বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের হরতালে কড়া পুলিশ পাহারার মধ্যেই সচিবালয়ে দুটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটেছে।
রোববার ৩টা ৫১ মিনিটে সচিবালয়ের ২ নম্বর ফটকের কাছে বোমা দুটির বিস্ফোরণ ঘটে। এতে কেউ হতাহত হয়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে।
একটি বোমা বিস্ফোরিত হয়েছে জিরো পয়েন্টের কাছের ওই ফটকের দেয়ালে এবং অন্যটি গিয়ে পড়ে সচিবালয়ের ভেতরে গাড়ি রাখার স্থানে। সেখানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর গাড়ি ছিল।
মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর গাড়ির পাশেই রাখা আনসার কর্মকর্তা আশীষ কুমার রায়ের গাড়ির কাচ বোমা বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সচিবালয়ের বিভিন্ন ফটকে কয়েকশ পুলিশের উপস্থিতির মধ্যেই বিকালে বিস্ফোরণের এই ঘটনা ঘটে। কর্তব্যরত পুলিশদেরও ওই সময় হতভম্ব হয়ে পয়ে পড়তে দেখা যায়।
রমনা অঞ্চলের দায়িত্বে থাকা ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার সৈয়দ নূরুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “একটি মোটরসাইকেলে দুই যুবক এসে বোমা দুটি ছুড়ে দিয়েই দ্রুত পালিয়ে যায়।”
মোটরসাইকেলআরোহী দুই যুবক জিরো পয়েন্ট দিয়ে চলে যায় বলে জানান তিনি।
সচিবালয়ের সামনে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে রোববার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুষ্ঠান ছিল। অনুষ্ঠান শেষে প্রধানমন্ত্রী সচিবালয়েও অফিস করেন। দুপুর ১টার দিকে সচিবালয় ছাড়েন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে সচিবালয় এবং এর আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা ছিল জোরদার। তার মধ্যেই এই বিস্ফোরণ ঘটে। জিরো পয়েন্টে থাকা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদক শহীদুল ইসলামও এর প্রকট শব্দ পান।
বিস্ফোরণটি সচিবালয়ের যে স্থানে ঘটেছে, তার পাশেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (৮ নম্বর ভবন)।
বিস্ফোরণের শব্দে সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সময় শেষের আগেই অনেককে অফিস ছাড়তে দেখা যায়।
বিস্ফোরণের কিছু সময় পর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে ছাত্র ও যুবলীগের এক দল কর্মী সচিবালয়ের ফটকে আসেন। বোমা হামলাকারীদের কিছু সময় ধরে খোঁজাখুঁজিও করেন তারা। তবে তাদের নিস্ফল হতে হয়।
বিস্ফোরণের পর সচিবালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গেছেন।
ইলিয়াস আলীর সন্ধান দাবিতে রোববার দিনব্যাপী হরতালে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঢাকায় ২৫টির মতো হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটেছে। সোমবারও হরতাল চলবে।
তথ্যসূত্র