“এ্যালর্ট বক্স” অনেকটা সেফগার্ডের মতো কাজ করে।অনেক সময় আমরা যখন আমাদের অজান্তেই কোন ফাইল ডিলিট করে দিতে চাই তখন “এ্যালর্ট বক্স” আমাদেরকে সর্তক করে দেয়।“এ্যালর্ট বক্স” এর সবচেয়ে কমন উদাহরণ হচ্ছে আমরা যখন কোন ডকুমেন্ট সেভ করা ছাড়া বন্ধ করতে চাই তখন স্ক্রীনে এই লেখাটি ভেসে আসে "Save changes to this document before closing?" এর নিচে “YES”, “NO”, “CANCEL” এই তিনটি অপশন থাকে।এখন আপনি যদি “YES” ক্লিক করেন তাহলে আপনার ডকুমেন্টটি সেভ হয়ে যাওয়ার পর বন্ধ হবে ।আর যদি “NO” ক্লিক করেন তাহলে আপনার ডকুমেন্টটি সেভ করা ছাড়াই বন্ধ হয়ে যাবে আর।যদি “CANCEL” ক্লিক করেন তাহলে আপনার ডকুমেন্টটি বন্ধ হবেনা।এখন আপনি চাইলেই আপনার ডকুমেন্টে কাজ করতে পারেন।অনেক সময় “এ্যালর্ট বক্স” এ মেসেজের নিচে শুধুমাত্র "OK," ও থাকতে পারে। “এ্যালর্ট বক্স” এর স্ট্যান্ডার্ড আইকন হচ্ছে – একটি ত্রিভুজের মধ্যে বিস্ময়বোধক চিহ্ন(!)।
Click This Link
৭। Algorithm : কোন একটি সমস্যা সমাধানের ধারাবাহিক প্রক্রিয়া বা ধাপকে এলগরিদম বলা হয়। কম্পিউটার টার্ম হিসেবে এর অর্থ হল কোন একটি প্রোগ্রাম তৈরীর ধারাবাহিক প্রক্রিয়া বা ধাপ। এটি হতে পারে কোন সাধারন সমস্যা যেমনঃ দুইটা সংখ্যা যোগ করা আবার কোন জটিল সমস্য যেমনঃ কোন ছবি এডিট করা। যেমন একটি ছবি স্পষ্ট করতে হলে প্রথমে ঐ ছবির পিক্সেল গুলো সনাক্ত করতে হবে,তারপর কোন পিক্সেল কতটূকু পরিবর্তন করলে ছবিটি স্পট হবে তা নির্ণয় করা।
প্রোগ্রামাররা এলগরিদম তৈরীর জন্যই সবচেয়ে বেশি সময় ব্যয় করে।কারন এলগরিদম তৈরীর সময় তাদের খেয়াল রাখতে হয় যাতে এটি মেমোরীতে যথাসম্ভব কম জায়গা দখল করে এবং কম্পিউটারে অন্য কোন প্রোগ্রামকে নষ্ট না করে।দুর্বল এলগরিদম অনেক সময় কম্পিউটার সিস্টেমকে স্লো করে দেয় এমনকি ক্র্যাশও করে দিতে পারে।তাই এলগরিদম লেখার সময় প্রোগ্রামারদের সবসময় সতর্ক থাকতে হয়।
Click This Link
৮। Android : বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম হচ্ছে অ্যানড্রয়েড (Android)। অ্যানড্রয়েড ডেভেলপ করেছে ইন্টারনেট জায়ান্ট গুগল। মটোরোলা ড্রইড,স্যামসাং গ্যালাক্সী,গুগলের নেক্সাস ওয়ান সহ বিভিন্ন জনপ্রিয় স্মার্টফোন অ্যানড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম চালিত। অ্যানড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ওপেন লিনাক্স কার্নেল এর উপর ভিত্তি করে তৈরী করা হয়েছে। অ্যানড্রয়েড হচ্ছে ওপেনসোর্স যার মানে ডেভেলপাররা অ্যানড্রয়েডকে তাদের ইচ্ছে মত পরির্বতন এবং পরির্বধন করতে পারে।
এজন্যই অ্যানড্রয়েড চালিত বিভিন্ন ফোনের গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস বিভিন্ন হয়। অ্যানড্রয়েডে কিছু বিল্ট-ইন অ্যাপ্লিকেশান থাকে পাশাপাশি এটি থার্ড পার্টি প্রোগ্রাম ও সাপোর্ট করে। ডেভেলপাররা অ্যানড্রয়েড “সফটওয়্যার ডেভেলপার কিট” সংক্ষেপে SDK ব্যবহার করে অ্যানড্রয়েড এর জন্য প্রোগ্রাম তৈরী করতে পারে। অ্যানড্রয়েড সাধারনত জাভা লাঙ্গুয়েজ দ্বারা লেখা হয়।বিভিন্ন অ্যানড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশান ডাউনলোড করার জন্য রয়েছে “অনলাইন অ্যানড্রয়েড মার্কেট”। অ্যানড্রয়েড নামটি এসেছে “অ্যানড্রয়েড” নামক একটি রোবট এর নাম থাকে যা দেখতে শুনতে মানুষের মত।
Click This Link
৯। Antivirus : মানুষ যেমন ভাইরাস আক্রান্ত হলে বা আক্রান্ত না হওয়ার জন্য বিভিন্ন অ্যান্টিভাইরাস গ্রহণ করে,তেমনি কম্পিউটারকেও “কম্পিউটার ভাইরাস” মুক্ত রাখতে অ্যান্টিভাইরাস এর প্রয়োজন হয় । কম্পিউটার অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার হচ্ছে একপ্রকার ইউটিলিটি যার প্রাথমিক কাজই হচ্ছে কম্পিউটারকে ভাইরাস মুক্ত রাখা। অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার কম্পিউটারকে স্ক্যান করে এবং কোন ভাইরাস খুঁজে পেলে তা কম্পিউটার থেকে অপসারণ করে। সাধারণত বেশিরভাগ অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রাম অটোমেটিক এবং ম্যা্নুয়াল স্ক্যানিং করতে পারে। অটোমেটিক স্ক্যানিং পদ্বতিতে, আপনি যখন কোন ফাইল ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করবেন অথবা কোন ডিস্ক বা পেনড্রাইভ কম্পিউটারে প্রবেশ করাবেন অথবা সফটওয়্যার ইন্সটলার দিয়ে ফাইল তৈরী করবেন, অ্যান্টিভাইরাস তা অটোমেটিক্যালি স্ক্যান করবে।
আবার এই পদ্বতিতে অ্যান্টিভাইরাস নিয়মিত আপনার হার্ডড্রাইভকেও স্ক্যান করবে।আর ম্যা্নুয়াল স্ক্যানিংএ আপনি আপনার প্রয়োজন মত যেকোন সময় যেকোন ফাইল স্ক্যান করতে পারেন।যেহেতু হ্যাকাররা প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ভাইরাস তৈরী করছে,তাই অ্যান্টিভাইরাসের ডাটাবেজও প্রতিনিয়ত আপডেট করতে হয়।তবে বেশিরভাগ অ্যান্টিভাইরাস নিজে নিজে নিয়মিত ডাটাবেজকে আপডেট করে।প্রথম দিকে অ্যান্টিভাইরাস তৈরী করা হয়েছিল কম্পিউটারকে শুধুমাত্র ভাইরাস মুক্ত রাখার জন্য।কিন্তু বর্তমানে অ্যান্টিভাইরাসগুলো ভাইরাস প্রতিরোধের পাশাপাশি অন্যান্য মেইলওয়ার যেমন অ্যাডওয়ার,স্পাইওয়ার,রুটকিটসও প্রতিরোধ করে। বর্তমানে কিছু কিছু অ্যান্টিভাইরাসের সাথে ফায়ারওয়াল যুক্ত থাকে যা কম্পিউটারকে অবৈধ অনুপ্রবেশ থেকে রক্ষা করে। এটি “ইন্টারনেট সিকিউরিটি” নামে পরিচিত। যদিও উইন্ডোজ,মাকিন্টোশ,ইউনিক্স বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেমের জন্য অ্যান্টিভাইরাস পাওয়া যায়,তবে সবচেয়ে বেশি অ্যান্টিভাইরাস প্রয়োজন হয় উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের জন্য। কারন ভাইরাস উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম চালিত কম্পিউটারকে সহজেই আক্রমন করতে পারে।আপনার কম্পিউটার যদি উইন্ডোজ চালিত হয় তবে আপনাকে অবশ্যই অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করতে হবে। উল্লেখযোগ্য অ্যান্টিভাইরাসগুলো হছে নরটন,ক্যাস্পারস্কি,জ়োনএলার্ম ইত্যাদি।আপনি যদি অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করতে না চান তবে আপনি লিনাক্স ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করতে পারেন কারণ লিনাক্স ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয় না
Click This Link
১০। API : এপিআই এর পূর্নরূপ হচ্ছে “অ্যাপ্লিকেশান প্রোগ্রাম ইন্টারফেস”(Application Program Interface)।যদিও একে “অ্যাপ্লিকেশান প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস”(Application Programming Interface) ও বলা হয়। এপিআই হচ্ছে একগুচ্ছ নির্দেশনা, ফাংশন, প্রটোকল যা কোন নির্দিষ্ট অপারেটিং সিস্টেমের জন্য সফটওয়্যার তৈরীতে ব্যবহৃত হয়।
এপিআই প্রোগ্রামারদের পুর্বে তৈরী করা ফাংশন ব্যবহার করা সুযোগ দেয়,এর ফলে প্রোগ্রামাররা খুব সহজেই কোন নির্দিষ্ট অপারেটিং সিস্টেমের জন্য সফটওয়্যার তৈরী করতে পারে ।
বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেম যেমন উইন্ডোজ,ইউনিক্স,ম্যাক প্রোগ্রামারদের জন্য তাদের নিজস্ব এপিআই সরবরাহ করে।এছড়া ভিডিও কনসোলস সহ বিভিন্ন হার্ডওয়্যার ডিভাইসেও সফটওয়্যার চালনার জন্য এপিআই ব্যবহার করা হয়। এপিআই যেমন প্রোগ্রামারদের কাজকে সহজ করে দেয়, তেমনি ইউজারদেরকেও সুবিধা প্রদান করে।প্রশ্ন হতে পারে কিভাবে? একই এপিআই এর দ্বারা তৈরী বিভিন্ন প্রোগ্রামের ইউজার ইন্টারফেস একই।তাই ইউজাররা খুব সহজেই এসব প্রোগ্রাম ব্যবহার করতে পারে।
http://www.technologybasic.com/software/api
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই এপ্রিল, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২৫