সেদিন ডাইনিং রুমে বসে আছি। আপা রান্নাঘরে।
আপা: এই গেলি ধররর ধররর। দাড়া দেখাচ্ছি মজা। লাঠিটা কইরে, আনতো এদিকে।
আমি: কি ব্যাপার বাচ্চাদের সাথে এরকম করতেছ ক্যান?
ভাগনি: হোহোহো। খালামনিতো ইদুরের সাথে কথা বলছে।
আমাদের বাসায় গত প্রায় একমাস ধরে ইদুরের উৎপাত খুবই চরম অবস্থা। বাজারে পাওয়া যায় এরকম অনেক ঔষুধই দেয়া হইছে। সব চেটে পুটে খেয়ে ফেলে কিন্তু ইদুরের উৎপাত কমে না।
সেদিন আপা বলল যে, ব্লিচিং পাউডার আনতে, আনলাম।
একদিন একটু কম ছিল তারপর আবার যেই সেই।
চোখের সামনে দিয়েই দৌড়াদৌড়ি করে। সবার সামনে দিয়েই খাবার এর কাছে এসে পরে।
এই লেখাটা লেখার সময়ও আমার টেবিলের নিচ ও আশেপাশে ঘুরাঘুরি করতেছে।
আগে মশারি না টানাইয়া-ই ঘুমাইতাম কিন্তু এখন আর সাহস পাইতেছি না।
তাই আমি এখন বাঁশিওয়ালার খোঁজে।
যদি কারো কাছে হ্যামেলিন এর বাঁশিওয়ালার যোগাযোগের ঠিকানা থাকে তবে জানাইয়া বাধিত করবেন।