আমাদের মানবিকতা আজব এক বস্তু। কখন যে জেগে উঠে বলা মুস্কিল। গণপিটুনিতে একজন ছিনতাইকারী মারা গেলে আমাদের কষ্ট হয়। মানবিকতা জেগে উঠে। উফ! এভাবে একটা মানুষকে পিটিয়ে মেরে ফেলা! কি নির্মম! অথচ, কিছুদিন আগেই যদি আমাদের কোন প্রিয়জন ছিনতাইকারীর শিকার হয়ে থাকেন, তাহলে এই মৃত্যুতে আমরা বগল বাজাই।
আমি হলুদ সাংবাদিকতার পত্রিকাগুলো এড়িয়ে চলি। কিন্তু, গতকাল মতিঝিল যাবার সময় বাংলাবাজার পত্রিকাটা কিনেছিলাম। পত্রিকায় একটা ছবি দেখে চমকে উঠি। তাহেরদীন নাভেদের বাহুলগ্না হয়ে রুমানা মঞ্জুর দাঁড়িয়ে আছেন! অথচ,প্রথম দিকে এ নামের যুবকের অস্তিত্বই খুঁজে পাননি অনেক! সব হাসান সাইদের বানোয়াট গল্প ছিলো! নাভেদ যেই গল্পের কল্পিত নায়ক!
হাসান সাইদ মারা গেছে। পশুটার উপযুক্ত মৃত্যু হয়েছে। শুনে ভালো লেগেছিলো।
কিন্তু গতকালের রুমানার বাহুলগ্না হয়ে তোলা ছবিটা দেখে খুব খারাপ লাগলো। আমার স্ত্রীকে অন্যের বাহুলগ্না দেখলে, আমার কতটুকু খারাপ লাগবে বুঝলাম।
সত্য কখনো চাপা থাকেনা। একদিন তা প্রকাশ পাবেই। হয়তো, হাসান সাইদের সন্তান বড় হয়ে,তাঁর বাবার প্রতি মানুষের অবিচারের বিচার চাইবে। মাকে ঘৃনা করবে।
কবি হেলাল হাফিজ বলেছিলেন-
"যদি কেউ ভালোবেসে খুনী হতে চান
তাই হয়ে যান "
(সুশীলরা দূরে থাকুন। আমার সুশীলে এলার্জি আছে)
সুত্র-
পুরো খবরে এখানে