গল্পঃ তোমার গল্পের মৃত রাজকন্যা !!
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
আমি আমার নিজের চোখটাকে যেন ঠিক বিশ্বাস করতে পারছিলাম না ! আসলেই কি ?
আমি আড়াল থেকে বের হয়ে এর একটু এগিয়ে গেলাম ভাল করে দেখার জন্য !!
আমার থেকে দুরে ছেলেটা পার্কের বেঞ্চে বসে আছে ! ছেলেটা কেন বলছি ?
আশ্চর্য ?
ওখানে অপু বসে আছে !
সত্যি তো ?
আমার চোখটা বেশ পরিস্কার ! আমার চোখ কিছুতেই ভুল করতে পারে না ! অবশ্যই না !
আমি নিশ্চিত যে ঐ টা অপুই !
কিন্তু এতো দিন পরে, এই এতো দুরে অপুর সাথে আবার দেখা হবে আমি ভাবতে পারছি না ! বিশ্বাস করতে পারছি না !
কত দিন হবে ?
ছয় সাত বছর ? হুম ! তা তো হবেই ! আরও বেশি হবে !
আমি আশ্চর্য হয়ে গেলাম এই দেখে যে অপুর চেহারাটা আমি এখনও ভুলি নি ! অনেক পরিবর্তন এসেছে ওর চেহারায় ! একটু লম্বা হয়েছে ! স্বাস্থ্যও যেন একটু ভাল হয়েছে ! চোখে আগে চশমা পরতো না ! এখন পরে ! কালো লম্বা তখনও ছিল, এখনও আছে ! বেশ বড় হয়েছ কিন্ত চেহারায় সেই বাচ্চা বাচ্চা ভাবটা এখনও রয়েই গেছে ! আমি আরও কিছুক্ষন তাকিয়ে রইলাম ওর দিকে ! পার্কের বেঞ্চে অনেক্ষন ধরে বসে আছে ! কানে হেড ফোন লাগানো আছে ! গান শুনছে !
যাবো ?
না থাক ! নিজের কাজে যাচ্ছিলাম নিজের কাজে যাই ! কি দরকার পুরানো কষ্ট গুলো আবার জাগিয়ে তোলার !
চলে যওয়াই ভাল !
হঠাৎ করেই মনটা বিদ্রোহ করে উঠলো ! না, ওর সাথে দেখা করবো ! কথা বলবো !
কিন্তু বিদ্রোহী মনের বিরুদ্ধে আবার মনের অন্য একটা অংশ বিদ্রোহ করে উঠলো ! পুরানো কিছু কথা মনে হতেই আমি নিজের মন কে সামলে নিলাম ! বারবার মনে হল, না, কিছুতেই ওর সাথে দেখা করা যাবে না ! যে সম্পর্ক বহু আগেই শেষ হয়ে গেছে সেই সম্পর্কের কারনে কষ্ট পেতে আমি কিছুতেই রাজি নই !
কিন্তু আমি তখনও জানি না আসলেই কি সেই সম্পর্ক নষ্ট হয়েছে ?
আমি ঘুরে উল্টো পথে হাটা দিলাম ! ক্যাম্পাসে একটা কাজ ছিল ! গেলাম না ! সোজা নিজের রুমে গিয়ে দরজা জানালা বন্ধ করে শুয়ে রইলাম কিছুক্ষন ! কিন্তু কেন জানি কিছুতেই শান্তি পাচ্ছিলাম না ! বারবার মনে হচ্ছিল যে ছেলেটার সাথে একটু দেখা করার দরকার ছিল ! একটু কথা বলা দরকার ছিল !
বুকের ভেতর টা ফাঁকা ফাঁকা লাগছিল ! আর না থাকতে পেরে লাইট জ্বলালাম ! জিন্স আর টিশার্ট পরেই শুয়ে পড়েছিলাম ! কেবল জুতাটা পায়ে লাগিয়ে আবারও রওনা দিলাম সেন্ট জোসফ পার্কের উদ্দেশ্যে ! কেবল মনে হচ্ছিল অপুর সাথে কথা বলতে হবে ! কত দিন ওর হাত টা ধরি না ! একটা বার ওর হাত না ধরলে কিছুতেই শান্তি পাবো না !
কিন্তু সেখানে গিয়ে অপু কে পেলাম না ! ঠিক ও যেখানে বসে ছিল সেখানে বসে রইলাম ! কোন কারন নেই বসে থাকার ! তবে কেন জানি মনে হচ্ছিল যে আমি ওর ছোঁয়া পাচ্ছিলাম ! বুকের ভেতর টা কেমন একটা উথাল পাতাল করছিল !
চাইলেই আজকে ওর সাথে কথা বলা যেত, ওর হাত ধরা যেত অথবা জড়িয়ে ধরা !
যেত কি ?
আশ্চার্য হয়ে গেলাম এই ভেবে যে এই এতো বছর পরে ছেলেটাকে কিছুতেই ভুলতে পারি নি ! কিছুতেই না ! অনুভুতিটা ঠিক আগের মতই রয়ে গেছে ! একটু অনুতির কোন পরিবর্তন হয় নি !
একদম আগের মত !
বেশ রাত করেই রুমে ফিরলাম ! রুমমেট আমার দিকে তাকিয়ে বেশ চমকে উঠলো ! বারবার জানতে চাইলো আমার কি হয়েছে !
কোন সমস্যায় পরেছি কি না !
আমার কেন জানি উত্তর দিতে মন চাইলো না ! আমার পুরো চিন্তা জুড়ে তখন অপু ! আর কেবলই অপুই রয়েছে ! আর কিছু না !
তখনই কোন ক্লাস পড়ি ?
টেন এ ! স্কুলের সামনে প্রায়ই অপুকে দাড়িয়ে থাকতে দেখতাম ! পাশিপাশি স্কুল হওয়াতে স্কুল শেষে অপু আমার স্কুলের সামনে এসে দাড়াতো ! তারপর আমার সাথে বাসায় আসতো হেটে ! একই এলাকায় আমাদের বাসা ছিল ! প্রথম প্রথম ব্যাপার টা ভাল না লাগলেও পরে আস্তে আস্তে ভাল লাগতে শুরু করে !
ভাল লাগতো এই কারনে যে অপু কিছু বলতো না ! আমার সাথে এমন কি আলাপ জমানোর চেষ্টাও করতো না ! কেবল পাশিপাশি হাটতো ! একেবারে আমাদের বাসা পর্যন্ত !
এর পরে যখন নিজেদের বাসার দিকে যেত কত বার যে আমার দিকে পেছন ফিরে তাকাতো বলে বোঝাতে পারবো না ! এতো মায়া লাগতো তখন ! আমিও গেটের কাছে দাড়িয়ে থেকে ওর পেছন ফেরা দেখতাম !
কিন্তু আমার কিছু করার ছিল না ! আমার বাবার ওদের এলাকায় একটা মিশনারী হাসপাতালের ডাক্তার ছিলেন ! খ্রিষ্টান আমরা ! আর ওরা ছিল মুসলমান ! চাওয়া সত্ত্বেও আমার কিছু ছিল না ! একটা দেওয়াল আমাদের মাঝে ছিলই সব সব সময় !
কিন্তু সেই দেওয়াল টা বেশি দিন ধরে রাখতে পারলাম না ! ও মাঝে মাঝে আমাকে চিঠি লিখতো ! একদিন সব কিছু ভুলে গিয়ে আমি নিজেও ওর চিঠির জবাব দিতে লাগলাম !
আমার এখনও সেদিনের কথা মনে আছে যে যেদিন প্রথম ওকে চিঠি দিয়ে ছিলাম,ওর চোখে আনন্দের পানি দেখেছিলাম ! কি পরিমান খুশি হয়েছিলো ও না সে টা ওকে না দেখলে বোঝা যেত না ! ওর খুশি দেখে কেন জানি আমর নিজেরও মন অনেক ভাল হয়ে গেল !
তারপর আর পেছন ফিরে তাকাতে পারি নি ! চিঠির সাথে কথা সাথে এদিক ওদিক ওদিক ঘোরাঘুরি !
কিন্তু সব সময় মনের ভেতর একটা ভয় আমার লেগে থাকতো ! মনে হত যখন আমাদের কথা জানা জানি হবে তখন কি হবে ?
ওর পরিবার সমাজের প্রভাবশালীদের দলে ! ওর বাবা এলাকার রাজনৈতিক দলের নেতা ! আমি মাঝে মাঝে ভয় পেতাম ! বড় বেশি ভয় !
কিন্তু যখন ওর সাথে থাকতাম তখন আর কিছু মনে হত না !
ও চিঠিতে আমার রাজকন্যা বলে ডাকতো ! আমি নাকি ওর গল্পের রাজকন্যা ! আমি চিঠির জবাবে মজা করে লিখলাম তোমার গল্পের মৃত রাজকন্যা !
ও খুব রেগে যেত ! বলত আমি কেন এমন শব্দ লিখি !
আমি হেসে বলতাম, এমনই তো ?
আমি কি আসলেই কোন দিন ওর গল্পের রাজকন্যা হতে পারবো ?
এই সমাজ কি সেই টা মেনে নিবে ?
একদিন সত্যি সত্যি সেটা বাইরে জানাজানি হয়ে গেল ! একদিন না একদিন হতই ! যা ভেবেছিলাম তার থেকেই ভয়ংকর কিছু হল ! আমার বাবাকে বেশ অপমান সহ্য করতে হল আমার কারনে ! একে তো আমরা এখানে স্থানীয় না, তার উপরে আবার মিশনারী হাসপাতালে চাকরি করতো ! তার উপরে স্রিস্টান ! সব কিচুই আমাদের বিপরীতে ছিল ! ওর বাবা আমাদেরকে এক মাসের ভিতর এলাকা ছাড়ার কথা বললেন !
তখন আমার এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে শেষ হয়েছে মাত্র ! বাবা আর ঝামেলা করতে চাইলেন না ! কেবল আমাদর কে নিয়ে ঢাকায় চলে এলেন !
সব কিছু হয়তো এমনই হত ! কেবল চলে আসার দিন একজনের কাছ থেকে খবর পেলাম যে অপু নাকি নিজের হাতের রগ কেটে ফেলেছে ! অনেক রক্ত পরেছে ! আসার পথে খুব ইচ্ছে ছিল ওকে একটু দেখতে ! কিন্তু কোন উপায় ছিল না !
তারপর আর ওর সাথে আমার দেখা হয় নি ! তখন যোগাযোগ এতো ভাল ছিল না এতো যোগাযোগের মাধ্যমও গড়ে ওঠে নি ! তারপর কত দিন কেটে গেছে !
অনার্স শেষ করে ছয়মাস হল এসেছে এখানে ! মাস্টার্স টা এখানে করার ইচ্ছে ! ঠিক এই সময়েই অপুকে দেখলাম !
সারাটা রাত ধরে কেবল অপু আর অপু ছাড়া মাথার ভিতর আর কিছুই কাজ করলো না ! কিছু না !
সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে ক্যাম্পাসে গেলাম না ! সোজা চলে গেলাম সেন্ট জোসেফ পার্কে ! আজকে সারাটা দিন এখানে বসে থাকবো ! অপু যেহেতু এখানে এসেছিল আবারও আসতে পারে !
যদিও সে যে আসবেই এটা ভাবা বোকাবমী কিন্তু আমার আর কি করা আছে ! কিছু করার নেই !
মন কে শান্ত করার জন্য কিচু তো একটা করার লাগবে !
কতক্ষন বসেছি মনে নেই ! হঠাৎ পেছন থেকে কেউ একজন আমার কাধে হাত রাখলো ! সঙ্গে সঙ্গে আমার পুরো শরীর কেঁপে উঠলো ! চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়লো আপনা আপনি !
অপু যখন সামনে এসে দাড়ালো আমি কিছুতেই নিজেকে ধরে রাখতে পারলাম না ! দেশে হলে একটা কথা ছিল কিন্তু এখানে কোন সমস্যা নেই ! এখানে খোলা রাস্তায় ওকে জড়িয়ে ধরলে কেউ আমাকে কিছু বলতে পারে না ! কেউ না !
ওকে জড়িয়ে ধরা অবস্থায়ই অনুভব করতে পারছিলাম যে আমার বুকের ভেতরে আমি ঠিক সে রকমই অনুভুব করছি যেমন টা অনুভব করতাম সেই স্কুলে থাকতে ওকে জড়িয়ে ধরার সময় !
অপু আমাকে জড়িয়ে ধরেই বলল
-কালকে তুমি আমাকে দেখেও আসলে না কেন ?
ওকে ছেড়ে দিয়ে অবাক হয়ে বললাম
-মানে ?
-মানে তুমি কালকে আমাকে দেখা সত্ত্বেও আমার সাথে কথা বলতে এলে না কেন ? তোমার চলে যাওয়া দেখে একটু খারাপই লাগছিল !
-তুমি আমাকে দেখেছিলে ?
এই কথার জবাবে অপু একটু হাসি দিল !
বলল
-আমি গত একমাস ধরেই জানি তুমি এখানে আছো ?
-মানে কি ?
আমি কিছুতেই কিছু বুঝতে পারছিলাম না ! অপু কি বলছে কিছু বুঝে উঠতে পারছি না !
অপু বলল
-আমি তোমার এখানে আসাটার খবর জেনেই এখানে এসেছি ! না হলে আমার ইউএসে যাওয়ার ইচ্ছে ছিল ! কেবল তোমার জন্য এখানে এসেছি ! এখানে এসে প্রথমে তোমাকে খুজে বের করেছি ! তুমি কোথায় থাকো ?
-তুমি এটাও জানো ?
-গত একমাসে তুমি প্রতিদিন কোন দোকান থেকে তোমার খাবার কিনেছ সেটাও আমি জানি !
আমার মনে বারবার মনে হচ্ছিল ও কিভাবে এটা জানে ? এটা সম্ভব ?
নাকি আমি সপ্নে দেখতেছি ?
আমি ওর বুকে একটা কিল মেরে বললাম
-তাহলে বল নি কেন ?
-জানি না ! বারবার মনে হয়েছে তুমি যদি আমাকে ভুলে গিয়ে থাকো ? যেভাবে আমার বাবা তোমাদের কে এলাকা থেকে চলে যেতে বাধ্য করেছিল...।
অপু কথা টা শেষ করলো না !
আমি কোন কথা বললাম না ! কেবল তাকিয়ে রইলাম !
অপু আবার বলল
-তাই তো কদিন থেকে তোমার দৃষ্টি আকর্ষনের চেষ্টা করছিলাম ! আজকে এখানে বসে থকাতাম তো কাল ওখানে ! গত কালকে কেবল তুমি আমাকে দেখলে !
-তুমি একটা গাধা ! আস্তা গাধা ! তোমাকে মনে হচ্ছে মনে হচ্ছে ..।
-কি খুন করতে ?
-হ্যা ! এমন কেউ করে ? আমি তোমার রাজকন্যা না ? আমি কি তোমাকে ভুলে যেতে পারি ?
অপু হাসলো ! সেই চিরো চেনা আনন্দের হাসি দেখে কত দিন পরে নিজের মনে একটা শান্তি পেলাম বলতে পারবো না !
কিন্তু পরক্ষনেই আবার সেই সেই ভয়টা ফিরে এল ! আবার কি এমন কিছু হবে ! ওর জীবনের মৃত রাজকন্যার হয়ে কি আবার ওকে আমার হারিয়ে ফেলতে হবে ?
আমার মনের কথাই যেন ও বুঝে ফেলল !
আমার চোখের দিকে তাকিয়ে বলল
-না ! তুমি কিছুতেই আমার গল্পের মৃত রাজকন্যা না ! তুমি আমার গল্পের সব থেকে জীবন্ত রাজকন্যা ! এবার কিছুতেই আমি তোমাকে হারিয়ে যেতে দিবো না ! কিছুতেই না ! তুমি বুঝে মেয়ে ? বুঝেছ ?
আমি কেবল মাথা নাড়লাম ! কিচু বলতে পারছিলাম না !
আমি কিছু বলতে পারলাম না ! আসলেই কি ওর গল্পের মৃত রাজকন্যা থেকে জীবন্ত রাজকন্যা হতে পারবো আমি ?
জানি না !
আমি আসলেই জানি না !
১২টি মন্তব্য ১২টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ হঠাৎ মেহজাবীনের পিছে লাগছে কেন ?
স্বৈরচারী আওয়ামীলীগ এইবার অভিনেত্রী মেহজাবীনের পিছনে লাগছে। ৫ ই আগস্ট মেহজাবীন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন ‘স্বাধীন’। সেই স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট যুক্ত করে অভিনেত্রীকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ তার অফিসিয়াল ফেইসবুকে... ...বাকিটুকু পড়ুন
বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?
সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী
বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন
জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন
=বেলা যে যায় চলে=
রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।
সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন