পার্বতীপুর স্টেশন।সাতটায় ট্রেন অথচ সাড়ে আটটা পার হয়ে গেছে।কখন আসবে কে জানে!ওয়েটিং রুমে বসে বসে পা ঝি ঝি করছে।হাটাহাটি করার জন্য প্লাটফরমে আসলাম।ভীড় অসম্ভব বেশী।চারপাশে অচেনা মুখ।একটা চেনা মুখ মনে হলো।দাড়িয়ে গেলাম।সবচেয়ে আশ্চর্যের কথা যাকে দেখে দাড়িয়ে গেছি সেও আমাকে দেখে দাড়িয়ে গেছে।ছেলেটার চোখ মুখ দেখে বোঝা যাচ্ছে অবস্থা আমার মতই।চিনতে পারেনি,জোর করে চেনার চেষ্টা করছে।
কথা না বললে খারাপ দেখায়।শুরুটা আমিই করলামঃ
-তোমাকে চেনা চেনা মনে হচ্ছে!আগে দেখছি কোথায় যেনো!
-তোমাকেও তো দেখছি আগে!
-বাসা কি রংপুর
-নাহ,সৈয়দপুরে
-রংপুর কলেজে পড়তা?
-নাহ!
-তাহলে?
-জানিনা।বাট তোমাকে দেখছি আমি,মনে হয় সৈয়দপুরেই।আমার নাম রনি।
-নাহ্।মনে পড়তেছেনা,আমি দুইটা রনিকেই চিনি।যাইহোক আমি ওশান।
-ও।আমার নাম্বার টা রাখ।ফোন দিও।ভালো লাগবে.........
................
নাম্বারটা নিলাম।জানি কোনদিন হয়তো ফোন দিবনা।নাম্বারটা হয়তোবা হারিয়ে যাবে।আমি নিজেও হারিয়ে যাবো ব্যস্ততার ভীড়ে।হয়তোবা আবার কোনদিন কোন স্টেশনে দেখা হবে রনির সাথে.......
তোমাকে চেনা চেনা মনে হচ্ছে!আমি রনি..........
...............!!
আমি তখন রনিকে চেনার জোর চেষ্টা চালাবো।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:২৩