আবারো আমার একটা বোন নির্মমতার শিকার হলো। এই ক্ষত তার মুছে যাক। এই বেদনা তার মন থেকে হারিয়ে যাক। সুন্দর একটা সংসার, মায়াকাড়া একটা শিশুর হাসি তাকে ভুলিয়ে দিক সব যন্ত্রনা। জীবনটাকে আরো সুন্দর করে সাজিয়ে তুলুক সে।
কিন্তু এভাবে আর কত? আমার বোনকে ধর্ষন করে ওরা ধর্ষনের সেঞ্ছুরী করবে। উল্লাস করবে। আমার বোনের গোপন ভিডিও ইথারে ইথারে ভাসবে। আমার বোন ঝরে যাবে, তার স্বপ্নগুলো ফুল হয়ে ফোটার আগে!
আর কত?
সমাধান খোজার সময় কি আসেনি? নাকি লাশের মিছিলে দু-ফোটা অশ্রুকণা আমাদের দায়মুক্তি করবে! অথবা অপরাধীর বিচার দাবী করে কিছুদিন মিছিল-মিটিং করা! ব্লগে-পত্রিকায় স্বান্তনার বুলি আওড়ে যাওয়া? মেয়েটাকে নিয়ে পোষ্ট দিয়ে, সেই পোষ্টে ক্যাচাল করা? কেউ বলবে, মেয়েটার দোষ! কেউ বলবে ছেলেটার! কারো কারো সুশীলতার চরম বহিঃপ্রকাশ ঘটবে। কারো লোলুপ চরিত্র প্রকাশ পাবে! আসলে সমস্যার সমাধান কি? সেটা কি কেউ খুজে দেখবে?
বোন তোমাকে বলছি-
ভালোবাসতে তোমাকে মানা করবোনা। ভালোবাসা নিয়ে কোন মানা চলেনা। কিন্তু কাকে ভালোবাসলে, একটু জেনে নেবে কি? ভালোবাসা কোন নিয়ম মানেনা। নিয়মমেনে কাউকে ভালোবাসেনা কেউ। ভালোবাসা হঠাৎ বৃষ্টির মত আসে। তাই ভালোবাসা নিয়ে কোন কথা নয়। যে মানুষটাকে নিয়ে তোমার স্বপ্ন বুনছো তাকে কি একটু জেনে নিবে কি? তার পরিচয়টুকু নিশ্চিত হয়ে নেবে কি? ঢাকায় যারা কোন ছেলেকে ভালোবাসো, আমি জানি তাদের ৯৯% ছেলেটার বাড়ীঘর চেনোনা। ছেলেটার কোন আত্বীয়-স্বজন চেনোনা। সে সহজেই তোমাকে ফাকি দিয়ে পালাতে পারবে। তোমাকে স্বপ্নের গোলক ধাধায় ফেলে, তোমাকে কাছে টেনে নেবে। প্রয়োজন ফুরালে ছুড়ে ফেলে দেবে। বোন, জানি তবু তুমি এখনো আমার প্রতি বিরক্তি নিয়ে পরম ভালোবাসায় তোমার ভালোবাসার মানুষটার কথা ভাবছো। আমি তোমাকে ভালোবাসতে মানা করিনি। শুধু বলেছি, যাকে ভালোবাসো তাকে চিনতো? তাকে জানো?
ভালোবাসায় স্পর্শ স্বাভাবিক একটা প্রক্রিয়া। ভালোবাসার মানুষটার স্পর্শ, আমি-তুমি সবার কাঙ্খিত। স্পর্শের গভীরতায় যাবার আগে একটু ভাবো। কি দিতে চলেছো? সে তোমার পাশে থাকবেতো? তোমাকে লুটে নিয়ে, আরেকজনকে লোটার ফন্দি করবেনাতো?
একটু আপন করে, বলবো কোথায় বলো মনের গোপন এই কথাটা-
মনের কথা বলার জন্য খোলা জায়গা সবসময় উত্তম। যদি খোলা যায়গায় বসে কথা বলতে অস্বস্তি লাগে তবে কোন রেষ্টুঢেন্টে অথবা কোন ক্যাফেতে বসতে পারো। কিন্তু ভালোবাসার মানুষটার মেস অথবা কোন বন্ধুর বাসা নয়। যে মেস অথবা বন্ধুর বাসায় যাচ্ছো, সেখানে সবাই জানবে তোমাকে কেন সেখানে নেওয়া হয়েছে। তোমাকে নিয়ে আড়ালে আড়ালে রসালো কথা হবে। তুমি মাথা নিচু করে বের হতে হবে, সেখান থেকে।
মনের কথা বলার জায়গা হোটেল কখনোই হতে পারেনা।
যদি স্পর্শের গভীরে যেতে চায়, তবে তাকে বিয়ে করতে বলো। তবুও যদি ভাবো, হোকনা। তবে, তার বাসায় তোমাকে পরিচয় করিয়ে দিতে বলো।
যদি স্বপ্ন ভেঙ্গেই যায়-
তবে, নিজেকে সামলে নাও। একটা পশুর জন্য, তোমার জীবন ধ্বংস হতে পারেনা। নিজের জীবনটাকে সাজাও, যেমনটা তুমি চেয়েছিলে। তোমার স্বপ্নবোনা মনটাকে রুখে দিওনা। স্বপ্ন দেখ,আবার নতুন করে। পশুটাকে জিতে যেতে দিওনা। সে জিতে গেলে, আরো মেয়ের জীবন নষ্ট করে দিবে। ওদের বাচাও। তাকে হারিয়ে দাও। তোমার সাজানো জীবন দেখে ইর্ষায় পুড়ে মরবে সে।
তুমি হাসবে, তোমাকে হাসতেই হবে। কারন ,তোমার হাসি সুন্দর, পবিত্র।