ঘরে ভেতর ঢুকেই দেখি আবেক খান খাটের উপর পা তুলে নির্বিকার ভাবে বসে আছে । টেবিলের উপর প্রজাপতি রহমান আর সোফার উপরে আহমেদ পাশা বসে গম্ভীর মুখে ।
আহমেদ পাশা মুখ দেখে মনে হচ্ছিল এতোক্ষন সে কিছু একটা নিয়ে উত্তেজিত বাক্য বিনিময় করছিল । আমি আর সবুজ যখন রুমের ভিতর ঢুকতে যাচ্ছিলাম তখনই কারো চিৎকারের আওয়াজ শুনতে পাচ্ছিলাম । কন্ঠটা যে আহমেদ পাশারই ছিল সেই বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই ! আমাদের ঘরে ঢুকতে দেখে মনে চুপ করে গেল !
আবেক ভাই আমাদের কে দেখে একটু যেন হাসলেন ! তারপর আহমেদ পাশার দিকে তাকিয়ে বলল
-কোন সমস্যা নেই । এরা সব আপনা লোক !
আবেক ভাইয়ের মুখে আপনা কথা শুনে দেখলাম সবুজের মুখের হাসি বিস্তৃত হয়ে মাইল খানেক হয়ে গেল ! ম্যকাবুল ভাইকে পুলিশ ধরে নিয়ে যাওয়ার পরে আবেক ভাই ছাড়া আমাদের আর কে আছে ! ফেসবুক জগতে বিখ্যাত হওয়ার জন্য তার বিকল্প আর নেই । তার একটু মাত্র প্রমোশনই পারে যে কোন আম-ফেসবুকারকে সেলিব্রেটি করে তুলতে !
কিন্তু আজকের পরিস্থিত একটু ভিন্ন ! গত কায়েক দিক আগে আবেক ভাইয়ের নামে তার সাবেক গার্লফ্রেন্ড বেশ কিছু অভিযোগ তুলেছে ফেসবুকে । কয়েকটা স্ক্রিন শর্টও দিয়েছে । বলা চলে তার এতো দিনে ফেসবুক ক্যারিয়ার এখন হুমকির মুখে । আবেক ভাইয়ের ক্লিন ইমেজ এখন নষ্ট হওয়ার পথে ।
আমার মনে হচ্ছিল যেন আমাদের আসার আগে আহমেদ পাশা আর প্রজাপতি রহমানও এই বিষয় নিয়ে কথা কথা বলছিল ! আমাদের আসা দেখে চুপ করে গেছে ।
প্রজাপতি রহমান বলল
-আমি সেই আগের কথাই বলছি ! আবেকের অনলাইন ক্যারিয়ার দেখে সবাই হিংসান্বিত । এতো সব ঠিক ছিল তাহলে এখন এমন কেন হল ?
আহমেদ পাশা আবেক ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে বলল
-তুই কি এভাবে চুপ করেই থাকবি ?
কথাটা আবেক ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে বলল ! আমি আর সবুজ ততক্ষনে খাটের এক পাশে বসে পরেছি । কিছু গুরুত্বপূর্ন আলোচনা হচ্ছে । এতো বড় বড় ফেসবুক সেলিব্রেটিদের আলোচনার অংশ হতে পেরে নিজেদের খানিকটাও একটু হলেও গুরুত্বপূর্ন মনে হচ্ছে ।
আবেক ভাই আহমেদ পাশার কথার জবাব না দিয়ে প্রজাপতির রহমানের দিকে তাকিয়ে বলল
-তুই কি তাহিরার সাথে কথা বলেছিস ?
তাহিরা হচ্ছে সেই মেয়ে যে আবেক ভাইয়ের নামে দুর্নাম রটানোর চেষ্টা করেছে । আমার ঠিক সহ্যই হয় নি । এতো বড় সাহস ! আমাদের ফুলের মত পবিত্র আবেক ভাইয়ের নামে কথা বলে ।
আমি কিছু বলতে যাবো তার আগেই সবুজ বলে উঠলো
-ভাই, কেবল একবার আপনে বলেন দেখেন শালীর বেটি কি অবস্থা করি ! আমার নিজের কাছে অন্তত ১০০ টা একাউণ্ট আছে । প্রত্যেকটা দিয়ে বেটি কে এমন কথা ইনবক্সে লিখবো বেটি পালানোর পথা খুজে পাবে না !
সবুজের আনুগত্য দেখে আবেক ভাইয়ের মুখে একটু হাসি দেখা দিল । আবেক ভাই বলল
-আরে চিন্তা কর না । এই ভিতরে অনেকেই এই কাজ শুরু করে দিয়েছে । আমি চাই না এসব কিছু হোক । আর আমি মুরিদের নিয়ে তেমন একটা চিন্তিত না !
আহমেদ পাশা বলল
-চিন্তত না ?
-শোন,
কিছু একটা বুঝানোর জন্য মানুষ যেভাবে হাত তোলে আবেক ভাইও আমাদের দিকে তেমন করে হাত তুলল
-আমি যখন ছোট ছোট ছিলাম তখন আমাদের গ্রামে এক পীর ছিল ! তার মুরিদের সংখ্যা নেহত কম ছিল না । একদিন কি হল, তার জারিজুরি সব ফাঁস হয়ে গেলো । পেপারে বড় বড় খবর ছাপা হল ! কিন্তু তার মুরিদ রা কিছুতেই সেইটা বিশ্বাস করে না । তারা তাকে এখনও মুরিদই মানে !আমার ফেসবুক ফলোয়াররাও ঐ মুরিদ টাইপের । যত যাই কিছু হোক না কেন, তারা কিছু বিশ্বাস করবে না !
-তাহলে তুইকি চাস ?
এবার আর কোন প্রকার কোন কথা না বলে আবেক ভাই মুচকি মুচকি হাসলো কেবল ! প্রজাপতি রহমান বলল
-আমরা একটা লাইন ধরে এগুচ্ছি ! প্রথমে প্রমান করতে হবে যে তাহিরা যে স্ক্রীন শর্ট টা দিয়েছে সেটা আসলে অরিজিনাল না ! ফেইক ! এরই ভিতর অনেকই কাজ শুরু করে দিয়েছে । অনেকে সে গুলো শেয়ার দিচ্ছে ! কাজ হবে মনে হচ্ছে !
সবুজ আবারও কথার মাঝখানে বলে উঠলো
-আর ভাই বইলেন না ! মানুষ বারেক ওবামা সাথে বাংলায় ইনবক্সের স্ক্রিন শর্ট দিয়ে দিচ্ছে ! আপনি কেবল একটা বার একটা লাইন লিখে স্টাটাস দিয়ে দেন যে আপনি ওমন কথা বলেন নি । কেউ বিশ্বাস করবে না ঐ মেয়ে কে ! পালিয়ে কুল পাবে না !
আহমেদ পাশা বলল
-আর তাছাড়া আমাদের হাতে সব থেকে বড় হাতিয়ার তো আছেই ! জানিসই মেয়ের পরিবারকে খুব সহজেই ছাগু ট্যাগ দেওয়া যাবে । কোন সমস্যা হবে না ! কি বলিস ! আর অনলাইনে কাউকে একবার ছাগু ট্যাগ দিলেই সকল সমস্যার সমাধান !
প্রজাপতি রহমান আবার বলল
-আমি ওকে পার্সোনালী কনভেন্স করার চেষ্টা করছি । দেখি কাজ হয় নাকি ! না হলে অন্য ব্যবস্থা নিতে হবে !
সবুজ আগ্রহ নিয়ে বলল
-কি ব্যবস্থা নিবেন আন্টি ?
সবুজের কথা শুনে প্রজাপতি রহমান যেন তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠলো
-আন্টি মানে ? আমি তোমার আন্টি হই ? আমার বয়স কত জানো ?
-সরি আপু ! আসলে আমি ছোট তো !
-আন্টি ডাকবা না ! আপু ঠিক আছে !
-জি আপু ! তা কি ব্যবস্থা ?
-আছে ! তোমরা ছোট মানুষ বুঝবা না ! অনলাইনে চলতে গেলে আরও অনেক টেকনিক শিখে নিতে হয় ! আর তাছাড়া অনলাইনের সব বড় বড় ক্লিন ইমেজের লোক গুলো আমাদের সাথে আছে । তারা কেবল আমাদের ইশারার জন্য অপেক্ষা করছে ।
আমি একটু অবাক হয়ে তাকিয়ে তাকিয়ে থাকি প্রজাপতি আন্টি মানে আপুর দিকে । এই অনলাইনে মেয়েদের অধিকার নিয়ে যদি কেউ সব থেকে বেশি সোচ্চার থেকে থাকে তাহলে এই হল সেই মেয়ে । কদিন আগে এমন ভাবেই একটা মেয়ে এক ছোট খাটো সেলেব্রেটির নামে কি যেন বেলছিল এই আপুই তখন সেই মেয়ের পাশে থেকে সেই ছোট সেলেব্রেটির কি নাজেহাল অবস্থা করে দিয়েছিল ।
বলতে গেলে কোথাও কোন নারীর উপর কোন প্রকার অন্যায়ের ধোয়া ধোয়া খবর বেড়ুলেও সবার আগেই এই প্রজাপতি আপু ষ্টাটাস দিতো । ছেলেটার দোষ নাকি মেয়েটার দোষ সেদিকে কোন প্রকার খোজ খবর না নিয়েই মেয়েটার পক্ষে কথা বলা শুরু করে । আর আজকে সব কিছু জেনেও সে একটা মেয়ের ব্যাপার ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা করছে !
আহমেদ পাশা বলল
-আমরা একটা মানব বন্ধন করতে পারি ! ব্যানার নিয়ে শাহবাগে দাড়িয়ে থাকলাম কিছুক্ষন । তারপর সেই ছবি ফেসবুকে দিয়ে দিলাম মনে কর !
কি বলিস !
সবুজ আহমেদ পাশার কথা শেষ করার সাথে সাথে বলল
-আরে পাশা ভাই একদম মনের কথা বলেছেন । আমিও ঠিক এই কথাই চিন্তা করছিলাম ! বড় করে একটা ব্যানার লিখে দিলাম মনে করেন । সাথে একটা লাইণ থাকবে যে জামাত শিবিরের মদদে এই সব হচ্ছে । কি বলেন !
-করা যায় !
প্রজাপতি রহমানও সম্মতি জানালো ! কিন্তু আবেক খান তখনও চুপ ! তার মুখ এখনও হাসি হাসি !
আমি বললাম
-আপনি কেবল আজকে এখনই একটা স্টাটাস দিয়ে দেন যে স্ক্রিন শর্ট গুলো ভুয়া ! তারপর দেখেন কি করি আমরা !
আমাদের সবার মুখের দিকে একবার তাকিয়ে আবেক ভাই বলল
-তোদের কিছু করা লাগবে না ! আমি আজ রাতে স্টাটাস লিখবো । সব ঠিক হয়ে যাবে !
আহমেদ পাশা বলল
-কি লিখবি ?
-তাহিরা যা যা অভিযোগ করেছে সব স্বীকার করবো ! বলব যে স্ক্রীন শর্ট গুলো মিথ্যা না !
ঘরে থাকা প্রতি মানুষের মুখ হা হয়ে গেল । সব থেকে বড় হা হল সবুজের । নিজের কান কে যেন ঠিক মত বিশ্বাস করতে পারছে না !
প্রজাপতি রহমান বলল
-তুই কি পাগল হয়ে গেলি ? তোর অনলাইন ক্যারিয়ারের কি হবে ?
আবেক খান কোন কথা না বলে কেবল হাসলো কিছুটা সময় ! তারপর চোখ বন্ধ করে বলল
-আচ্ছা তোরা কি ফেসবুক চালাস আমি বুঝি না ! তোরা কি জানিস না যে বাংলাদেশী ফেসবুকারা কেমন ?
যদিও আমরা সবাই জানি সবাই কেমন তবুও সবুজ মুখ ফুসকে বলেই ফেলল
-কেমন ভাই ?
-আরে সব গুলো একেকটা বড় বোকাচোঁদ ! এদের কে যা বুঝাবো এরা তাই বুঝবে ! মনে নেই হেপাজতে সময়কার সেই কথা । রাস্তায় রিক্সা দাড় করিয়ে নারী পুরুষের পরিচয় জানতে চাওয়ার ঘটনা পাবলিক কিভাবে খেয়েছিল মনে আছে ?
আমাদের সবারই সব কিছু মনে আছে । আসলেই অনলাইনে যেন গুলির মত কথাটা ছড়িয়ে পরেছিল । কিছু কিছু বিরোধী পক্ষের লোক অবশ্য জোচ্চুরী টা ঠিকই ধরে ফেলেছিল তবে অধিকাংশ মানুষই সেটা আমলে নেয় নি !
আবেক খান বলল
-শুন, আমি যদি বলি আমি ঐ মেয়েকে রেপও করেছি তবুও লোকজন আমাকে কিছু বলবে না । বলবে নিশ্চই মেয়ের ভিতরেই কোন সমস্যা আছে ! কারন কি জানিস ?
-কি কারন ?
যথারীতি সবুজ সবার আগে জানতে চাইলো ।
-কারন সহজ কথা কথাটা বলতে হবে একটু ঘুরিয়ে ! আমি রুটি চুরি করেছি এই লাইন বললে আমার কপালে মাইর জুটবে কিন্তু আমি যদি বলি দিন ধরে আমি কিছু খাইনি । ক্ষুদার জ্বালায় আমি চুরি করেছি তাহলে লোকে আমাকে আরও কয়েকটা রুটি দিয়ে যাবো ! এইটাই হল টেকনিক ! আর কিছু না !
আমার সবাই একে অপরের দিকে মুখ করতে লাগলাম ! আবেক ভাই বলল
-আর তাছাড়া, যেন কোন অন্যায়ের সরাসরি অস্বীকার করার থেকে একটু ঘুরিয়ে স্বীকার করে নেওয়া ভাল । মানুষ তখন বলবে আহা ! ছেলেটা কত ভাল । যদি ভাল না হত না হলে নিজের অন্যায় স্বীকার করতো !
সবুজ যেন সব কিছু বুঝে গেছে এমন ভাব করে মাথা নাড়লো !
-তোরা কিছু চিন্তা করিস না ! আজ রাতেই সব ঠিক হয়ে যাবে ! বেকুব পাবলিকে কনভেন্স করতে আমার খুব বেশি সমস্যা হবে না ! চল মোড়ের দোকান থেকে চা খেয়ে আসি ! কয়েক দিন বাইরে বের হয় নি !
আমরা যখন সবাই রুম থেকে বের হলাম তখন সবার মুখই একটু চিন্তার রেখা ছিল ! আসলেই কাজ হবে কি হবে না এইটা নিয়ে ! কিন্তু আবেক ভাইয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে দেখি সেখানে কোন প্রকার চিন্তার রেখা নেই । কোন কিছুই যেন হয় নি এমন একটা মনের ভাব !
মোড়ের দোকানে আমাদের আড্ডা দেওয়ার জায়গায় বসে যখন চা খাচ্ছিলাম সবাই মিলে তখনই দেখি রনি এদিকে আসছে, সাথে আরও কয়েকজন রয়েছে ।ওরা দোকানের ভিতর ঢুকলো না । তাছাড়া ওদের মুখের দিকে তাকিয়ে আমার বিশেষ একটা সুবিধার মনে হল না !
রনি আমাদের কাছে আসতেই আবেক ভাই বলল
-কি ব্যাপার রনি ? কি খবর ?
আবেক ভাইয়ের কথা যেন শুনতেই পাই নি এমন একটা ভাব করে রনি দোকানদার মামা কে একটা সিরারেট দিতে বলল ।
আবেক ভাই বলল
-রনি ! তোমার আচরনে আমি একটু মন কষ্ট পেয়েছে ।
-কেন ?
-না, আমি দেখলাম তুমি গত কাল আমার ফ্রেন্ড লিস্টের একটা মেয়ের সাথে কেমন রুড আচরন করেছে । এটা ঠিক না ! মেয়েদের সম্মান দিতে হবে না ?
রনি কিছুটা সময় আবেক ভাইয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে রইলো কঠিন ভাবে ! আমি ঠিক বুঝতে পারছি ও কি বলতে যাচ্ছে ! মনে হয় সবুজও বুঝতে পেরেছে ও কি বলতে যাচ্ছে !
-শুনেন ভাই ! দুনিয়ার সবাই কে জ্ঞান দিতে যাবেন, কেবল আমাকে না ! ঠিক আছে ? আমার অবস্থা এখনও এতোটা খারাপ হয়ে যায় নি যে আপনার কাছ থেকে আমার জ্ঞান নিতে হবে !
-আমি ভুল কি বললাম ? তুমি একটা মেয়ের সাথে এরকম ভাবে কেন বিহেইভ করবে !
রনির মুখ দেখে মনে হল ও সহ্যের একেবারে শেষ সীমানায় পৌছে গেছে । এমনিতেও আমি আর সবুজ যে ফেসবুক সেলিব্রেটিদের পেছন পেছন ঘুড়ি এটা রনি একদম পছন্দ করে না । আমাদেরকে এদের সাথে দেখে ওর মেজাজ এমনিতেই খারাপ হয়ে গেছিল ।
রনি বলল
-শুনেন মাইয়া মানুষকে আপনি কেমন সম্মান করেন আমি জানি ! আমাকে জ্ঞান দিতে আইসেন না !
-কি ! তোমার সাহস তো কম না !
এবার আর রনি চুপ করে থাকলো না ! বলল
-শালা ৳% নিজে মেয়েদের কাছে চিটিংবাজি করিস, টাকা চাস নুড ফটো শপের হুমকি দিস ! আর আমাকে বলিস মেয়েদের সম্মানের কথা ! তোর সম্মানের আম%&@$% !
প্রজাপতি রহমান বলল
-তুমি আচ্ছা বেয়াদব দেখছি ! ওর সাথে এমন কেন করছো ? ওর সাফল্যে হিংসা হয় ?
খুব যেন একটা হাসির কথা বলেছে এমন একটা ভাব করে রনি বলল
সাফল্য ? হুম ! টিটিংবাজীর সাফল্য !
-তুমি কিন্তু সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছো ?
ততক্ষনে আহমেদ পাশা দাড়িয়ে ! রনি বলল
-এটা আপনার অনলাইন না ! যে আপনি যা বলবেন তাই হবে !
দেখতে দেখতে রাস্তায় দাড়িয়ে থাকা রনির সাথে ছেলে গুলোও দোকানে ঢুকে গেল ! আমি আর সবুজ চুপ করে দাড়িয়ে দেখছি ! কি করবো ঠক বুঝতে পারছি না !
রনি তো পারলে দু ঘা দিয়ে বসে কিন্তু পেছনের ছেলের গুলো ওকে চেপে ধরল । একজন বলল
-আরে কি করিস ? চল এখান থেকে ।
ওরা রনিকে নিয়ে গেল !
ওরা সবাই চলে যেতে দোকানের শেষ মাথা থেকে প্রজাপতি রহমান বেরিয়ে এল ! গন্ডগোলের আভাস পেয়ই সরে পরেছিল ! এখন আবার ফিরে এসেছে ! আবেক কে সান্তনা দিতে দিতে বলল
-আরে কিছু না ! তোর অনলাইন ক্যারিয়ারের সাফল্য নিয়ে ওর আসলে হিংসানিত !
আহমেদ পাশা বলল
-হুম ! ঠিক বলেছিস !
সবুজও সাথে সাথে বলল
-হুম ! ঠিক !
সবাই বলেছে আমি আর না বললে কেমন হয় ! আমিও বললাম
-হুম ! ঠিক ! দেখি আজকেই এটা নিয়ে একটা প্রতিবাদী স্টাটাস লিখতে হবে !
বিঃদ্রঃ গল্পের সকল চরিত্র কাল্পনিক । গল্পের সাথে বাস্তবের স্থান কাল পাত্রের কোন প্রকার কোন মিল নাই ! এমন কি জীবিত মৃত কিংবা অর্ধ মৃত কোন ব্যাক্তির সাথে কোন প্রকার মিল যদি থেকে তাহলে সেটা কাকতালীয় মাত্র !
আগের দুই পর্বঃ
ফেসবুক সেলিব্রেটি
ম্যাক সেলিব্রেটি কোচিং সেন্টার
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৪৭