এই মানবসভ্যতায় ইলেকট্রিসিটির সবচেয়ে বড় আশীর্বাদ হল আলো বা বৈদ্যুতিক বাল্ব । আলো নিয়ে মানুষের জল্পনা-কল্পনার শুরু মানবসভ্যতার গোড়াপত্তনের শুরু হতেই । এডিসনের হাত ধরে বাল্বের মাধ্যমেই ঊনবিংশ শতাব্দীতে বাণিজ্যিকভাবে ইলেকট্রিসিটির অগ্রযাত্রা। একশ বছর ধরে এডিসনের বাল্বই ঘরে ঘরে অন্ধকার দূর করে তড়িৎ-এর আলোকবার্তা পৌঁছে দিয়েছে। কিন্তু থেমে থাকেনি মানুষের কৌতূহল-বিজ্ঞান অন্বেষণ। নানাভাবে এডিসনের বাতিতে যোগ করেছে নতুন মাত্রা। যুগের প্রয়োজনে এনার্জি সেভিং এর ব্যানারে যোগদান করেছে এনার্জি-সেভিং কমপ্যাক্ট ফ্লোরোসেন্ট বাল্ব। এডিসনের বাতি হতে অনেকটাই ব্যতিক্রম আঙ্গিকে প্রস্তুত এই স্নিগ্ধ সাদা আলোর বাতি। কিন্তু তার পরেও মানুষের ঐ পিপাসা-‘‘ভালো তবে আরো ভালো দরকার’’ খুলে দিয়েছে আলোর জগতে ভিন্ন দুয়ার। নতুন এই টেকনোলজির নাম এল.ই.ডি (লাইট ইমিটিং ডায়োড)। ফ্লোরোসেন্ট বাতি, এডিসনের কার্বন ফিলামেন্ট বা টাংস্টেন ফিলামেন্টের গতানুগতিক গঠনের চেয়ে অনেকটা ভিন্নধর্মী। এরা তুলনামূলকভাবে এডিসন বাতির চেয়ে কম বিদ্যুৎ খরচ করলেও দীর্ঘ সময় ব্যবহারে যথেষ্ট উত্তপ্ত হয়ে যায় এবং আশানুরূপ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী নয়। বাতির জীবনকালও খুব একটা দীর্ঘায়িত নয়। তাই ফিলামেন্ট বাতির ধারা হতে পরিপূর্ণভাবে বেরিয়ে এসে আত্মপ্রকাশ করে স্নিগ্ধ সাদা আলোর এল.ই.ডি বাল্ব। এল.ই.ডি বাল্বের ক্রিয়াপদ্ধতি হল এদের মধ্য দিয়ে ইলেকট্রন প্রবাহের সময় ডায়োড হতে ইলেকট্রনের শক্তির কিছু অংশ আলোকশক্তি রূপে বেরিয়ে আসে। দীর্ঘসময় জ্বালালেও এর তাপমাত্রার তেমন কোনো পরিবর্তন হয় না। বেশ কিছু রঙয়ের আলো দিতে পারে এই বাতি। এসব কারণে এল.ই.ডি বাল্ব সকলের দৃষ্টি কেড়ে নেয়। এল.ই.ডি একটি p-n জংশন ডায়োড। p-n জংশন ডায়োড তৈরি করতে ত্রিযোজী ও পঞ্চযোজী মৌল দ্বারা উপধাতুগুলোকে ডোপিং(নির্দিষ্ট অনুপাতে মেশানো) করতে হয়। এরপর এদের সংযোগে তৈরি হয় এল.ই.ডি এর p-n জংশন ডায়োড। বাংলাদেশে এখন এলইডি বাতি পাওয়া যাচ্ছে যা বাজারের যে কোন এনার্জি সেভিং লাইট এর চেয়েও ৭০% বেশি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী। নিচে একটি লিংক দিলাম যারা ওয়েলম্যাক্স এর লোকাল এজেন্ট এবং ২ বছরের রিপ্লেসমেন্ট ওয়ারেন্টি দিয়ে এল ই ডি লাইট বিক্রি করে:
https://www.facebook.com/permalink.php?story_fbid=807544159268075&id=640460785976414