নানান হ্যাপায় কেটেছে ক’টা দিন। জন্মযুদ্ধের একটা আপডেট দেয়ার জন্য দিনরাত খাটছিলাম। সেটা নষ্ট হলো প্রথম পাওয়ার গ্রিডের সমস্যায়, আর তারপর আমার নেট প্রভাইডারের বিতলামি। এরপর গত দুটো দিন কেটেছে চরম ব্যস্ততায়। ভোটার হও, বউকে ডাক্তার দেখাও, বাইরে থেকে বন্ধু এসেছে অনেক- তাদের সঙ্গে দেখা করা আড্ডাবাজি। গেলাম সচল সমাবেশ ও সামহোয়ারের ব্লগারদের মেলায় (যদিও কিছুক্ষণের জন্য)। পরিচিত হয়ে ভালো লাগল সবার সঙ্গে। যাহোক, বিজয় দিবস উপলক্ষে এই পোস্ট। দেরির জন্য ক্ষমা চাইলাম সবার কাছে।
প্রথম ফুটেজটি আগরতলা হাসপাতালের। এক ছাত্রনেতার বোন হওয়ার অপরাধে এই মেয়েটিকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল পাকবাহিনী। চরম অত্যাচারের শিকার হওয়ার পর এক ফাকে সে পালায়। মাথায় গুলির ত নিয়ে সীমান্ত পাড়ি দেয়। এই ফুটেজ তোলার কয়েকদিন পর সে মারা যায়
এই ফুটেজটি অবরুদ্ধ ঢাকার। যুদ্ধের শেষদিকে কিরকম রুদ্ধশ্বাস অবস্থা তারই বর্ণনা উঠে এসেছে। একদিকে গেরিলাদের আক্রমণ। আর তটস্থ পাকিস্তানীদের হাতে নাজেহাল যে কোনো বয়সী তরুণ। দোকানে দোকানে পাকিস্তানী পতাকা, ইয়াহিয়ার ছবি।
রণাঙ্গনে মুক্তিযোদ্ধাদের একশনের একটি ফুটেজ দেয়া হলো নিচে
এই ফুটেজে আট বছর বয়সী এক কিশোর স্বরচিত একটি দেশাত্মবোধক গান গাইছে যাকে রণসঙ্গীতও বলা যায়। ফুটেজে উঠে এসেছে সে সময় মুক্তাঞ্চলে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নজরুল ইসলামের সফর।
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র হচ্ছে ওরা এগারো জন। এই ছবি থেকে ফুটেজটি নেওয়া। এতে ডিসেম্বরে মিত্রবাহিনীর সাড়াশি আক্রমণ ও পাক বাহিনীর আত্মসমর্পণ উঠে এসেছে
বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত একটি কিপ তুলে দেওয়া হলো। এতে ৭ই মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বরের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেওয়া হয়েছে।
সবশেষে তুলে দিলাম মুক্তির গান ছবির একটি ফুটেজ। স্বাধীন বাংলাদেশে স্মরণ করা হয়েছে সেইসব সাহসী মুক্তিযোদ্ধাদের এবং আফসোস তাদের জন্য আমরা কিছুই করতে পারিনি।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ৮:২০