আমাকে দিয়ে গান হবে না
চাইলেই আমি পারি না
ঝরে পড়া পাতার শব্দ
দূরে কোথাও গানে’র শব্দ
পাখিদের ঘুমের ঘোরে নড়াচড়া’র শব্দ
রাত, রাতের শব্দ
নিজেরাই লিখবে গান
নিজেরাই কবিতা ছড়াবে
শেয়ালের হ্যা হ্যা শব্দে উপহাস করবে
কুকুর ধমকাবে সারা রাত
তবু আমাকে দিয়ে গান হবে না।
লিখতে চাইলেই ভূতের মতো জড়াবে
সাদা কুয়াশা
আমি কলম ছেড়ে হাতে নেব সিগারেট
ছোট ছোট ফুটো করে দিয়ে কুয়াশার চাদরে
তাতে ভরে দেব আমার হৃদয়ের কুয়াশা দিয়ে
টুপটাপ টিনের চালে পড়বে শিশির
টিনের চালে, পাতার শিশির
আমার লেখা ধুয়ে নিয়ে যাবে
কিছুতেই তারা বলতে দেবে না
তার বর্ণনা, রাতের মায়াময় শরীর
কাছে টানবে, জড়াবে
ছলনায় দূরে ঠেলে দেবে
আমার লেখার কলম
রাত্রীর দোহাই:
কবি, তুমি দেখতে চাও, দেখাবো তোমায়
প্রতিটি ভাঁজে, (আহ, ‘শর্বরী’!)
শুধু লিখতে যেও না
দেখো আমায়, ভালোবাসো
কাছে আসো, হও শিহরিত
শুধু সাদা পাতায় বাঁধতে যেও না আমায়
আমি শুধু তোমার চোখে
তোমার প্রতিটি রোমে
অনুভবে, কাঁপুনিতে
হাতে হাত রেখে বসে থাকবো।
শুধু লিখতে যেও না আমায়
লিখলেই তুমি পতিতার মতো
বাজারে চড়াবে
মানুষের ঠোঁটে ঠোঁটে হাতে হাতে
ছড়াবে।
আমি তোমাকে ভালবাসি
শুধু তোমাকেই
তুমি বোঝো না কেন ধরা দেই.
কাছে আসি?
তুমি আমাকে নাও
তুমি লিখতে যেও না
আমার রুপ দেখো তুমি
আমাকে ভালোবাসো তুমি
গোপনে
কবি, তুমি কলম থামাও।
তোমার কবিতারা, যাদের জন্যে
আলো জ্বেলে আমাকেই দূরে ঠেলছো
কবিতারাই বড়ো হলো
সামনে আমি থেকেও?
অবশেষ:আমার রাত, আমার একান্ত রাত্রী
অভিমানী বড়
আমি কলম থামালাম
বাতি নিভালাম।
এখন এক হাতে সিগারেট
রাত্রী আর আমি।
ডিসেম্বর ২৫, ২০১০
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১১ ভোর ৪:৫২