২৮.০৮.২০১৪
সকাল বেলা উঠেই ছেলেটাকে আবার দেখবো, আমি ভাবি নি । ও এমন পাগল হবে কে জানতো ? যখন বারান্দা দিয়ে রাস্তার দিকে তাকলাম আমি আমার চোখ টাকে ঠিক বিশ্বাস করতে পারছিলাম না । নীল শার্ট পরা ছেলেটা তখনও সেখানে দাড়িয়ে আছে । ঠিক দাড়িয়ে না ল্যাম্প পোস্টের সাথে হেলান দিয়ে কাঁত হয়ে দাড়িয়ে আছে ।
কাল রাতেও এভাবে দাড়িয়ে ছিল । চোখ দিল আমার রুমের দিকে । এখনও আমার রুমের সামনে আমার রুমের দিকে তাকিয়ে আছে । আমি কি করবো ঠিক বুঝলাম না । আব্বা যদি দেখে ফেলতো ! তাহলে ?
একটু ভয় ভয় করছিল কিন্তু কেন জানি একটা অজানা ভাল লাগা কাজ করছিল মনের ভেতর ! এতো খুশি কেন লাগছিল ?
কেন ?
এক
সজিব মোবাইলটা একপাশে সরিয়ে রাখলো ! নোকিয়া ২৭০০ ক্লাসিক । গত কালই মোবাইল সেট টা হাতে এসেছে । যদিও তার নিজের আরও দুটি সেট আছে, এবং এটা কেনার খুব একটা দরকার ছিল না কিন্তু এতো সস্তা পেয়ে যাবে ঠিক ভাবে নি ।
গত কাল সন্ধ্যার সময় মোড় থেকে বাসার দিকে হেটে আসছিল । গলির কাছে আসতেই দেখতে পেল রুগ্ন মত একটা ছেলে কেমন অস্বভাবিক ভাবে দাড়িয়ে আছে । অল্প আলোতে চেহারা দেখা যাচ্ছে । চোখ দুটো কেমন লাল আর ফোলা । সজিবের বুঝতে অসুবিধা হয় নি যে নেশাখোর । নেশার ডাক উঠেছে । মনে হয় এখনও তেমন কিছু ব্যবস্থা করতে পারে নি ।
সজিবের সঙ্কিত হওয়ার কথা কিন্তু সজিব গায়ে মাখলো না । নিজের এলাকা বলে কথা ।
সজিব নিজেই এগিয়ে গেল ছেলেটার দিকে । কাছে যেতে ছেলেটা আরও খানিকটা সঙ্কুচিত হয়ে দাড়ালো ।
-এখানে কি ?
-কিছু না মামা !
-তো এখানে কি ? ভাব চক্কর তো ভাল মনে হচ্ছে না । বিদায় হও এখান থেকে !
ছেলেটা আরও একটু সঙ্কুচিত হয়ে দাড়ালো ।
সজিব আবার যখন ঘুরে দাড়াবে তখনই ছেলেটা বলে উঠলো
-মামা একটা মোবাইল কিনবেন ?
-মোবাইল ? চোরাই ?
-না মামা চোরাই না !
-সিনতাই ?
-না মামা ! নিজের মামা ! সত্যি কইতাছি !
সজিবের মনে হল ছেলেটার কথা বিশ্বা করে নেয় কিন্তু সেদিকে গেল না । একবার মনে হল না করে দেয় কিন্তু পরে মনে হল, একবার দেখা যাক সেট টা !
-কি সেট ?
কি সেট বলতেই ছেলেটা পকেট থেকে সেটটা বের করে দেখালো । তার চোখে একটু দ্বিধা তখনও কাজ করছে ।
একটা সাধারন নোকিয়া জাভা সেট ! তবে হাতে নিয়ে মনে হল বেশ যত্ন করে ব্যবহার করা একটা সেট । এই সেট এখন কেউ আবার চালায় ?
সজিব বলল
-কত ?
-মামা এক হাজার দিয়েন !
-যা ! পুরান ! আর এই সেট এখন আর কেউ চালায় না ! ৫০০ দিবো ! হলে বল !
-না মামা !
সজিব সেট ফেরৎ দিয়ে পেছন দিকে হাটা দিবে তখনই ছেলেটা পেছন থেকে ডেকে বলল
-আচ্ছা মামা আর একশ টাকা দেন ! আপনার পায়ে ধরি ! আর ১০০ !
সজিবের কি মনে ১০০ টা বেশি দিয়ে সেট টা কিনে নিল । কোন কারন নেই তবুও ৬০০ টাকায় সেট টা একেবারে খারাপ না !
বাসায় এসে সেট টা উল্পে পাল্টে দেখলো । ভিতরের সব কিছু পরিস্কার । ফোনে নাম্বার, কন্ট্যাক্ট কিছু নেই । কিন্তু অর্গানাইজারে দেখতে গিয়ে নোট প্যাডে বেশ কিছু লেখা পেল ! ছোট ছোট করে বেশ নোট লেখা তারিখ দিয়ে !
০১.০৯.২০১৪
কিছুতেই প্রিতমের কথা টা উপেক্ষা করতে পারলাম না । বাবার চোখ এড়িয়ে কিভাবে যে দেখা করতে গেলাম ওর সাথে এটা এখন আমার নিজেরই বিশ্বাস হচ্ছে না ! যখন রিক্সা করে যাচ্ছিলাম বারবার কেবল বাবার চেহারা টা মনে হচ্ছিল । বাবা যদি কোন ভাবে জানতে পারে আমি কোন ছেলের সাথে দেখা দেখা করতে গেছি কলেজ কামাই করে, তাহলে আমাকে আস্তো মাটির নিচে পুতে ফেলবে ।
পুরোটা পথ ভয় ভয় করতে লাগলেও কেন জানি প্রিতমের সমানে গিয়ে আর ভয় করছিল না । একদম না । আমি কেবল ওকে দেখে অবাক হচ্ছিলাম । ছেলেটা কেমন লজ্জা পাচ্ছিল । আমার দিকে ঠিক মত তাকাকতেও পারছিল না । আশ্চার্য এমন করে কেউ লজ্জা পায় ?
মনে হচ্ছিল একটু ধমক দিয়ে বলি
এই ছেলে আমার দিকে তাকাও না কেন ? এতো লজ্জা কিসের তোমার শুনি ?
দুই
-তুমি আমার সাথে এমন করে কেন কথা বলছো ?
-বলবো না ? তো কেমন করে কথা বলবো ?
-দেখো আমি তোমাকে আগেই বলেছি, আমার এ ব্যাপারে কিছু করার নেই । আমি কোন মুখ করে তোমাকে বাবার সামনে নিয়ে যাবো বল ?
সজিব কিছু বলতে গিয়েও বলল না । অন্য দিকে তাকিয়ে রইলো । মিলি খানিকটা নরম সুরে বলল
-দেখো তুমি একটু বোঝার চেষ্টা কর !
-হুম ! আমি বোঝার চেষ্টাই করি ! তুমি ঐ ছেলের হাত ঘুরে বেড়াও !
-সজিব । বাজে কথা বলবে না ! খবরদার ! আমি কারো হাত ধরে ঘুরে বেড়ায় নি !
-হাতের সিগারেট টা ফেলে দিয়ে সজিব নতুন একটা সিগারেট ধরালো ! মিলি বলল
-আমি কেবল ফয়সালের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম তাও বাবার কথা মত ! আমার কোন শখ নেই তার সাথে বসে বসে ফাউ কথা বলতে ! দেখো আমি আবারও বলছি । এভাবে আমাকে কিছু বলে লাভ নেই । তুমি যদি আমাকে বিয়ে করতে চাও তাহলে নিজের পায়ে দাড়াও ! আমি বাবাকে বলি ! তা না হলে আমার কিছু করার নেই !
কথা গুলো একটানা বলে মিলি থামলো । কিছুটা সময় তাকিয়ে রইলো সজিবের মুখের দিকে । কিছু একটা শুনতে চাচ্ছে । কিন্তু সেখান থেকে কোন প্রকার সাড়া শব্দ না পেয়ে উঠে দাড়ালো । যাওয়ার আগে সজিবের দিকে তাকিয়ে বলল
-আমাকে বাসায় যেতে হবে !
-যাও !
খানিকটা কঠিন কন্ঠেই বলল সজিব কথাটা। মিলি আসলেই অন্য কিছু আশা করেছিল সজিবের কাছ থেকে । কিন্তু সেটা না পেয়ে আর দাড়ালো না ! হনহন করে হাটা দিল ! সজিব একবার মিলির চলে যাওয়া পথের দিকে তাকিয়ে আবার সিগারেট খাওয়ার মন দিল !
৭.০৯.২০১৪
আজকে প্রিতম আমার হাত ধরেছিল । প্রথমবার যখন হাত টা ধরলো আমার বুকের ভেতর কেমন করে যেন লাফাচ্ছিল ! আমার কেন জানি মনে হচ্ছিল আমার বড় রকমের একটা হার্ট এটাক হয়ে যাবে !
প্রিতম আমার দিকে তাকিয়ে জানতে চাইলো
-তোমাকে এমন কেন লাগছে ?
আমি বললাম
-কেমন লাগছে ?
-জানি না ! তবে মনে হচ্ছে ঠিক স্বাভাবিক না !
আরে বোকা কেউ অনেক বেশি খুশি হলে কেমন করে স্বাভাবিক থাকবে ? তুমি কি বুঝতে পারো না তুমি সেই খুশির কারন । ছেলেটা এতো বোকা কেন ?
বোকা একটা !
তিন
-মামা আরেকবার চিন্তা কইরা দেখো !
সজিব ঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না ! কি করবে ? কেবল মিলির প্রতি প্রচন্ড রাগ অনুভব করছে । কিছু একটা অঘটন ঘটাতে ইচ্ছা করছে ।
গত কাল বিকেলে মিলি তাকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে যে তার পক্ষ্যে আর কিছুতের সজিবের সাথে সম্পর্ক রাখা সম্ভব হচ্ছে না । তার বাবা ফয়সাল সাহেবের সাথেই মিলির বিয়ে ঠিক করে ফেলেছে ।
সজিব কেবল চুপচাপ কথাটা শুনেছে । কিছু বলে নি । মিলিও কিছু আশা করে নি । কেবল খবরটা দিয়ে চলে গেছে ।
সজিব মিল্টুর দিকে তাকিয়ে বলল
-তোরা ব্যবস্থা করতে পারবি ?
সজিবের ইতিবাচক সাড়া দেখে মিল্টু খুশি হয়ে বলল
-আরে পারুম না মানে ? তুমি মামা খালি ওরে সঠিক ঠিকানা মত নিয়া আইবা । তারপর এমন অবস্থা করুম যে ...
কথা বলতে বলতে মিল্টু একটা অশালীন মুখ ভঙ্গি করলো ।
-একটা শিক্ষা দেওয়া দরকার ! সারা বছর আমার সাথে প্রেম করে এখন বিয়ে করবে অন্য কাউকে ?
-একদম ঠিক ! ভাল শিক্ষা দেওন লাগবো !
-তোরা কজন থাকবি !
-এই চার পাঁচ জন ?
-মরে যাবে না তো ?
-আরে কি কও মামা ! মরবো কেন ? তুমি শুরুর করবা পারে আমরা আছি !
-ওকে জায়গা ঠিক কর ! আমি ওকে নিয়ে আসছি !
সজিব নিজেও বুঝলো কি ভয়ংকর একটা সিদ্ধান্ত সে নিয়ে ফেলেছে এরই ভিতরে ! নিজের সব থেকে ভাল বাসায় মানুষটি এতো বড় একটা ক্ষতি করতে প্রস্তুত হয়ে গেছে রাগের মাথায় !
১০.০৯.২০১৪
আজকে কি এক ভয় পেয়েছিলাম । বারবার কেবল প্রিতমের দিকে তাকিয়ে ছিলাম । বারবার কেবল এই কথাই মনে হচ্ছিল আজকে মনে হয় আমার দ্বারা অন্যায় কিছু হয়ে যাবে ।
আজকাল সবাই এমন করে !
তাই বলে কি আমিও ?
কিন্তু অবাক হয়ে দেখলাম প্রিতম কেবল আমার কোলে মাথা রেখে গুটুসুটি মেরে শুয়ে রইলো ! ওর চুলে আমি হাত বুলাচ্ছিলাম । এক পর্যায়ে ব্যাচারা ঘুমিয়ে পরলো ! আমি ওর নিস্পাপ চেহারার দিকে কেবল তাকিয়ে রইলাম ।
চার
সজিব মিল্টুর ফোনটা প্রথমে ধরলো না টেনশনে । যখন মিল্টু আবার ফোন করলো তখন ধরলো । হ্যালো বলতে গিয়ে লক্ষ্য করলো ওর গলা কাঁপছে ।
মিল্টু বলল
-খবর কি ?
-আসতেছে !
-শিওর তো ?
-হ্যা ! জ্যামে আছে ।
-আচ্ছা ! শোনো মামা একেবারে স্বাভাবিক থাকবা ! ঠিক আছে ? কোন প্রকার জোর-জবস্তি না ! দেখবা সব ঠিক আছে !
সজিব আচ্ছা বলে ফোন রেখে দিলেও ঠিক শান্তি পাচ্ছে না । কাল রাতের বেশ কয়েকবার ভেবেছে কাজটা ঠিক হচ্ছে কি না ! কিন্তু যতবারই কল্পনা করেছে মিলির ঠোটে অন্যকেউ চুমু খাচ্ছে ততবারই প্রচন্ড রাগে সজিব অন্ধ হয়ে গেছে । কিছুতেই নিজেকে শান্ত করতে পারে নি !
বারবার ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখছে কয়টা বাজে । নিজের মনের অস্থিরতা কাটানির জন্য সেদিনের মোাবইল টা বের করলো ! আর দুইটা নোট আছে । পরে পড়বে বলে রেখে দিয়েছিল !
২১.০৯.২০১৪
গতকাল বিকেল থেকে কত গোসল করেছি মনে নেই । কিন্তু কিছুতেই যেন আমার শরীর থেকে সেই দুগন্ধটা যাচ্ছে না ! কয়েকটা শুকরের দুর্গন্ধময় শরীরের স্পর্শের গন্ধ যাচ্ছে না কিছুতেই । মা তো একবার বলেই ফেলল এতো গোসল করছি কেন ? আমি কোন উত্তর দেই নি । কোন উত্তর দিতে পারি নি ।মা'র চোখের দিকে তাকিয়ে কোন কথা বলতে পারি নি । আয়নার দিকে তাকাতেও পারি নি একবারও ।
কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছি না । বারবার মনে হয়েছে কোন দুঃস্বপ্ন দেখছি যেন । এখনই ঘুম ভেঙ্গে গেলে সব কিছু ঠি হয়ে যাবে ।
প্রিতম, যে মানুষ টাকে সব থেকে বেশি বিশ্বাস করেছিলাম সেই মানুষটা আমার সাথে এরকম রকলো ? নিজের কয়েকজন বন্ধুদের সাথে প্লান করেই ও আমার কাছে এসেছিল ।
একজনকে আমি ঠিক চিনতে পেরেছিলাম । ক'দিন আগে যাকে বাবা পুলিশে দিয়েছিলো আমাকে উতক্ত করার জন্য ! সব প্লান ছিল !
অন্ধকার ঘরে ওরা যখন সবাই ,....।
ওফ ! আর এই মুখ কিভাবে দেখাবো সবাই কে ! একজন আবার মোবাইলে ভিডিও করেছে ! আমি আর ভাবতে পারছি না ! আর না !
পাঁচ
নোট টা পড়ে সজিব কিছুক্ষন বুঝতে পারলো না কি করবে ! কখন যে মিলির ওর পাশে এসে দাড়িয়েছে টের পায় নি !
ওর গায়ে হাত দিয়ে ধাক্কা দিতেই সজিব বাস্তবে ফিরে এল !
-কি হয়েছে !
প্রথমে কিছুক্ষন সজিব কিছু বুঝতে পারলো না ! তারপর ওর দিকে না তাকিয়ে সর্বশেষ নোট টা বের করলো !
২৯.০৯.২০১৪
আর পারছি না ! কঠিন একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি !
বাবা মা হয়তো একটা কষ্ট পাবে । কিন্তু এ ছাড়া আমার আর কোন উপায় নেই ।
আর কোন উপায় নেই !
নোট গুলো লিখে রাখলাম ! কাল এই মোবাইল টা ফেলে দিয়ে আসবো কোথায় !
কোন দিন কেউ জানবে হয়তো আবার জনাবে না !
ছয়
-এই কি হয়েছে ?
সজিব একবার মোবাইলের দিকে তাকালো আরেকবার মিলির দিকে । আজকে মিলির মুখটা বেশ হাস্যজ্জল মনে হচ্ছে । কিন্তু সজিব কল্পনা করলো মিল্টুর মত কিছু হায়েনা আস্তে আস্তে মিলির দিকে এগুচ্ছে । মিলি সাহায্যের জন্য এদিক ওদিকে যাচ্ছে কিন্তু কেউ তাকে সাহায্যের জন্য আসছে না !
তারপর একটা সময় সিলিং থেকে ঝুলানো দড়ি হাতে নিয়ে .....
সজিব আর ভাবতে পারলো না ! তীব্র একটা অপরাধবোধ ওকে পেয়ে বসলো !
মিলি অবাক হয়ে দেখলো সজিবের চোখ দিয়ে পানি পড়ছে ।
-কি হয়েছে ? সজু ! কি হয়েছে ?
সজিব আর কিছু না বলে মিলিকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে কেঁদে উঠলো !
মিলির কেবল মনে হল ওকে ছেড়ে অন্য কাউকে বিয়ে করতে যাচ্ছে এই জন্য মনে হয় সজিব কাঁদছে । সজিবের এমন আচরন একটু অস্বাভাবিক মনে হল মিলির কাছে
মিলি সজিব কে শান্তনা দিয়ে বলল
-আচ্ছা প্লিজ তুমি এমন কর না ! এখনও বিয়ে ঠিক হয়ে যায় নি ! আমি বাবার সাথে কথা বলবো ! বিশ্বাস কর বলবো ! তুমি প্লিজ কেঁদো না !
যখন মিলি ওকে নিয়ে রিক্সায় উঠলো তখনও সজিবের চোখ দিয়ে পানি পড়ছে । নিজেকে বড় বেশি অপরাধী মনে হচ্ছে । আরেকটু হলে কি একটা ভয়ংকর অন্যায় সে করে ফেলত !
কি একটা ভয়ংকর অন্যায় তার হাত দিয়ে হয়ে যেত !
(চিরকুটের জন্য লেখাটা লিখেছিলাম গত মাসে)
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:৩২