মলয় বাতাসে যখন উড়ে একরাশ এলোমেলো চুল
যখন প্রজাপতির ডানায় খেলে নানান রং ব্যাকুল
যখন তরুছায়ার চিকচিকে খেলে ঢেঁউয়ে আলো-জল
যখন সবুজে ভাবিয়ে তোলে মনে ঐ‘দূরের অঞ্চল
তখন মোহিত ভাবনার চিবুকে চুমিয়ে বললে- ভালোবাসি;
সীমানার প্রান্তরে যখন স্থির হয়ে রয় আঁখি
যখন হিজলবনে ফুল ঝরে ভাসে চেয়ে দেখি
যখন মুক্ত সরোবরে জলকেলিতে মগ্ন হংস পাখি
যখন সায়র গর্জনে আনমনে হারিয়ে যেতে থাকি
তখন ভাবাবেগে আবেশিত গালে চুমিয়ে বললে- ভালোবাসি;
অচেনা কোলাহলে যখন সুর বাজে কানে অবিরত
যখন দূর্বনে অনুকম্পনে রয় বিবাগী বিহঙ্গ মত্ত
যখন চৈতালী হাওয়ায় ভাসে নুপুরের ধ্বনিত নৃত্য
যখন হারিয়ে যাওয়া সুরে বাজে স্বরগম অনবরত
তখন ইচ্ছের দৌলায় কপালে চুমিয়ে বললে- ভালোবাসি;
আনমনে অকারণে যখন সুর উঠে বেজে ঠোঁটে
যখন প্রণয়সিথানে প্রণিত প্রণয় শিয়রে পড়ে লুটে
যখন ব্যাকুল কথার আকুল ছোঁয়া দিকে-দিকে রটে
যখন দু‘জন রচি জন্মান্তরের নেশা মৃত্যু বিয়োগান্তে
তখন শিহরিত ঠোঁটে চুমু এঁকে বললে- ভালোবাসি;
এমনি করেই ভালোবাসা আসে, ভালোবাসা রয়ে যায়
অচেনা ভুবনে অচেনা জন, আপনার আপন হয়ে যায়
সে আপনে আপনজন যখন হয়ে যাই আমরা দুজনা
ভালোবাস তুমি ভালোবাসি আমি, ভালোবাসাই হোক সাধনা।।