে বলেছে ।
এসবের মানে কি ! সেলফি তো আর আমি একা তুলি নাই তার মেয়েও তুলছে ! কিন্তু বাড়িওয়ালা তো নিজে আর নিজের মেয়ের দোষ দেখবে না ! আমাকে বানাবে বলির পাঠা ! যদি সাথে করে আবার কয়েকজন কে নিয়ে আসে পেদানী দেওয়ার জন্য ? তখন কি হবে ?
এখন উপায় ?
মেয়েটা ওর বাবাকে আর কি কি বলেছে ?
কে জানে !
ফ্ল্যাটের অন্যান্য বড় ভাইয়েরা এগিয়ে গেল কি হয়েছে জানার জন্য ! আমি একবার ভাবলাম গিয়ে বাড়িওয়ালাকে সরি বলে ফেলি ! একবার ক্ষমা চাইলে নিশ্চয়ই আর কিছু বলবে না ! আমি যখন এই সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না যে আগে থেকেই ক্ষমা চাইবো কি চাইবো না ঠিক তখনই দেখলাম রূমমেট সুমন দৌড়ে চলে গেল দরজা খুলে ! কি হয়েছে দেখার জন্য একটু মুখ বাড়িয়েছি দেখি সুমন বাড়িওয়ালার পায়ে পড়ে বলছে আর বলছে
-আঙ্কেল আমার ভুল হয়েছে । আমাকে মাফ করে দেন ! আর করবো না !
বাড়িওয়ালর পা সে ছাড়বে না কোন ভাবেই না, যতক্ষন না সে তাকে ক্ষমা না করে । আমার বুকের উপর থেকে কত বড় পাথর নেমে গেল ! যাক এইবারের মত ঝড়টা সুমনের উপর দিয়েই গেছে । যাক আমি তো বেচে গেলাম !
বাড়িওয়ালা বলল ঠিক আছে তবে তাকে তার মেয়ের সব ছবি মুছে ফেলতে হবে আর সুমনকে বাসা ছেড়ে দিতে হবে !
সবাই তাতেই রাজি !
কিন্ত ছবি মুছবে কে ? ফ্ল্যাটের সবাই বয়সে আমাদের থেকে বড় আমি আর সুমনই কেবল সম বয়সী ! বড়রা মোবাইল হাতে ছবি মুছলে কেমন লাগবে ! আর বাড়িওয়ালা নিজেও ছবি দেখবে এটাও একটু অস্বস্থির ব্যাপার তার জন্য ! এক বড় ভাই বলল আমি যেন ওর মোবাইল থেকে ছবি গুলো মুছে দেই । তাই করতে লাগলাম !
ছবি একের পর পর উল্টাতে লাগলাম গ্যালারি থেকে । হঠাৎই সুমনের সাথে একটা মেয়ের সেলফি দেখতে পেলাম । তারপর বেশ কয়েকটা ! ছবি গুলো দেখেই আমার বুকের ভেতরে কেমন করে উঠলো ! আমি কেবল সুমন কে দেখালাম এগুলো কি না !
সুমন বলল হ্যা !
আমি কাঁপা হাতে ছবি গুলো মুছে দিতে লাগলাম ! ছবি গুলোতে যে মেয়েটিকে দেখা যাচ্ছে সে নিতু নয় ! অন্য কেউ !
তাহলে কে ?
তারপরই আস্তে করে সব পরিস্কার হয়ে উঠলো ! আগেই বলেছিলাম যে এই বাসাটার মালিক দুই ভাই ! নীচ তলা বাদ দিয়ে দুতলা থেকে চার তলা মালিক একজন আর পাঁচ থেকে সাত তলার মালিক আরেকজন ! আমাদের বাড়ির মালিকের মেয়েটা সুমনে সাথে সেলফি তুলেছে আর দুইতলার মালিকের মেয়ে আমার সাথে !!
হায় হায় আমি কিই না ভুল করেছি !
কিন্তু এই কথা আমি নিতুকে কিভাবে বলবো ? আর নিতুই বা শুনবে কেন ?
পরদিন বিকেলে নিতু যথারীতি ছাদে এসে হাটাহাটি করতে লাগলো ! মুখ গতদিনের মতই গম্ভীর ! আমি আবারও আগের মত আড়চোখে ওর দিকে তাকাতে লাগলাম ! নিতু নিজেও মনে হল ও খানিকটা বুঝতে পেরেছে যে আমার ভেতরে কিছু একটা পরিবর্তন হয়েছে । কিন্তু নিতু কোন কথা বলল না ! অভিমান ভরা চোখে আমার দিকে তাকিয়ে থেকে নিচে চলে গেল !
এই ভাবে কাটলো কয়েকটা দিন ! নিতু মন খারাপ করে ছাদে আসে । মাঝে মাঝে আমার দিকে তাকায় তারপর চলে যায় !
একদিন নিতুর ছাদের আসার আগেই একটা কাজ করলাম ! সিড়ি ঘরের ছাদের দেওয়া বড় রঙিন কাগজে বড় করে লিখলাম "সরি" । এমন ভাবে কাগজটা আঠা মারলাম যে নিতু যখন ফিরে যাবে তখনই চোখ পড়বে !
ছাদে আসার পরই ও যথরীতি যখন ফিরে যাচ্ছে তখনই ওর চোখটা কাগজের উপর গেল । ওর পা আটকে গেল । বেশ কিছু মুহুর্ত লেখাটার দিকে তাকিয়ে রইলো নিতু ! তারপর আমার দিকে ফিরে তাকালো !
ওর চোখ দেখেই মনে হচ্ছিলো আমি যেমন ওর সাথে কথা বলার জন্য অপেক্ষা করে আছি ঠিক তেমনই নিতুও অপেক্ষা করছে ! নিতু আরও কিছুটা সময় আমার দিকে তাকিয়ে রইলো ! তারপর নিতু মুখটা আরও গম্ভীর করে
কি চাও ?
-অনেক দিন সেলফি তুলি না ?
-শুধু সেলফি ?
-নাআআআআ ! মানে..... আজকের সেলফিটা যেন একটু স্বাভাবিক হয় এই আর কি !
-স্বাভাবিক ?
-না মানে সেলফি তোমার সময় তোমার আর আমার ভেতরকার লম্ব দুরুত্ব স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি থাকে থাকি ১ আজকে ......
-তোমার চোখের সাথে সাথে তোমার মুকখটাও বড় বেয়াদব !
আমি হাসলাম ! নিতু যদিও হাসলো না তবে মোটামুটি বুঝতে পারলাম যে বিপদ কেটে গেছে । আমি পকেট থেকে মোবাইল বের করে একটি স্বাভাবিক ফেলফি তোলার জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করলাম !
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:৩৮