গল্পঃ প্রথম বিয়ে অথবা দ্বিতীয় সুইসাইড !
-ভাই এখান থেকে লাফ দিলে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা কত টুকু ?
লোকটা সিগরেট টানছিল আপন সুখে ! বিকেল বেলা এই ব্রীজ টার উপরে অনেকেই আসে হাওয়া খেতে ! হাওয়া খেতে খেতে কেউ কেউ ধোয়াও খায় ! লোকটা আমার দিকে ভুরু কুচকে তাকিয়ে কিছু একটা চিন্তা করলো ! আমাকে দেখলো পা থেকে মাথা পর্যন্ত ! আমার দিকে এমন ভাবে তাকালো যেন আমি সদ্য কোন মানষিক হাসপাতাল থেকে পালিয়ে এসেছি ! তারপর এই ব্রীজের উপরে এসেছি ঝাপ দেওয়ার জন্য !
কিছুটা সময় উদাস হয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে বলল
-সাঁতার জানেন ?
-জি ?
-বলতেছি সাঁতার জানেন ?
-জি জানি !
-তাহলে মরবেন না ! কিছুই হবে না !
-যদি আমি না সাঁতরাই ?
আমি যেন খুব মজার কোন কথা বলেছি এমন একটা ভাব করে লোকটা খুব হাসলো ! তারপর আমার দিকে তাকিয়ে বলল
-যখন নাম মুখ দিয়ে পানি ঢুকবে তখন অন্য কিছু মনে থাকবে না ! বাঁচর জন্য এমনি টেই সাঁতরাবেন ! তার চেয়ে বরং ঘুমের ওষধ খান !
-ঘুমের ঔষধ ?
-হুম ! সব থেকে সহজ এবং কার্যকরী উপায় !
-কিন্তু আমাকে তো কেউ ঔষধ দিবে না, বিশেষ করে ডাক্তারের...।
-আরে কোন চিন্তা কইরেন না ! আমার নিজের ফার্মেসী আছে !
এই বলে লোকটা পকেট থেকে একটা কার্ড বের করে দিল ! সময় করে চলে আসবেন আমার দোকানে ! যতগুলো খুশি নিয়ে যাবেন ! আপনার জন্য ১০% ছাড় ! ওকে ?
লোকটা আর দাড়ালো না ! আপন মনে সিগ্রেট টানতে টানতে চলে গেল ! আমি এক ভাবে তাকিয়ে রইলাম নিচের বয়ে চলা নদীর টলটলা পানির দিকে ! আসলেই এখানে ঝাপ দিলে মরার সম্ভানা একেবারে কম !
খামোখা এটো দুরে এলাম মরার জন্য !
নিশির কান্না বিজাড়িত চোখ টা এখনও আমার সামনে ভাসছে ! মেয়েটা এমন করে কাঁদছিল !
এমন করে কাঁদে ?
আর আমি কিছুই করতে পারছিলাম না ! নিশির সেই কথার পরে আর কোন থাকতে পারে না ! নিশির কাছে জানত চেয়েছিলাম তোমার কাছে কে প্রিয় ? তুমি কাকে চাও ?
নিশি কোন কিছু স্পষ্ট করে বলতে পারে নি ! তার কেবল একটা কথাই সে তার বাবা মা কে ছেড়ে আসতে পারবে না এবং আমাকেও ছাড়তে পারবে না !
ফাজিল মাইয়ার দুইটাই চাই ! থাপড়ায়া দাঁত ফেলে দেওয়া উচিৎ !
যুগ যুগ থেকে কেবল একটা নিয়মই চলে আসছে ! কিছু পেতে হলে কিছু একটা হারাতে হবে ! কিন্তু মেয়ে কিছু হারাতে রাজি নয় !
এবং নিশির বাবা পরিস্কার করে বলে দিয়েছে যে আমার মত বেকার ছেলের কাছে তিনি মেয়ে বিয়ে দিবেন না ! তার উপরে আমার আব্বাও আমাকে পরিস্কার করে বলেছে যে চাকরী বাকরী না পেলে সেও আমাকে বিয়ে দিবে না !
আরে আব্বা রা এটা কেন বোঝে না যে এখনই কি চাকরি পাওয়ার সময় হয়েছে নাকি ? তবে এমন তো না যে আমি জীবনে চাকরী পাব না ! পাবো তো একদিন নাকি ?
কিন্তু না ! তারা চাকরীজীবি মানুষই চাই ! বেটা চাকরী ধুইয়া ধইয়া পানি খাইবি ?
নিশির মনে ক্ষীণ আশা ছিল যে আমার বাবা মা যদি নিশির বাবার কাছে গিয়ে আমাদের বিয়ের ব্যাপার কথা আলাপ করে তাহলে কিছু হলেও হতে পারে অন্তত নিশির বিয়ে টা আটকানো যেতে পারে !
কিন্তু এই কথা বাসায় বলাতে বাবা যেন আমাকে চিবিয়েই খেয়ে ফেলতে চায় ! আমার দিকে চোখ গরম করে বলল
-নাক টিপলে এখনও দুধ বেরুবে ছেলে এখন বিয়ে করবে ! আর এর জন্য আমাকে কার না কার কাছে হাত পাততে হবে !
আমি কিছু বলার চেষ্টা করলাম কিন্তু বাবার কারনে বলতে পারলাম না ! বাবা আমাকে স্পষ্ট করে বললেন কোন বেহুদা কাজে তিনি আমার সাথে নেই ! অবশ্য আমার বাবার কাছে আমার সব কাজই বেহুদা কাজ !
আমাকে কড়া বললেন
-সব কিছু বুলে গিয়ে মন দিয়ে পড়ালেখা করতে ! ভাল রেজাল্ট করলে একটা ভাল চাকরি জুটবে তখন কত সুন্দরী মেয়ে এসে হাজির হবে !
এই কথাই নিশির কাছে বলাতে নিশি কেঁদে কেটে একেবারে একাকার ! আমার দিকে তাকিয়ে বলল
-আমি তোমাকে ছাড়া কিছুতেই থাকতে পারবো না ! অন্য কাউকে বিয়েও করতে পারবো না !
আজকে বিকেল বেলা নিশি আমাকে মেসেজ পাঠিয়েছে আমাকে ছাড়া তার সব কিছু অর্থ হীন মনে হচ্ছে ! তার আর বেঁচে থাকার কোন ইচ্ছা নেই !
লাইন টা পরার পর আমারও কেন জানি আর কিছু ভাল লাগছে না ! তাই নদিতে ঝাপ দিয়ে এতো দুরে চলে এসেছি ! কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে এখানে এসে খুব বেশি লাভ হল না ! অন্য কোথাও যেতে হবে কিংবা ঐ লোকটার দোকান থেকে ঘুমের ঔষধ কিনতে হবে !
ফোন টা বন্ধই ছিল আমার ! ফোন ওন করে নিশির ফোনে কয়েকবার ফোন দিলাম ! কিন্তু ফোন টা বন্ধ আসলো ! আমি আবার আমার ফোন বন্ধ করে দিলাম !
মন টা আবারও উতলা হয়ে উঠলো ! নাহ ! আর বেঁচে থেকে কি করিবো !
নিশি রে নিশি
তোরে ভালবাসি বড় বেশি !
কিন্তু শেষ পর্যন্ত ঝাপ দিতে গিয়েও ঝাপ দিতে পারলাম না ! ঠিক সাহস হল না ! আর ঐ লোকটা থিউরী মতে আমি ঝাপ দিলেও মরবো না ! কি হবে ঝাপ দিয়ে ?
ঝাপ দেওয়ার চিন্তা বাদ দিয়ে ঐ লোকটার দোকানের দিকে রওনা দিলাম ! আজকে রাতেই সব কিছু ফয়সালা হয়ে যাবে ! আমার আব্বা বুঝবে আমার নাক টিপলে আসলে কি বের হয় !
বাসায় বেল বাজাতে যাবো তখন কেমন জানি একটু অন্য রকম লাগলো ! মনে হচ্ছিলো যেন কিছু একটা যেন ঠিক নেই ! বিশেষ করে দরজার সামনে বেশ কিছু জুতা স্যান্ডেল দেখলাম !
মেহমান এসেছে মনে হয় !
আমি বেল বাজালাম আর দরজা খুলে গেল প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ! এমন একটা ভাব যেন কেউ একজন ঠিক দরজার সামনেই দাড়িয়ে ছিল ! সে জানতো যে আমি এখন দরজায় বেল বাজাবো !
দরজার সামনে মা দাড়িয়ে ! গম্ভীর মুখে ! প্রয়োজনের থেকে একটু যেন বেশিই গম্ভীর ! আমি দরজায় দিয়ে ড্রয়িং রুমে ঢুকতেই ঘরে থাকা প্রতিটি চোখে আমার দিকে ঘুরে গেল !
আমি এটার জন্য ঠিক প্রস্তুত ছিলাম না !
নিশির বাবা মা আমাদের খয়েরী রংয়ের সোফার উপরে বসে আছে ! তার পাশে আমার বাবা, তিন জনই আমার দিকে অগ্নি চোখে তাকিয়ে আছে !
খাইছে !
আমি আবার কি করলাম ?
ব্রীজের উপর থেকে ঝাপ দেওয়ার কথা তো কারো জানার কথা না ! পকেটে করে ১০% ছাড়ে কিনে আনা ঘুমের ঔষধ গুলোর কথাও তো কারো জানার কথা না !
তাহলে কি নিশি ?
নিশি কিছু করেছে ?
ও মাই গড !
পাগল মেয়েটা কি করলো ?
কোন পাগলামো করে বসল নাতো ?
আব্বা কিছু বলতে যাবে তখনই মা বাবার দিকে তাকিয়ে বলল
-দেখো এখন আবার চিৎকার শুরু করে দিও না !
তবুও বাবা আমার দিকে তাকিয়ে বলল
-তুই আমার ছেলে হয়ে এমন একটা কাজ কিভাবে করলি ? থাপড়িয়ে তোর দাঁত ফেলে দেওয়া উচিৎ !
আমি ঝাপ দিতে গেছি এইটা আব্বা কিভাবে জানলো ! একবার ইচ্ছে হল আপনার ছেলে বলেই তো বাধ্য হয়ে গেছি ! তা না হলে যেতাম না ! কিন্তু বলতে পারলাম না ! মনে হল আব্বা নিশ্চই অন্য কিছু বলছে ! কিন্তু কোন বিষয় নিয়ে ?
নিশির সাথে প্রেম করছি এটা নিয়ে একবার আমাকে ঝাড়ি দিয়েছে ! আবার দিবে ?
আমি কিছু বুঝলাম না ! আরে বাবা ঠিক আছে ! নিশি কে ভালবাসি তই বলে এমন করে কেন কথা বলতে হবে ? আর নিশির বাবাও দেখি আমার দিকে কেমন চোখে তাকিয়ে আছে !
আরে আঙ্কেল আমি তো আর একলা প্রেম করি নি ! আপনার মেয়েও তো আমাকে ভালবাসে ! এমন করে তাকানোর মানে কি ?
তবুও আমার কেন জানি মনে হচ্ছে যে কিছু একটা ঠিক হচ্ছে না বা হয় নি ! এর আগেও তো ওনারা জানতেন যে নিশির সাথে আমার একটা কিছু আছে কিন্তু তখন কার সেই চোখ আর আজকের চোখের দৃষ্টি তো এক মনে হচ্ছে না !
সমস্যা টা কি ?
আমি আমার ঘরের ভিতর গিয়ে আরেকবার ধাক্কা খেলাম ! নিশি আমার কম্পিউটারের সামনে বসে আছে ! কি যেন করছে ! আমাকে ঢুকতে দেখে আমার দিকে তাকিয়ে একটু হাসলো, তারপর আবার পিসি মনিটরের দিকে চোখ ফেরালো ! এমন একটা ভাব করলো যেন খুব স্বাভাবিক কোন ঘটনা ! সে আমার এখানেই থাকে ! আমি প্রতিদিন এভাবেই ঘরে ঢুকি ! সে প্রতিদিন এভাবে একটু হাসে !
মানে কি কি হচ্ছে এসব ?
পিসি মনিটর থেকে চোখ না সরিয়ে নিশি আমাকে বলল
-এই তোমার পিসিটে তাহসানের না একটা গান ছিল "সেই সুতো হব" ? গান টা কোথায় আছে বল তো ?
আমি সত্যি সত্যি অবাক না হয়ে পারলাম না ! বাইরে আমার বাবা মা ওর বাবা মা আমার দিকে অগ্নি চোখে তাকিয়ে আছে আর এদিকে নিশি নিশ্চিন্তে তাহসানের গান খুজতেছে !
কি হচ্ছে এসব ?
মেয়ের মাথা ঠিক আছে তো ?
আমি বললাম
-কি বলছো এসব ?
-আহা ! বল না গান টা কোথায় ?
-ইউটিউব থেকে নামিয়ে নাও !
নিশি এমন চোখে আমার দিকে তাকলঅ যে গান টা আমার পিসিতে না থাকাকতে আমার বড় কোন অন্যায় হয়ে গেছে !
এসব কি হচ্ছে ?
কেন বা হচ্ছে ?
আমি নিশির পাশে বসতে বসতে বললাম
-কি হচ্ছে বল তো ? তোমার বাবা মা এখানে কি করছে ?
নিশি আমার দিকে তাকিয়ে বলল
-তোমার আর আমার বিয়ের কথা বলতে এসেছে !
-কি বলছো ? কিভাবে ?
এই কথার জবাব না দিয়ে নিশি কেবল একটা রহস্যময় হাসি দিলো !
আমি বললাম
-কি ?
-বলা যাবে না ! তবে শুনো তুমি কিন্তু কিছু বলবা না ! ওনারা যা বলবে কেবল মুখ বুঝে স হ্য করে যাবা ! মনে থাকবে
আমি এই কথারও কোন আগা মাথা বুঝতে পারলাম না ! আমি তো তেমন কিছুই করি নি ! একবার বাবা মার কাছ থেকে ঝাড়ি শুনে ফেলেছি কিন্তু নিশি এই কথা কেন বলল ?
সত্যি সত্যি রাত ১০ টার দিকে কাজী ডেকে আমাদের বিয়ে দিয়ে দেওয়া হল ! আমাদের দুজনের বাবা মা দুদিকে গম্ভীর মুখে বসে রইলেন ! এমন একটা ভাব যেন আমাদের বিয়ে হচ্ছে না ! আমরা মারা গেছি আমাদের যানাজায় ওনারা বসে আছেন !
আমার এসব কিছুই মাথার ভিতর ঢুকছিল না ! প্রথমে কেউ আমাদের বিয়েতে রাজি ছিল না । তারপর দুপক্ষই আমাদের কে বিয়ে দিয়ে দিল ! কিন্তু এমন একটা ভাব যেন আমরা কত বড় কোন অন্যায় করে ফেলেছি ! আমাদের বিয়ে না দিয়ে আর কোন উপায় ছিল না !
কাজী চলে যাওয়ার পরে আমি আর নিশি ওর বাবার কাছে গেলাম সালাম করতে তিনি আমার দিকে তকিয়ে বললেন
-তোমাকে আমি ভাল ছেলে ভেবেছিলাম !
কিছু বলতে নিশি মানা করেছিল তবুও মুখ ফসকে কথাটা বের হয়ে গেল !
-তাহলে আমার সাথে নিশির বিয়ে কেন দিলেন ?
আর যাবে কোথায় ! নিশির বাবা পারেন তো আমাকে খেয়ে ফেলেন ! বললেন
-ফাজিল ছোকড়া ! আবার কথা বলে ! থাপড়িয়ে দাঁত ফেলে দেবো ! আমার মেয়েকে বোকা পেয়ে ওর .......।
আরে সবাই আামর দাণনতের পেছনে কেন লেগেছে ! বাবা একটু আগে বললেন আমার দাঁত ফেলে দিবে এখন সদ্য হওয়া শ্বশুর মশাই ও বলতেছেন দাঁত ফেলে দিবে !
কিন্তু বোকা মেয়ে বলতে উনি ঠিক কোন দিকে ইঙ্গিত করলেন ঠিক বুঝলাম না ! নিশি কি বোকা ? আর আমি ওকে বোকা পেয়ে এমন কি করেছি ?
আশ্চর্য !!
কথাটা তিনি শেষ করলেন না ! ততক্ষনে নিশির মা চলে এসেছে ! তিনি এসে ওনাকে সামলালেন ! আমাকে নিশি টেনে ঘরের ভিতর নিয়ে এল !
আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না ! ভদ্রলোক আমার সাথে এমন কেন করছে ! কেবল ওনার মেয়ের কে ভালবাসি বলে এমন কেন করছে !
ঘরের ভিতর এসে নিশি আমার দিকে তাকিয়ে বলল
-তোমাকে না বললাম কোন কথা না বলতে !
-আরে মুখ দিয়ে বের হয়ে গেছে !
-মুখ দিয়ে বের হয়ে গেছে না ?
আমি বললাম
-কিন্তু আমি তো বুঝতে পারছি না ওনারা আমার উপর এতো রাগ কেন ? কি করলাম আমি ?
নিশির অন্য তাকিয়ে বলল
-কারন আছে !
-কি কারন ?
-আছে ! তোমার শোনা লাগবে না !
-আহা বল না !
নিশি কিছুক্ষন সময় নিলো ! তারপর অন্য দিকে তাকিয়ে বলল
-আমি ওনাদের বলেছি যে আই এম প্রেগনেন্....।
নিশি সম্পুর্ন শব্দ টা ঠিক মত বললও না ! আমি কিছুক্ষনের জন্য কথা হারিয়ে ফেললাম ! মনে হল ১০ তলা বিল্ডিং থেকে আমাকে কেউ ধাক্কা দিছে ! না ঠিক ১০ তলা বিল্ডিং থেকে না, বুরুজ দুবাইয়ের ছাদ থেকে আমাকে কেউ ধাক্কা দিলেও আমি এতো টা মানষিক ধাক্কা খেতাম না যতটা না নিশির কথা শুনে ধাক্কা টা খেলাম !
এই দুই আড়াই বছরের রিলেশনে আমি বড় জোর ওকে কয়েকবার চুম খেয়েছি ! আর এই মেয়ে কি বলে এসব ?
কেবল চুম তে কি এটা সম্ভব !
আমার অবাক হওয়া চোখ দেখে নিশি বলল
-আহা এমন করে কেন তাকিয়ে আছ ? আমি বলেছিলাম না আমি কাউকে হারাতে পারবো না ! তোমাকে না ! তাদেরকেও না !
-তাই বলে এই কাজ করবে ? এর থেকে ১৫/২০ টা ঘুমের ঔষধ খেতে !
-কি ?
আমি পকেট থেকে ফার্মেসী থেকে কেনা ঘুমের ঔষধ গুলো নিশিকে দেখালাম ! নিশি কিছুক্ষন আমার দিকে তাকিয়ে থেকে বলল
-কাজ হত না ! বাবা রাজি হতেন না ! এর থেকে এটাই সহজ !
-তুমি বললে আর তোমার বাবা বিশ্বাস করে নিলো ?
এই কথার উত্তর নিশি অদ্ভুদ ভাবে হাসলো ! বলল
-আচ্ছা ওসব বাদ দাও ! এখন তো আমাদের বিয়ে হয়ে গেছে এটাই সব থেকে বড় কথা ! আজকে আমাদের বাসর রাত ! অন্য কোন কথা বাদ দাও ! ঠিক আছে !
আমি কেবল নিশির দিকে তাকিয়ে রইলাম ! বাইরের কোন কিছু মেয়েটাকে স্পর্শ করে না ! এই মেয়েটা শেষ পর্যন্ত আমাকে বিয়ে করেই ছাড়লো ! কিন্তু আমার কত বড় বাঁশ দিল তা যদি এই মেয়ে বুঝতো ! আজকে ঘুমের ঔষধ খায়ে চিরো নিদ্রায় যাবো ভেবে ছিলাম কিন্তু আজকে তো এই মেয়ে আমাকে এমনিতেই একেবারে চিরো নিদ্রায় শুইয়ে দিল ! এর থেকে সুইসাইড করারই তো ভাল ছিল !
জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা
বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন
আত্মপোলব্ধি......
আত্মপোলব্ধি......
একটা বয়স পর্যন্ত অনিশ্চয়তার পর মানুষ তার জীবন সম্পর্কে মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যায়। এই বয়সটা হল পঁয়ত্রিশ এর আশেপাশে। মানব জন্মের সবকিছু যে অর্থহীন এবং সস্তা সেটা বোঝার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন
জীবন থেকে নেয়া ইলিশ মাছের কিছু স্মৃতি !
হঠাৎ ইলিশ মাছ খেতে ইচ্ছে হল । সাথে সাথে জিভে ..জল... চলে এল । তার জন্য একটু সময়ের প্রয়োজন, এই ফাঁকে আমার জীবন থেকে নেয়া ইলিশ মাছের কিছু স্মৃতি... ...বাকিটুকু পড়ুন
ট্রাম্প ক্ষমতায় আসছে এটা ১০০% নিশ্চিত। আমেরিকায় ইতিহাসে মহিলা প্রেসিডেন্ট হয়নি আর হবেও না।
আর এস এস সহ উগ্র হিন্দুদের লিখে দেওয়া কথা টুইট করেছে ট্রাম্প। হিন্দুদের ভোট-আর ইন্ডিয়ান লবিংএর জন্য ট্রাম্পের এই টুইট। যার সাথে সত্যতার কোন মিল নেই। ট্রাম্প আগেরবার ক্ষমতায়... ...বাকিটুকু পড়ুন
ট্রাম্প জিতলে কঠোর মূল্য দিতে হবে ইউসুফ সরকারকে?
ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক মন্তব্যে বাংলাদেশের মিডিয়ায় ঝড় উঠেছে। ৫ তারিখের নির্বাচনে ট্রাম্প জিতলে আরেকবার বাংলাদেশের মিষ্টির দোকান খালি হবে।
আমি এর পক্ষে বিপক্ষে কিছু না বললেও ডায়বেটিসের রুগী হিসেবে আমি সবসময়... ...বাকিটুকু পড়ুন