বিসর্জন, ত্যাগ, বলিদান শব্দগুলো অনেক ছোট ছোট, কিন্তু এর মাহাত্ম্য যে কতটা বিশাল সেটা মুখে বোঝানো সহজ নয়। বিশাল মাপের একটা ব্যাপার এটি।
নিজের আত্ব ত্যাগের মধ্য দিয়ে অপরের সুখ-শান্তি,হাসি,ভালবাসা কে প্রাধান্য দেয়ার নামই হচ্ছে আত্বত্যাগ,বিসর্জন।
কজন ই বা পারে এই মহৎ বলি দিতে!কজন ই বা পারে নিজের সুখ বিসর্জন দিয়ে অন্যের মুখে হাসি ফোটাতে! যে পারে সেই হল অসাধারণ এক ব্যাক্তিত্ব,অনন্য এক গুনের অধিকারী।
প্রেমিকার প্রতি প্রেমিকের,স্বামির প্রতি স্ত্রীর,সন্তানের প্রতি বাবা-মার, ভাইয়ের প্রতি বোনের,আর বনের প্রতি ভাইয়ের তথা মানব সংসারের অনেক ক্ষেত্রেই এর প্রয়োজন আছে,যে এটা বুঝতে পারে এবং যথা সময় কাজে লাগাতে পারে তাকে যথেষ্ট বুদ্ধিমান /বুদ্ধিমতী বলা যায়।একটা উদাহরণ দিচ্ছি গল্পাকারে,,
কোন এক নবদম্পতির সংসার।
স্ত্রী বসে বসে স্টার জলসার সিরিয়াল "কিরনমালা " দেখছে,এমন সময় বাজলো ককলিং বেল,স্বামী ফিরেছে , কিন্তু সিরিয়াল এক দারুন মুহুরতে,, শেষ করে দরজা খুলতে বেশ দেরি।
স্বামী গেলো রেগে,
কিছুক্ষন পর স্বামি দেখবে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ, কিন্তু স্ত্রী সিরিয়ালে ব্যস্ত,রিমোট চেয়েও পেল না,,
স্বামী আবারো গেলো রেগে,,
স্বামী অফিসে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত, স্ত্রী চা দিতে গিয়ে সমস্ত চা দিল কাপড় এ ঢেলে,
আবারো সেই রাগ,কিন্তু প্রতিবার নিজেকে আটকিয়ে রাখছে,
তার জায়গায় যিদি বদমেজাজি থাকতো তাহলে অনেক কিছুই ঘটতো, হয়তো ঝগড়া হতো অথবা স্বামী বেশী বদমেজাজি হত,গায়ে হাত তুলে বসে থাকত,এটার পেছনে যে ব্যাপারটি কাজ করছে, আমরা তার নাম ত্যাগ দিতে পারি। কেননা এখানে সব রাগ পুষে তাকে ক্ষমা করছে,কেননা সে চায় না কলহ,নিজে কষ্ট মেনে নিয়ে আর একজন কে সুখী করছে। এটাই ত্যাগ,বিসর্জন।
এছাড়া যাদের প্রেমিকা/প্রেমিক আছে তারা তাদের প্রিয় মানুষের কটুকথাও শুনেও কিছু বলে না শুধু মাত্র রিলেশন বাচিয়ে রাখতে,
যাই। হোক,এই সব কিছুই হল ত্যাগ, বিসর্জন। এটা ছাড়া সুন্দরভাবে থাকা যায় না। তাই অনেক ক্ষেত্রেই এটার প্রয়োজন!
(এটা আমার প্রথম ব্লগ,তাই ভুল হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টি তে দেখবেন)
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩২