ইনফ্লুয়েঞ্জা এ ( এইচ ১ এন ১) [ সোয়াইন ফ্লু ] নামের এক অতি ছোঁয়াছে ইনফ্লুয়েঞ্জা অনেকগুলো দেশে কয়েক হাজার মানুষকে সংক্রমিত করেছে। এরোগ মহামারী আকারে দেখা দিলে মানুষের মৃত্যু হতে পারে। অতীতে এ ধরনের মহামারীতে কয়েক কোটি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
কিছু স্বাস্থ্যসম্মত আচরণের দ্বারা আপনি ফ্লু থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখতে পারেন। বাংলাদেশে সোয়াইন ফ্লু ছড়িয়ে যাওয়ার পর সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় কিছু তথ্য জনসাধারণের সচেতনতার জন্য ব্যপক প্রচারের চেষ্টা করছে। নিচের সবটুকু এবং এই প্যারা ছাড়া উপরের সবটুকু লেখা সরকারের এমনি একটি বুকলেটের হুবহু কপি।

এই বিষয়ক বিস্তারিত তথ্যের জন্য প্রয়োজনে যোগাযোগ করা যেতে পারে:
রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট
( আইইডিসিআর),মহাখালী,ঢাকা- ১২১২।
ন্যাশনাল ইনফ্লুয়েঞ্জা সেন্টার ( এনআইসি), বাংলাদেশ।
ফোন: ৯৮৯৮৭৯৬,৯৮৯৮৬৯১
এই পোস্টের কোন মন্তব্যের জবাব দেয়ার সাধ্য আমার থাকবে না। রোগ শোক নিয়ে জীবনের প্রথম ও শেষ লেখাটি সম্মানিত চিকিৎসকগন ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আশা করি।
* শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণের লক্ষণসমূহ [সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা, শ্বাস কষ্ট]
সোয়াইন ফ্লু কিভাবে ছড়ায়?
* দেখা গেছে যে, সাধারণ ফ্লু যেভাবে ছড়ায় সোয়াইন ফ্লু-ও সেভাবেই ছড়ায়।
* ফ্লুতে আক্রান্ত মানুষের হাঁচি-কাশির মাধ্যমে সাধারণতঃ এটি ছড়ায়।
* এ ছাড়াও ফ্লু ভাইরাস লেগেছে এমন জিনিসপত্র যদি কেউ ছোঁয় এবং সে হাত দিয়ে নাক-মুখ ছুঁলে ভাইরাস সংক্রমণ ঘটতে পারে।
কিভাবে অসুস্থতা থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখবেন?
প্রতিদিন কিছু নিয়ম-নীতি মেনে চললে ফ্লু’র মত ভাইরাসজনিত শ্বাসতন্ত্রের অন্যান্য রোগ ঠেকানো যায়। ফ্লু থেকে সুস্থ থাকার জন্য এ সব নিয়ম মেনে চলুন:
* হাঁচি বা কাশির সময় নাক ও মুখ টিস্যু দিয়ে ঢাকুন। ব্যবহারের পরে টিস্যু পেপার ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট স্থানে ফেলুন।
* টিস্যু না থাকলে হাঁচি-কাশি দেয়ার সময় খালি হাত দিয়ে নাক মুখ না ঢেকে জামার আস্তিন দিয়ে ঢাকুন।
* নিয়মিতভাবে সাবান-পানি দিয়ে হাত ধুতে হবে, বিশেষ করে হাঁচি-কাশির পরে। সাবান ফ্লু ভাইরাসকে ধ্বংস করে।
* চোখ-নাক-মুখ হাত দেয়ে ছোঁয়া থেকে বিরত থাকুন। তা না হলে ভাইরাস ছড়াবে।
* ফ্লু আক্রান্ত রোগীর কাছ থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন।
* আপনি ফ্লু’তে আক্রান্ত হলে বাড়ীর অন্যদেরকে আপনার কাছে আসতে দেবন না। আপনি বাড়ী থেকে বের হবেন না।
নিম্নোক্ত যাত্রীদেরকে স্বাস্থ্য সহায়তা ডেস্কে রিপোর্ট করার অনুরোধ করা হচ্ছে
* যাদের ফ্লু’র লক্ষণ রয়েছে:
* জ্বর এবং
সর্দি/হাঁচি-কাশি/গলা ব্যথা/শ্বাস কষ্ট
* যারা সোয়াইন ফ্লু আক্রান্ত দেশ থেকে এসেছেন
* গত ১০ দিনে যারা সোয়াইন ফ্লু আক্রান্ত দেশে থেকেছেন

আপনাকে যা করতে হবে
* ডেস্কে গিয়ে একটি স্বাস্থ্য ফরম পূরণ করুন।
* স্বাস্থ্য কর্মীগণ আপনাকে ফরম পূরণ করতে সহায়তা করবেন
* আপনার ফ্লু সন্দেহ হলে স্বাস্থ্য কর্মীগণ আপনাকে ফ্লু’র জন্য পরীক্ষা করবেন ও স্বাস্থ্য সেবার ব্যবস্থা করবেন
* ল্যাবরেটরী পরীক্ষার ফলাফল পেতে ২৪ ঘন্টা সময় লাগবে। সে পর্যন্ত ঘরে থাকুন। ঘরের অন্যান্য সুস্থ মানুষদের থেকে আলাদা থাকুন। মাস্ক পরে থাকুন।
* পরীক্ষায় ফ্লু-তে আক্রান্ত বলে সনাক্ত হলে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ আপনার সাথে চিকিৎসার জন্য যোগাযোগ করবেন।
* লক্ষণ হতে ১০ দিন পর্যন্ত ঘরে থাকুন। সুস্থ মানুষদের থেকে আলাদা থাকুন। সব সময় মাস্ক পরে থাকুন।
খুব বেশী অসুস্থ হলে মহাখালীস্থ বক্ষব্যাধী হাসপাতালে যোগাযোগ করুন।
(টেলিফোন নং: ৯৮৯৯৪২২,৯৮৯৯৪২৩,৮৮১৬২৭২,৮৮১৬২৬৯) তারা আপনার চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন।
এছাড়াও নিম্নোক্ত হাসপাতালগুলোতে যোগাযোগ করতে পারেন।
১. ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল
২. স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতাল
৩. শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল
৪. জাতীয় বক্ষব্যাধি হাসপাতাল
৫. সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল
৬. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল
৭. বারডেম (ডায়াবেটিক) হাসপাতাল
৮. বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল
৯. উত্তরা আধুনিক হাসপাতাল
১০. হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতাল
১১. ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল
১২. ঢাকা শিশু হাসপাতাল
১৩. শাহাবুদ্দিন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল
১৪. মহানগর জেনারেল (শ্রমজীবী) হাসপাতাল
১৫. মহানগর শিশু হাসপাতাল
১৬. ঢাকা সিটি কর্পোরেশানের ওয়ার্ড সমূহের ৯৫টি স্বাস্থ্য কেন্দ্র (এনজিও পরিচালিত)
বিস্তারিত তথ্যের জন্য দেখুন: iedcr
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:১৯