-শোন ফেসবুকে হিট হতে হলে তুই কি দেখাবি তার থেকেও তোকে বুঝতে হবে লোকে আসলে কি দেখতে চাচ্ছে, এইটা বুঝতে পারা !
কথা হচ্ছিল কাদের ভাইয়ের চায়ের দোকানে । আমরা কয়েকজন মকবুল ভাইয়ের সাথে কথা বলছিলাম । আরও ভাল করে বললে মকবুল ভাই আমাদের তালিম দিচ্ছিলো কিভাবে ফেসবুকে হিট হওয়া যায় । কিভাবে একজন ফেসবুক সেলিব্রেটি হওয়া যায় । কিভাবে সেটা ধরে রাখতে হয় !
আমাদের মকবুল ভাই ফেসবুক অঙ্গনে একজন উজ্জল নক্ষত্র বলা চলে । তার প্রতিটা কথা বাংলার ফেসবুকবাসি খুব গভীর ভাবে নেয় । হাজার হাজার লাই আর কমেন্ট সাথে কয়েক হাজার শেয়ার তো আছেই । তার প্রত্যেকটি বানী পীরের বানী মনে করে সবাই মাথা পেতে নেয় ।
তিনি ফেসবুকে ফান একদম পছন্দ করেন না । তার ওয়াল মানেই হচ্ছে জ্ঞানগর্ভ মূলক কথা বার্তা সাথে, মানুষকে উপকার মুলক পোস্ট আরও কত কিছু ! ফেসবুকের এই এতো জ্ঞানী মানুষটা আমাদের কাছে বিনে পয়সায় পুড়ি আর পিয়াজুর জন্য নিজের সিক্রেট ফাস করে দিতে প্রস্তুত হবে যাবেন ভাবি নি !
কাদের ভাইয়ের দোকানে বসে আমরা আড্ডা দিচ্ছিলাম ! আমি সবুজ আর রনি ! মকবুল ভাইকে দেখে সবুজ বলল
-মকবুল ভাই আমাদের কিছু তালিম দেন !
মকবুল ভাই খানিকটা বিরক্ত হলেন । সবুজের দিকে তাকিয়ে বললেন
-হেই কল মি ম্যাক ! নট মকবুল !
বলতে ভুলে গেছি ফেসবুকে মকবুল ভাইকে সবাই মকবুলের জায়গায় ম্যাক নামে চেনে ! মকবুল থেকে ম্যাক ! ম্যাক বি ইসলাম !
আমার ম্যাক ভাই বললেন
-আগে ডাল পুড়ির অর্ডার দে । তারপরপ বলবো !
কাদের ভাইয়ের দোকানে এই বিকেলে চমৎকার ডাল পুড়ি আর পিয়াজু বানায় ! আমরা সেই জিনিস খাই আর আড্ডা দেই । ডাল পুড়ি চলে এল । মকবুল ভাই বলে চললেন
-তো কি বললাম ? তুই কি দেখাবি কিংবা মানুষকে কি দেখাতে চাইছিস তার থেকেই জরুরী লোকে কি দেখতে চায় !
আমরা কিছু না বুঝে মকবুল ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে থাকি ! মকবুল ভাই বলল
-দেখ !
এই বলে তিনি নিজের মোবাইল বের করে একটা স্টাটাস দিলেন ! আমরাও মোবাইল বের করে দেখতে লাগলাম উনি স্টাটাস দিলেন । আমরা সবাই ওনার ফ্রেন্ড লিস্টে আছি !
ম্যাক বি ইজ ইটিং ডাল পুড়ি এট কেএফসি !
আমি সবুজ আর রনি একে অপরের দিকে তাকিয়ে দৃষ্টি বিনিময় করলাম ! মকবুল ভাই মনে হয় আমাদের মনের ভাব ঠিকই বুঝতে পারলেন । আমাদের দিকে তাকিয়ে বললেন
-কি ? কিছু বুঝলি ?
-কিছু না !
-মনে হচ্ছে না আমি মিথ্যা কথা বলছি ! আসলে কিন্তু না ! এইটা কাদেরের দোকান ! সেই হিসাবে কাদের ফুড কর্নার থেকে কেএফসি লেখায় যায় । যায় না ?
আমরা কিছুক্ষন বোকার মত তাকিয়ে রইলাম মকবুল ভাইয়ের দিকে !
মকবুল ভাই বলল
-ফেসবুকে আসল ঘটনা থেকেও দেখানোর বিষয়টা খুব বেশি । এই কাজে যে এগিয়ে সেই হিট !
আমরা কি বুঝলাম নিজেই জানি না । কেবল নিজেদের ভিতর তাকাতাকি করতে লাগলাম !
ততক্ষনে মকবুল ভাই প্লেটের ডাল পুড়ি সাবাড় করে ফেলেছে । আমরা তার কাছ থেকে আরও কিছু শোনার অপেক্ষায় রইলাম । যদিও রনির এই সব বিষয়ে আগ্রহ কম ! ওর চেহারা দেখেই সেইটা বোঝা যাচ্ছিল ! আমরা আগ্রহ নিয়ে শুনছি বলে ও অন্য কোথাও যেতে পারছে না !
মকবুল ভাই বললেন
-দেখ সেলিব্রেটি হওয়ার সর্ব প্রথম ধাপে তোকে একটা নাম ঠিক করতে হবে । আবুল মার্কা নাম হলে চলবে না । বাস্তবে তোর নাম যেরকমই হোক ফেসবকে হওয়া লাগবে একটু স্মার্ট একটু ইউনিক ! যদি এর জন্য নিজের নাম বদলে ফেলতে হয় ফেলো । কিংবা নামের শর্ট ফর্ম লেখো !
-কি রকম ?
-এই যে আমি লিখেছি ! মকবুল ইসলাম থেকে ম্যাক বি ইসলাম ! শুনতে কেমন লাগছে ?
রনি বলল
-খুব ইস্মার্ট ! এর থেকে স্মার্ট নাম আর হয় না !
মকবুল ভাউ যেন একটু খুশি হলেন রনির কথা শুনে । রনি যে ব্যঙ্গ করে করে বলেছে সেইটা মনে হয় ধরতে পারে নি ! সবুজ বলল
-তারপর ?
-তারপর পন্থা হচ্ছে তোকে আগে সবার ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট গ্রহন এবং সেন্ড করতে হবে । চিনিস না চিনিস সবাইকে এড দিতে হবে ।
রনি বলল
-যাকে চিনবো না জানতো তাকেও ?
-অবশ্যই ! সবাইকে । যখন তোর ৫০০০ হাজার ফ্রেন্ড পূর্ন হয়ে যাবে তখন দেখবি প্রতি পোস্ট এমনিতেই শ খানেক লাইক এসে পড়বে । আর ১০০ লাইক ওয়ালার পোস্ট চোখের সামনে আসলে মানুষ এমনিতেই না পড়ে লাইক দিবে ।
আমি বললাম
-কেবল ৫০০০ ফ্রেন্ড জমা করলেই চলবে ? কিছু তো লিখতে হবে নাকি ?
ততক্ষনে কাদের ভাই আবারও আমাদের প্লেট ভর্তি করে দিয়ে গেছে । মকববুল ভাই একটা গরম পুড়িকে একটু মুখে দিয়ে আবার প্লেটের উপর ফেলে দিলেন ।
-শ্লার গরম ! এতো গরম কেন রে কাদের ?
-কি করতাম ? সবাই তো গরম গরমই চায় !
-আরে বোক#$% কইবি না গরম ! মুখে নিয়া জিভ পুড়াইছি !
আমি আর সবুজ পুড়ি খাওয়ায় মন দেই । কেবল কথা শুনতে গেলে পেটে কিছুই পড়বে না !
মকবুল ভাই ফু দিয়ে ঠান্ডা করে পুড়িটি সাবাড় করে আমাদের দিকে তাকিয়ে বলল
-এবার হল আসল কথা ! কি নিয়ে লিখবি আর কি নিয়ে লিখবি না !
-কি কি নিয়ে লিখতে হবে বলেন তো ভাই !
মকবুল ভাই বললেন
-তোকে সব সব সময় থাকতে হবে নিরোপেক্ষ ! এবং চিন্তা করতে হবে কোন জিনিস লিখলে পাবলিক খাবে বেশি !
সবুজ বলল
-যেমন ?
-যেমন মানুষকে সাহায্য ! মানবতার কাজ ! মানুষকে সাহায্য ! মানুষের জন্য কাজ !
-কিন্তু ভাই এই কাজ গুলো কে করে আজকাল ?
-আরে বেকুব এগুলো করতে হবে তোকে কে বলেছে । কাদের ফুড কর্নারে থেকে যেমন তোকে কেএফসি লিখবি ঠিক সেই রকম !
আমরা কিছু না বুঝে মাথা চুলকাই !
-শোন লেখার আগে একটা ব্যাপার মাথায় রাখতে হবে সেটা হল ব্যালান্স রাখতে হবে । কোন পক্ষ্যের জন্য লিখলে চলবে না । সব থেকে বড় কথা কোন পক্ষ্যকে হার্ট করে কিছু লেখা যাবে না ।
-কি রকম ভাই ?
-এই যেমন আমাদের দেশে আওয়ামীলীগ আছে বিএনপি আছে জামাত আছে আছে বাম ! আছে না ?
-হুম !
-তোকে এমন ভাষা ব্যবহার করতে হবে যাতে এই কোন পক্ষ্যই তোর উপর চটে না যায় !
-কি বলেন ? জামাত ?
আমি রনির দিকে তাকাই । ওর মাথা এমনিতেই গরম । জামাতের নাম শুনতে পারে না । এইখানে জাামতের কথা শুনে ও আমার দিকে তাকায় ! আমি ইশারায় ওকে শান্ত থাকতে বলি !
-আরে বেকুবের দল জামাতই হচ্ছে তোর আসল টার্গেট ! তোর ফলোয়ার লিস্টে যত বেশি জামাতি থাকবে তোর লাইক ততবেশি হবে । কমেন্ট বেশি হবে । তোকে আগে বুঝতে হবে তোর ফলোয়ার লিস্টে আসলে কোন দলের লোক বেশি । যেই দলের লোক বেশি খানিকটা সেই দলের দিকে টেনে লিখতে হবে । তবে....
আমরা এক সাথে বলে উঠি
-তবে ?
-সেটা অবশ্যই নিরোপেক্ষতার ভিতরে থেকে । একেবারে খোলাখুলি কিছু লেখা যাবে না !
-মানে বুঝলাম না !
-এই মনে কর মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লিখবি ! কিন্তু এমন ভাবে লিখবি যাতে সেখানে জামাত শিবির তোর লেখায় কষ্ট না পায় !
রনির দিকে তাকিয়ে দেখি ও গরম চোখে মকবুল ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে আছে । কিন্তু মকবুল ভাইয়ের সেই দিকে লক্ষ্য নেই !
আমি বললাম ভাই
-এই সব কি বলেন ?
মকবুল ভাই বললেন
-এটাই ! আওয়ামীলিগের প্রসংসা করতে হবে সাথে বিএনপিরও । যদি বিএনপির বিপক্ষে লিখিস সেখানে আওয়ামীলিগের দোষ ধরটে হবে ! মোট কথা তোকে দুই নৌকায় ভাল ভাবে পা রাখতে হবে !
আমরা কোন কথা বলে শুনে যাই । মকবুল ভাই বলে চলেন !
-তোকে অনলাইনে কখনই মুখ খারাপ করা চলবে না । বাস্তবে যাই করিস না কেন অনলাইনে একটা খারাপ ভাষাই ব্যবহার করা চলবে না ।
-সবুজ বলল
-যদি কেউ আপনাকে গালী দেয় !
-তবুও না !
-তবুও না ?
-না ! তবে চিন্তার কোন কারন নেই । প্রত্যেক ক্ষমতা ব্যক্তির যেমন গুন্ডা পান্ডা থাকে তেমনি ফেসবুক সেলিব্রেটির কিছু পান্ডা আইডি থাকে । সবারই থাকে । এদের কাজই হল সেলিব্রেটির হয়ে অন্যকে গালি দেওয়া । মাঝে মাঝে তো ঐ সেলিব্রেটির নিজেরই কিছু মাল্টি থাকে ! কিন্তু মনে রাখতে হবে নিজের আইডি দিয়ে কোন স্ল্যাং না ! ঠিক আছে ?
রনি বাদে আমরা সবাই বললাম
-ঠিক আছে !
-তারপর মনে কর প্রসাসনের দুর্নীতি নিয়ে কথা বলতে হবে । কোথায় কি অনাচার কথা বলতে হবে । রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিস এক ফকিরকে দেখে মায়া লাগলো, তাকে সাহায্য করিস কিংবা না করিস ফেসবুকে এই কথা লিখতে হবে ! তুই তোর মা বোন কে সম্মান দিস কিংবা না দিস, নারী অধিকার নিয়ে কথা বলতে হবে । ফেসবুকে নারী অধিকার আর নারীর পোষাক স্বাধীনতা নিয়ে লেখা পাবলিক খুব খায় !
-এতো কিছু ?
-আরে বেকুব কেবল কথা বললে হবে ? কিছু করার দরকার নেই । আজ পর্যন্ত কেউ কিছু করেছে ফেসবুকে ? একজন ফেসবুক সেলিব্রেটি যেমন জানে ফেসবুক টা আজাইরা পাবলিকের জায়গা একজন আম ফেসবুককারও জানে তাদের যোগ্যটা লাইক আর কমেন্টে স্যালুট, রেসপেক্ট আর অভিনন্দন পর্যন্তই !
রনি বলল
-রক্ত ম্যানজ হয় না ? মানুষের জীবন বাঁচছে না ?
মকবুক ভাই হেসে বলল
-তোর কি মনে হয় এই ফেসবুকের জন্য হয় ? শোন রক্তের জন্য যারা কাজ করে তারা ফেসবুক না হলেও ঠিকই কাজ করে যেত ।ফেসবুক আসার আগেও তারা কাজ করেছে ! তারা এমনিতেই মানুষের জন্য কাজ করে । এখানে ফেসবুক মূখ্য না । মূখ্য সেই মানুষ গুলো । হ্যা এই কথা সত্য যে ফেসবুকের জন্য তাদের কাজটা আরও একটুি সহজ হয়ে গেছে । কিন্তু ১০০০ কিংবা এক লাখেও তুই এমন কয়টা রক্তযোদ্ধা পাবি বল তো ?
আমরা কোন জবাব দিতে পারি না ! কারন কথা সত্য !
মকবুল ভাই আবার বলল
-এটাই হচ্ছে মুল কথা ! মানুষকে বোঝাতে হবে তুমি সৎ ! তুমি অন্যায়ের প্রতিবাদি ! কিন্তু এমন ভাবে প্রতিবাদ করতে হবে যেন কোন পক্ষ্য কষ্ট না পায় । তাহলে কিন্ত ফলোয়ার কমে যাবে ।সাবধান !
-হুম ! ফলোয়ার একটা বিষয় তো বটেই !
মকবুল ভাই প্লেটের দিকে তাকিয়ে দেখি সেখানে কিছু নেি । প্লেট খালি মানে মকবুল ভাইয়ের মুখও বন্ধ ! তিনি আর কিছু না বলে অন্য দিকে তাকিয়ে রইলেন । আমরা আরও কিছু শুনবো কিনা বুঝতে পারছিলাম না । রনির মুখের দিকে তাকিয়ে মনে হল ও উঠে যেতে পারলে বাঁচে । কিন্তু সবুজের এই বিষয়ে বেশ আগ্রহ । আমি কোন দিকে যাবো ঠিক বুঝলাম না !
-আর কিছু খাবেন মকবুল ভাই ?
-কেবল তো পুড়ি খাইলাম ! এইবার পিয়াজু বল !
পিয়াজুর অর্ডার দেওয়া হইলো ! পিয়াজু এখনও ওঠে নাই ।
মকবুল ভাই সেদিকে তাকিয়ে নিশ্চিত হয়ে বললেন
-এবার তোকে অবশ্য সেলিব্রেটিদের সাথে ভাব জমাতে হবে ।
-কেন ?
-আরে সেলিব্রেটির প্রোমশান ছাড়া কিছু হবে নাকি ! কেবল ভাবই না তাদের সব কথায় সমর্থন দিতে হবে । তারা যা যা বলবে তাই । মনে কর দেশের আইনের উপর থেকে তোর বিশ্বাস উঠে যাবে কিন্তু সেলিব্রেটিদের কথার উপর থেকে কোন ভাবেই বিশ্বাস হারানো যাবে না ।
ঠিক আছে !
রনি বলল
-যদি তারা ভুল বলে !
-আরে আবার সেই এক কথা ! বললাম না , দেশের আইন বদলে যাবে কিন্তু তারা কোন ভুল করতে পারে না । তারা সেইটা বলবে সেইটাই সূর্যাস্ত আইন !
পিয়াজু এখনও আসে নি । মকবুল ভাইয়ের কথা মনে হয় আরও একটু বাকি ছিল । কিন্তু রনির মনোভাব দেখলাম আর থাকার মত না । সে উঠে যাবে ।
মকবুল ভাই বলল
-স হজে কারো পোস্টে কমেন্ট করা যাবে না । কারন তোর একটা ওয়েট আছে । ফান পোস্ট কমিয়ে দিতে হবে । যখন একেবারে হিট হয়ে যাৈ তখন তো কোন প্রকার ফান পোস্ট দেওয়া চলবে না । কেবল সিরিয়াস এবং জনসচেতনা মূলক পোস্ট !
-জি জি !
-তাহলে আজক থেকেই লেগে যা । আমার পোস্টে সবার আগে কমেন্ট করবি ! তাহলেই অনেকের চোখ পড়বি ! বুঝলি ! আর মনে রাখিস যেই সব স্পর্শ কাতর বিষয় আছে এই গুলো নিয়ে কোন প্রকার কথা বলা যাবে না ! একদম চুপ থাকতে হবে । যেমন ধর গত কালকের গোলাম আজমের মৃত্যু ! এটা নিয়ে কোন প্রকার কথা বলা ঠিক না ! কারন সেই কথা বলি না কেন ব্যালেন্স মেউনটেইন করা যাবে না । ফলাফল ফলোয়ার গায়েব !
রনি মনে হয় আর থাকতে পারলো না ! বলল
-শ্লা %$ তুই থাক তোর ফলোয়ার নিয়া । লাইক দিয়ে ভাত খাইস ! যেই জনপ্রিয়তায় শুয়োর কে শুয়োর বলা যায় না সেই জনপ্রিয়তার দরকার নেই ! থাক তুই !
রনি এতোটা রেগে হয়ে উঠবে আমি কিংবা সবুজ কেউ বুঝতে পারি নি । ওর হন হন করে হাটা দেওয়া দেখে আমরাও ওর পিছু নিলাম !
পেছন থেকে আওয়াজ ভেসে এল
-আরে বিল কে দিবে ! এই তোরা কই যাস ! বিল দিবে কে ? আমার পকেটে টাকা নেই তো ! এই ......
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:৩৮