সংখ্যার দিক দিয়ে সবচেয়ে বেশী পরিমানে যে পাখী পাওয়া যায় তার নাম Red-billed Quelea ।
চিত্রঃ
এরা খুব দ্রুত বংশ বৃদ্ধি করতে পারে এবং ঝাকে ঝাকে ওড়ে।আফ্রিকার সাহারার দক্ষিণে এদের পাওয়া যায়।এদের জ্বালাতনে ঐ এলাকার শস্য প্রায় সাবাড় হয়ে যায়।আতি উপায়ন্তর না পেয়ে এদের পোকার মতোই নিধন করা হয় ফসল বাচানোর জন্যে।
বিরল প্রজাতির পাখীঃ মানুষের অত্যাচারে বা খাবারের অভাবে বা পরিবেশ বিপর্যয়ের কারনে বিভিন্ন প্রজাতির পাখীরা বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। সুদানিজ Red Sea Cliff Swallow পাখীটিকে শেষ দেখা গেছে ১৯৮৪ সনে
এবং Orange-necked Partridge
বর্তমানে বিলুপ্ত প্রায় পাখীদের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে Mauritius Kestrel নামের পাখী যা মরিশাস দ্বীপপুঞ্জে দেখা যায়।
১৯৭৪ সনে এর সংখা ছিল মাত্র ৪ টি। অবশেষে অনেক চেষ্টায় এর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ৮০০ এর ওপরে হয়েছে।
চিত্রঃ
Californian Condor নামের পাখীটি ১৯৮৭ তে মাত্র ২৭ টি ছিল, কিন্তু বর্তমানে এর সংখ্যা ৭৫ টির বেশী।
চিত্রঃ
সবচেয়ে বহুল প্রাপ্ত বা সাধারন ভাবে প্রাপ্ত বা সহজলভ্য পাখী হলো Red Junglefowl যা আমাদের দেশে লাল মোরগ হিসেবে দেখা যায় যার বিস্তৃতি আমাদের উপমাহাদেশের কিছু অংশ থেকে শুরু করে চীন,ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া,ফিলিপাইন এবং হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জ পর্যন্ত বিস্তৃত।
চিত্রঃ
এর পরের স্থান অধিকার করে আছে চড়ুই যা লোকালয় এবং বন্য এই দু-ভাগে বিস্তৃত হয়ে দেখা যায়।
চিত্রঃ
এরপরের স্থানে আছে Red-billed Quelea । যার সম্পর্কে পূর্বেই বলা হয়েছে।
বৃহত্তম পাখীঃ পাখী নির্বাচনের ক্ষেত্রে পাখিতে বৃহত্তম পরিমাপ করার ৩ সম্ভব উপায় আছে; সর্বোচ্চ ওজনদার, লম্বা বা দীর্ঘ এবং দীর্ঘতম wingspan বা পাখার প্রসস্ততা।আপনি যেটাই বেছে নিননা কেন বিলুপ্ত প্রজাতির এই পাখীটিকে প্রথমেই রাখতে হবে।সবচেয়ে ওজনদার বা ভারী পাখী Dromornis stirtoni নামের দৈত্যাকৃতি পাখী।
এদের গড়পরতা ওজন ছিল ৫০০কেজী।কিন্তু এরা উড়তে পারতনা। এরা প্রায় ১০ লক্ষ বছর আগে অষ্ট্রেলিয়ায় বসবাস করত। উচ্চতা ছিল ১২ ফুট।
বর্তমানে জীবিত পাখীদের মাঝে সন্দেহাতীত ভাবে অষ্ট্রীজ(Ostrich) পাখীর নাম আসে।
এরা প্রায় ৯ ফুট উচুঁ এবং ১৬০ কেজী ওজনের হয়ে থাকে। কিন্তু দুঃখের বিষয় এরাও উড়তে পারেনা।
সবচেয়ে ভারী কিন্তু উড়তে পারা পাখী হচ্ছে আফ্রিকার Kori Bustard যাদের ওজন ১৯ কেজী।
চিত্রঃ
পাখার স্পান এর দিক দিয়ে বৃহত্তম পাখীটি হচ্ছে Andean Condor পাখার দৈর্ঘ্য ১০ ফুট।
যাইহোক Wandering Albatross নামের পাখীর পাখার দৈর্ঘ্য প্রায় সমান এবং বৈজ্ঞানিক ভাবে রেকর্ডকৃত।
সবচেয়ে ক্ষুদ্রতমঃ
সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম পাখী Bee Hummingbird।কিউবাতে পাওয়া যায়।এর ওজন ও মাশাল্লাহ ১.৬গ্রাম বা ০.০৬৫ পাউন্ড।
চিত্রঃ
এদের আরেকটি প্রতিদ্বন্দ্বী হলো Little Woodstar যা দক্ষিন আমে্রিকায় পাওয়া যায়।
চিত্রঃ
উড়তে না পারা সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম পাখী Rail যার দৈর্ঘ্য ৫ ইঞ্চি এবং ওজন ৩৫ গ্রাম।যাকে দেখা যায় আটলান্টিক Tristan da Cunha নামে দুর্গম দ্বীপপুঞ্জে।
চিত্রঃ
বাসা এবং ডিমঃ
সবচেয়ে বড় ডিম বিলুপ্ত পাখীঃ মাদাকাস্কার এর Elephant Bird এর ডিম প্রায় ১৫.৫ ইঞ্চি দীর্ঘ।
জীবিত পাখীদের ক্ষেত্রেঃ ওস্ট্রিজ
সবচেয়ে ক্ষুদ্রাকৃতির ডিমঃVervain Humming bird।ডিম প্রায় মটর দানার সমান।
সবচেয়ে বৃহত্তম বাসাঃ অষ্ট্রেলিয়ার Mallee Fowl।
সচেয়ে ক্ষুদ্রতম বাসাঃHummingbirds
সবচেয়ে মজার বিষয় হলো যে কিছু প্রজাতির সামুদ্রিক পাখী আছে যাদের কোন বাসা নেই বা বাধতে পারেনা।বিশ্রমের প্রয়োজন হলে ডাঙ্গায় কিছুক্ষনের জন্য বা গাছের ডালে খানিকক্ষনের জন্য এসে ফিরে যায় তার চিরাচরিত স্থানে।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃপাখীদের নাম গুলো ইংরেজী লিখলাম কারণ আমি পাখী বিশেষজ্ঞ নই তাই এদের নামের বাংলা করতে গেলে হয়ত উচ্চারণ জনিত ত্রুটি হতে পারে।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:১১