গতরাতে দূর্ভাষীর পোস্টে আপনারা জেনেছিলেন আজ ভোর ৫ টায় আমরা বাগেরহাটের ফকিরহাটের উদ্দেশ্যে রওনা হব আমার নানী শ্বাশুড়ির নামাযে জানাযায় শরীক হতে। সেইমত আজ ভোরে আমরা (আমি, দূর্ভাষী, আমার শ্বাশুড়ি, ভাসুর, জা, এক খালাত দেবর ও এক মামাত ভাসুর ঢাকা থেকে বাগেরহাটের উদ্দেশ্যে রওনা হই।
বেলা একটা ৩৫ মিনিটে আমরা যখন গোপালগঞ্জের কাছাকাছি, গাড়ি চলছিল মাওয়া মংলা হাইওয়ে ধরে হঠাৎ একটি বাচ্চা মেয়ে দৌড়ে রাস্তা পার হতে যায় এবং তাকে বাচানোর আপ্রান চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় আমাদের চালক। আর এরপর চোখের নিমেষে সব যেন উল্টো পাল্টা হয়ে গেল। আমাদের গাড়ি রাস্তার পাশের গাছ পালা ভাংতে ভাংতে গড়িয়ে পড়ে খাদে।
আমরা সবাই কমবেশী আহত। তবে সবচেয়ে আহত হয়েছে দূর্ভাষী আর ওর পাণের থেকে প্রিয় ভাতিজি শারলি। দূর্ভাষী বাম পায়ে এবং মাথায় মারাত্নক আহত হয়েছে। শারলির মেরুদন্ডের একটি কশেরুকা ভেংগে গেছে। আর মামাত ভাসুর এর মাথা কেটে গেছে, ১৫ টি স্ট্রিচ দিতে হয়েছে।
আমার শ্বাশুড়ি মুখে আর মাথায় মারাত্নক আঘাত পেয়েছে।
নানীর জানাজা আর পড়া হয়নি দূর্ভাষীর। ওরা চারজন এখন হাসপাতালে ভর্তি। সকলের কাছে ওদের সুস্থতার জন্য দোয়া কামনা করছি।
গ্রামে রয়েছি, নেট স্পীড এর করুন দশা, তাই সবসময় হয়ত আপডেট দিতে পারব না, এজন্য দুঃখিত।