somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পৃথিবীর ভাষার পরিসংখ্যান

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পৃথিবীতে কতসংখ্যক ভাষা আছে তা অনুমান করা খুবই কষ্টসাধ্য।তবে ধারণা করা হয় এর সংখ্যা প্রায় ৩০০০ থেকে ৮০০০ হবে।ঈথনোলোগ(Ethnologue)নামের ভাষার বিশ্বকোষ ২০০৯ প্রকাশিত ১৬ তম প্রকাশনী এর হিসেব অনুসারে প্রায় ৬৯০৯ জীবিত ভাষা রেজিষ্ট্রেশন করেছে।৬৯০৯ ভাষা হলো জনসংখ্যার বা ব্যাবহারকারীর সংখ্যার ভিত্তিতে।উপরোক্ত ভাষার বিভিন্ন আঙ্গিকে সংখ্যা ভিত্তিক পরিসংখান নিম্নরূপ।এর ৫২% ব্যবহৃত হয় মাত্র ১০,০০০ লোকসংখ্যার নীচের মানুষের ব্যাবহারকারীদের মাঝে । ২৮% ভাষা আছে যাদের ব্যাবহারকারীরা ১০০০ জনের নীচে।৮৩% শুধুমাত্র একটি দেশে ব্যাবহার হয় এমন। নীচে ১০ টি ভাষার উল্লেখ করা হলো যা সাজানো হয়েছে পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ব্যাবহারকারীদের শতকরা হিসেবের উপর।
১।চীনা (ম্যান্ডারিন)ঃ ব্যাবহারকারী প্রায় ১২১৩ মিলিয়ন বা ১২১ কোটি ৩০ লক্ষ লোক।
২।স্পানীসঃ ব্যাবহারকারী প্রায় ৩২৯ মিলিয়ন ৩২ কোটি ৯০ লক্ষ লোক।
৩।ইংরেজীঃ ব্যাবহারকারী প্রায় ৩২৮ মিলিয়ন ৩২ কোটি ৮০ লক্ষ লোক।
৪।আরবীঃব্যাবহারকারী প্রায় ২২১ মিলিয়ন ২২ কোটি ১০ লক্ষ লোক।
৫।হিন্দীঃব্যাবহারকারী প্রায় ১৮২ মিলিয়ন ১৮ কোটি ২০ লক্ষ লোক।
৬।বাংলাঃব্যাবহারকারী প্রায় ১৮১ মিলিয়ন ১৮কোটি ১০ লক্ষ লোক।
৭।পর্তূগীজঃব্যাবহারকারী প্রায় ১৭৮ মিলিয়ন ১৭ কোটি ৮০ লক্ষ লোক।
৮।রাশিয়ানঃব্যাবহারকারী প্রায় ১৪৪ মিলিয়ন ১৪ কোটি ৪০ লক্ষ লোক।
৯।জাপানীজঃব্যাবহারকারী প্রায় ১২২ মিলিয়ন ১২ কোটি ২০ লক্ষ লোক।
১০।জার্মানঃব্যাবহারকারী প্রায় ৯০.৩ মিলিয়ন ৯ কোটি ৩ লক্ষ লোক।
এবার দেখি এই ভাষাগুলো মোট কত দেশে ব্যাবহৃত হয়ঃ
চীনা ভাষা-৩১ দেশে
স্পানীস ভাষা-৪৪টি দেশে
আরবী ভাষা-৫৭টি দেশে
হিন্দী ভাষা-২০টি দেশে
বাংলা ভাষা-১০ টি দেশে
পর্তূগীজ ভাষা-৩৭টি দেশে
রাশিয়ান ভাষা-৩৩ টি দেশে
জাপানীজ ভাষা-২৫ টি দেশে
জার্মান ভাষা- ৪৩ দেশে।


বাংলা দক্ষিণ এশিয়ার পূর্বপ্রান্তের একটি ইন্দো-আর্য ভাষা। সংস্কৃত, পালি ও প্রাকৃত ভাষার মধ্য দিয়ে বাংলা ভাষার উদ্ভব হয়েছে।
খ্রিস্টীয় প্রথম সহস্রাদের শেষ প্রান্তে এসে মধ্য ভারতীয় আর্য ভাষাগুলোর বিভিন্ন অপভ্রংশ থেকে যে আধুনিক ভারতীয় ভাষাগুলোর উদ্ভব ঘটে, তাদের মধ্যে বাংলা একটি । কোন কোন ভাষাবিদ তারও অনেক আগে, ৫০০ খ্রিস্টাব্দের দিকে, বাংলার জন্ম হয় বলে মত পোষণ করেন। তবে এ ভাষাটি তখন পর্যন্ত কোন সুস্থির রূপ ধারণ করেনি; সে সময় এর বিভিন্ন লিখিত ও ঔপভাষিক রূপ পাশাপাশি বিদ্যমান ছিল। যেমন, ধারণা করা হয় ৬ষ্ঠ শতাব্দীর দিকে মাগধি অপভ্রংশ থেকে মাগধি উদ্ভব ঘটে। মাগধি ও বাংলা কিছু সময় ধরে সহাবস্থান করছিল।
বাংলা ভাষার ইতিহাসকে সাধারণত তিন ভাগে ভাগ করা হয়:
১।প্রাচীন বাংলা (৯০০/১০০০ খ্রিস্টাব্দ – ১৪০০ খ্রিস্টাব্দ) — লিখিত নিদর্শনের মধ্যে আছে চর্যাপদ, ভক্তিমূলক গান; আমি, তুমি, ইত্যাদি সর্বনামের আবির্ভাব; ক্রিয়াবিভক্তি -ইলা, -ইবা, ইত্যাদি। ওড়িয়া ও অসমীয়া এই পর্বে বাংলা থেকে আলাদা হয়ে যায়।
২।মধ্য বাংলা (১৪০০–১৮০০ খ্রিস্টাব্দ) — এ সময়কার গুরুত্বপূর্ণ লিখিত নিদর্শন চণ্ডীদাসের শ্রীকৃষ্ণকীর্তন; শব্দের শেষে “অ” ধ্বনির বিলোপ; যৌগিক ক্রিয়ার প্রচলন; ফার্সি
৩।আধুনিক বাংলা (১৮০০ খ্রিস্টাব্দ থেকে) — ক্রিয়া ও সর্বনামের সংক্ষেপন (যেমন তাহার → তার; করিয়াছিল → করেছিল)।

বাংলা দক্ষিণ এশিয়ার পূর্বে অবস্থিত বঙ্গ বা বাংলা নামক অঞ্চলের মানুষের মুখের ভাষা। এ অঞ্চলটি বর্তমানে রাজনৈতিকভাবে স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশ ও ভারতের অঙ্গরাজ্য পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে গঠিত। এছাড়াও মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীও বাংলা ভাষাতে কথা বলে।
ইউনেস্কো ও জাতিসংঘ ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারী নিজ মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার এবং রাষ্ট্র ভাষা বাংলা করার অধিকার আদায়ের জন্য বাংলাভাষিদের অকাতরে অকুতভয়ে প্রানদান যা বিশ্বে বিরল এর প্রতি সম্মান জানিয়ে “আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস” পালনের সিদ্ধান্ত নেয় যা ২১ শে ফেব্রুয়ারী ২০০০ সন থেকে সারা বিশ্বে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে সারা বিশ্বে পালিত হয়ে আসছে।
তাই সালাম,রফিক,জব্বার অন্যান্য যারা আমাদের ভাষার জন্য প্রাণদান করেছেন তাদের প্রতি রইল সশ্রদ্ধ শ্রদ্ধা এবং সম্মান।
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কমলার জয়ের ক্ষীণ ১টা আলোক রেখা দেখা যাচ্ছে।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:১৮



এই সপ্তাহের শুরুর দিকের জরীপে ৭টি স্যুইংষ্টেইটের ৫টাই ট্রাম্পের দিকে চলে গেছে; এখনো ট্রাম্পের দিকেই আছে; হিসেব মতো ট্রাম্প জয়ী হওয়ার কথা ছিলো। আজকে একটু পরিবর্তণ দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×