( আপডেট : এখন থেকে ব্লগার ও নন রেজিস্টার্ড ব্লগারদের জন্য দুর্যোধন ব্লগস্পটেও লেখা প্রকাশ করা হবে।এতে যারা সামহোয়্যারইন ব্লগে কমেন্ট করতে পারছেন না,তাদের সুবিধা হবে। )
ঈদে সাধারনতঃ আমার সময় পার করার মত সময়ের অভাব হয় না।সুতরাং ভাবছিলাম এই ঈদেও ধুমায়া কয়েকটা ছবি দেইখা দেশ ও জাতি উদ্ধার কইরা দিমু।কিন্তু দূর্যোধনের এই আরাম আয়েশ ঘরের ইশ্বর আর উপরের ইশ্বরের -কারোরই সহ্য হইলো না। বেগার খাটতে খাটতে যখন কোনো মতে শুইয়া রিমোট ঘুরাইতাছি,তখনই ডিসে দেখলাম শুরু হইছে এই জমানার সর্বকালের সেরা ছবি 'রা.ওয়ান'। ৪০ মিনিট খুব কষ্ট কইরা সহ্য করলাম , ৪৫ মিনিটের সময় ঘুমায়া গেলাম । স্বপ্নে দেখলাম ইশ্বর আমারে হাতে পায়ে ধইরা আছে,কাইন্দা কাইট্টা একশেষ !
আমি কইলাম, কান্দো ক্যানে মন ?
ইশ্বর কইলো, বাপধন আমার , দেশের কুকুর রাখিয়া বিদেশি ঠাকুর ধরি ? শাকিব খানের 'কিং খান' না দেইখা তুই 'রা.ওয়ান'' দেখলি ?
ঘুমের ভিতরেই হাই তুল্লাম।কইলাম , হলে গিয়া ছবি দেখতে পারুম না।তাছাড়া ঘরের ভিতর ফ্রি দেখি,হলের খরচ আছে।
ইশ্বর কইলেন , আরে ব্যাটা , জিনিস যেটা ভালো,দাম তার একটু বেশি !শাকিব খানের ছবি না দেখলে অভিশাপ দিয়া তোরে শাকিব খানা বানায়া দিমু।
ভয়ে ঘুম ভাইঙ্গা গেলো। ঠিক করলাম,ছবি দেখতেই হইবো।
সময় মতো আসন গ্রহন কইরা দেশ ও জাতিরে আরেকবার ধন্য করলাম।ছবির শুরুর দিকে জাতীয় পতাকাটা ঠিক মত উড়তে না উড়তেই শেষ!! আমি সম্মান দেখাইতে গিয়া দাড়াইতে গেলাম।আমার আশে পাশের বাঙ্গালেরা হাত তুইলা দায়িত্ব শেষ করলো।বেকুবের মত একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললাম।
ছবির শুরুতেই দেখি শাকিব খানের বন্ধু রেল লাইনে শুইয়া আত্মহত্যার চেষ্টা করতাছে।হঠাৎ দেখি শাকিব খান আইসা ধাবমান ট্রেনের দিকে দৌড় লাগাইলেন।আমি ভাবলাম, কাহিনী কি !! ট্রেন থামায়া ফেলবো নাকি ! মজা লইতে না লইতেই দেখি শুইয়া পড়া বন্ধু ঝাইড়া দৌড় দিয়া শাকিব খানরে ট্রেনে কাটা পড়া থিকা রক্ষা করলেন। শাকিব খান তার বন্ধুর জন্য জীবন দিতে পারেন, কারন বন্ধু আবার এক মাইয়ার জন্য জীবন দিতে গেছিলেন। এমন উদার মনের শাকিব খানের পরিচয় পাইয়া আমি স্তম্ভিত হইলাম।
শাকিব খানের নাম হইলো রাকেশ । রাকেশ নামের অর্থ চান্দের আলো।চান্দের আলোয় ওযু করতে গিয়া তারে খুইজা পাইছিলেন এক হুজুর(এত গভীর রাইতে কোন নামাজ পরতে গেছিলেন,বুঝলাম না।)।হুজুররা আজকাল হিন্দি ছবি দেখা বাড়ায়া দিছে, রাকেশ নাম রাখা দেইখা বুঝলাম।এগুলারে দোররা মারনের কাম।
ঐদিকে কিং খান হইলেন মিশা সওদাগর।উনি ড্রয়িং রুমে ঢুকার আগে চাকর বাকরেরা লাইন ধইরা ''কিং খান আসিতেছে, সাবধান সাবধান'' কইয়া গলা ভাইঙা ফেলেন।উনি খালি জমি বেচেন আর টেকা নিয়া মউজ মাইয়া হ্যান ত্যান করেন।উনার ছোট ভাই আরবাজ খান আর কিং খানের বাপ ছেরু মোল্লা।
কাহিনীর চরিত্রগুলারে মোটামুটি বুঝার আগেই এক তরুনীরে পর্দায় দেখলাম ।বাজে কোনো চিন্তা আসার আগেই দেখা গেলো সুন্দরী সি-বীচে সাদা কাপড় পইড়া নামাজ পড়তাছে।কাপড়-চোপড়,কন্ট্যাক্ট লেন্স,নামাজ-কালাম আদব-লেহাজ দেইখা মুগ্ধ হইতে না হইতেই দেখলাম নামাজ শেষ কইরাই তরুনী উদ্দামতার সাথে উদাম হইয়া গেলেন!(লুলেরা বলেন সুবহানাল্লাহ-অন্যরা বলেন নাউযুবিল্লাহ),ওড়না ছুইড়া হিহিহি কইরা হাসার পাশাপাশি সি-বীচে লাফাইয়া বেড়ানো শুরু করলেন ! ( নামাজ শেষ কইরা অট্টহাসির অর্থ কি হইতে পারে? বাজে চিন্তা ঘুরতাছে.. !! )। হঠাৎ এক আহত কবুতর দেইখা তরুনী তার হাসি থামাইয়া কবুতরের সেবায় নিয়োজিত হইলেন।সেবা দেখতে আসলেন এক বৃদ্ধ শিল্পপতি শরীফ চৌধুরী। চৌধুরী টাইটেল দেইখাই বুঝলাম কপালে খারাবি আছে।তরুনী কোনো কথা না বাড়াইয়া ভাঙা বোতল দিয়া বৃদ্ধের সানডে মানডে ক্লোজ করলেন! ডাইনী নিয়া ছবি নাকি বে ?
ঐদিকে কয়েকটা ব্যবসায়ী কিং খান মিশার বাসা থিকা দশ কোটি টাকা নিয়া ফিরতাছিলেন।কিং খান মিশার চ্যালারা আইসা সবগুলারে গুলি কইরা দশ কোটি টাকা নিয়া ভাগতে গেলো।কিন্তু স্ক্রিপ্টরাইটারের আশীর্বাদে একই রাস্তা দিয়া আসতাছিলেন শাকিব খান।উনি গুন্ডাগুলারে পিটাইয়া লাশ বানাইতাছিলেন,ইতিমধ্যে বুকে দশটা গুলি খাইছে -এমন একজন ব্যবসায়ী পকেট থিকা মোবাইল বাইর কইরা খুবই নিপুনতার সাথে পুলিশে ডায়াল করলেন।(গুলিগুলাও আজকাল ভেজাল হইছে,নাইলে কবে আজরাইলের কাছে ফোন যাইতো গা !)।পুলিশ আইসা শাকিব খানরে চালান দিলো।
এখন শাকিব খানরে বাচাঁয় কে? বড় উকিল ধরে কে? আগায়া আসলেন ঐ সি বীচের খুনি তরুনী ।উনার নাম ঝুমা।উকিল ঠিক কইরা শাকিব রে জামিন দেওয়ার ব্যবস্থা করলেন।কেনো? কারন কিং খান মিশার সাথে উনার হিসাব নাকি চুকানের আছে।যাই হোক, তরুনী বড়ই মনোহর, আজকাল এমন দেহবল্লরীর অধিকারিনী এফডিসিতে দেখা যায় না।তবে আশা কইরা লাভ নাই, এক বছর এফডিসির চাউল পেটে পড়লেই হইবো,তখন পপি ময়ুরীর লগে প্রতিযোগিতায় নামবো।
কইতে ভুইলা গেছিলাম।শাকিব খান একজন মেকানিক।উনার গ্যারেজে একদিন আসলেন নায়িকা অপু বিশ্বাস। অপু বিশ্বাসরে দেইখা শাকিব খানের চ্যালা কাবিলা কইলেন,''ওস্তাদ ,আইটেম আইছে!'' । শাকিব খান না দেইখা জিগাইলেন -বডি কেমন ?? হেডলাইট কেমন ? বাম্পার কেমন ? কাবিলা যথাক্রমে বডি,বক্ষদেশ ও পাছা নিরীক্ষা কইরা কইলেন 'ওকে' !!আমি ঢোঁক গিললাম।উনাদের প্রেমও হইয়া গেলো। প্রেম হওয়ার নিদর্শন স্বরপ একটা গানাবাজনা হওয়া দরকার,তাও হইলো। হিরো হোন্ডা হাংক/বাজাজ পালসার বাইকে যেখানে তিনজন আরামে বসতে পারে,সেখানে দেখলাম অপু বিশ্বাসের পশ্চাতদেশের এক-চতুর্থাংশ বাইরে আছে।গ্যালিলিওর পড়ন্ত বস্তুর সুত্র ভুল মনে হইলো।শুন্যে কোনোভাবেই শাকিব আর অপু'র পড়ন্ত অবস্থায় গতিবেগ তুলার সমান হইতে পারে না।গ্যালিলিও ব্যাডারেও দোররা মারনের কাম !
এর মাঝেই শাকিব খান জামিন পাইছেন,যেই ব্যবসায়ী ব্যাডায় দশটা গুল্লি খাইয়া ফোনালাপে মত্ত ছিলেন উনিও সুস্থ হইছেন।মিশা ভাবলেন এই ব্যাডারে না মারলে দশ কোটি টাকা ছিনতাই নিয়া কেস হইবো,সুতরাং উনি ফোর্স পাঠাইলেন হাসপাতালে।এখানেও স্ক্রিপ্টরাইটারের অশেষ মেহেরবানীতে শাকিব খান হাজির হইলেন ।আইসা দেখলেন গুন্ডারা ঐ ব্যবসায়ীর স্যালাইনে কালো রং মিশাইতাছে।কালো মানে খারাপ কিছু,সুতরাং শাকিব খান দিলেন ধাওয়া।ধাওয়ার এক পর্যায়ে গুন্ডারা আরেক বিল্ডিংয়ের ছাদের লাফাইয়া পার হইয়া গেলেও শাকিব খান তার পশ্চাৎদেশের চর্বির কারনে গজগামিনী হইয়া গেছিলেন।এখন তিনি খেপলেন।তার চোখ লাল হইলো , বাটার মোড়ের সিগন্যালের মত লাল আলো দিলো,তার দৌড়ের সময় পায়ের আঘাতে নিষ্কর্মা আবুলের তৈরি ছাদে গর্ত তৈরী হইলো!ইশপেশাল ইফেক্ট !
মাইরপিট কইরা তিনি ঝুমা (সুন্দরী ,ক্ষীন কটিদেশ ও সুডৌল ইয়ের অধিকারিনী- আসল নাম জানিনা) কে সাথে নিয়া বড় উকিলের কাছে গেলেন।গিয়া আবারো স্ক্রিপ্টরাইটারের আশির্বাদে একটা বাচ্চা ছেলের ছবি একটা ফাইলে পাইলেন।তার বুক পকেটে রাখা ছবি আর ফাইলের বাচ্চার ছবি মিলাইয়া দেখা গেলো---শাকিবই আসল কিং খান ! ছোট বেলার শাকিবের বাপ জাবেদ খান ও মা সাহারা খানের একমাত্র পোলা কিং খান।(এই সাহারা সুশ্রী,বলার অপেক্ষা রাখে না )।জাবেদ খানে মইরা গেলে সাহারা খান বিয়া করেন আশরাফ ইকবালরে ।( এই সাহারা শুধু বিবাহিত না,ডবল বিবাহিতও বটে !! )।আশরাফ ইকবাল ঘরের ভিতর যায়গা দিছিলেন ছেরু মোল্লা আর তার দুই পিচ্চি পোলা গজা মোল্লা আর গাধা মোল্লারে।সেই ছেরু মোল্লা সিস্টেম কইরা সাহারা (সুচরিতা )রে মারেন,আর আশরাফ ইকবাল (উজ্জ্বল)রে ফাসাইয়া দেন।ফাইসা গিয়া উজ্জ্বল পালাইয়া সাধক হইয়া যান।আর ছেরু মোল্লা আমাগো 'আসলি' কিং খান শাকিব খান রে একটা স্টীলের ট্রাংকে ভইরা বুড়িগঙ্গা ব্রীজ থিকা ফালাইয়া দেন।সেই ট্রাংক থিকা এক হুজুর শাকিব রে উদ্ধার কইরা মাদ্রাসায় ভর্তি করেন।কপালের লীলা খেলা,বাচ্চা ভর্তি স্টিলের ট্রাংকও ডুবতে না দেইখা আর্কিমিডিসরে একচোট গালি পারলাম ! শ্লা আর্কিমিডিস ,তোর কত কি শিখার ছিলো এফডিসিতে !আর আমাদের কি ভুল শিখাইলি সারা জীবন !
শাকিব খান তার পরিচয় জানতে পাইরা উকিল নোটিশ পাঠাইলেন,এই বাড়ি সম্পত্তি গার্মেন্টস -সব আমার।হাইকোর্ট মনে হয় আজকাল ভালই ব্যস্ত, তারা উকিল নোটিশের ঝামেলা এক দিনে মিটাইয়া দ্বিতীয়দিনে রায় দিয়া দিলো !!শাকিবও মেকানিক থিকা হইয়া গেলেন কিং খান।ঐদিকে তরুনী কইলেন,তার তরুনীবেলায় মিশার চ্যালারা টার সৎ (!!) পুলিশ (!!) অফিসার (??) বাপরে মারছে,তাই তিনি এক এক কইরা সবাইরে পার্সেল করবেন।এক চ্যালার বাসায় গিয়া রাইতে হাজির হইলেন,ঐ চ্যালায় মদ খাইয়া টাল।ঝুমা তখন ঐ টালের মদে বিষ ঢাইলা দিলেন।কিন্তু এত সহজে একটা মাইয়ার হাতে একটা গুন্ডা মরবো,এতটা বেরসিক পরিচালক না।সুতরাং ঝুমা ঐ বিষ খাওয়া আধামরা গুন্ডারে নিয়া সুইমিংপুলে ঝাপ দিয়া মরাডারে বারবার চুবাইয়া মারলেন। পুরাপুরি ভিজা নায়িকারে দেইখা হলের ভিতর অনেকেই গালি দেওয়া শুরু করছে।পাশের জনরে জিগাইলাম কাহিনী কি ? উনি মনে হইলো অভিজ্ঞ মানুষ, কইলেন -নায়িকারে পানিতে চুবাইছে পরিচালক,কিন্তু টি শার্ট সাদার জায়গায় পরাইছে লাল !! সুতরাং দর্শক তো ক্ষেপবৈই !!
এইবার তরুনী ঝুমা গেলেন তৃতীয় ব্যাক্তি ,মিশার ভাইরে মারতে।ঐ ব্যাডায় ধরা খাওনের জন্য রেডিই ছিলো।তরুনী খাতিরের সাথে মিশার ভাইয়ের পেটে পিস্তল ঠেকাইয়া একটার পর একটা ফোন দেওয়া শুরু করলেন।প্রথমে করলেন শাকিব রে,তারপর করলেন পুলিশরে।সবাইরে কইলেন জীবনের একটা সুন্দর অভিজ্ঞতা দেখতে হইলে আমবাগান ১৩/১ এর ছাদে আসতে,ঐখানে তিনি মিশার ভাইরে মারবেন।ভিলেনও নিয়মনিষ্ঠ ব্যাক্তি....সুড়সুড় কইরা ছাদে দাড়াইলেন,আদব লেহাজের সাথে জিগাইলেন তারে কেনো নিয়া আসা হইছে ছাদে ? ( তোমারে বাতাস খাওয়াইতে,ব্যাডা ছাগল!)। তরুনী শুরু করলো নছল্লা।নছল্লার এক ফাঁকে শাকিব আর পুলিশ আইসা পরলেন,শাকিব শুরু করলেন বয়ান দেওয়া.... মানুষ মারা পাপ,কপালে হুরপরী জোটেনা,পাপ ছাড়ে না বাপেরে টাইপ ইত্যকার ডায়লগবাজি । ভিলেনও চান্স পাইয়া গেলো,শাকিব আর ভিলেন একে অপরের দিকে বুলেট নিক্ষেপে মত্ত হইলেন।একজন আরেকজনের ছুইড়া মারা বুলেট এড়াইতে ম্যাট্রিক্সের কিয়ানু রিভস হইয়া গেলেন...,তয় ভিলেন ব্যাডায় বেশিদুর যাইতে পারলোনা,তরুনীর গুল্লি খাইলো।পুলিশের গুলি খাইয়া তরুনিও শহীদ হইলেন।বাংলা ছবিতে কেউ গুল্লি খাইলে ডায়লগবাজি শেষ না হওয়া পর্যন্ত মরার নিয়ম নাই,সুতরাং তরুনী তার প্রেম শাকিবের প্রতি নিবেদন কইরা হুরপরী অথবা গেলমান (যার যা লাগে ) খুজতে উপরে উইঠা গেলেন।
ঐদিকে মিশা শাকিবের বাপ,চামচা,অপু বিশ্বাস প্রভৃতিরে ধইরা আইন্যা গোডাউনে নিয়া গেছেন ।গোডাউন দেইখা আমিও বুঝলাম ছবি শেষের দিকে।মিশার দাবী শাকিবের নাম ফিক্সড ডিপোজিট করা ৪০ কোটি টাকা অনলাইনে ট্রান্সফার করতে হইবো।সুতরাং শাকিব খান যেনো গোডাউনে আইসা ল্যাপটপে পিন নাম্বার দিয়া ট্যাকা ট্রান্সফার করেন । (হালার্পো , শাকিব কিং খান হৈলো একদিন আগে ,ফিক্সড ডিপোজিটের মালিক হইলো কবে আর পিন নাম্বার জানলো কবে ? আর ফিক্সড ডিপোজিট আবার অনলাইনে ট্রান্সফার করে ক্যামনে ? )
শাকিব খানও কথামত চইল্যা আসলেন,তাকে বাধা দিতে অত্যন্ত সুশৃংখলভাবে একের পর এক গুন্ডা আইসা মাইর খাইলো।গোডাউনে ঢুইকা শাকিব দেখলেন একপাশে ল্যাপটপ আরেক পাশে ডেস্কটপ রাইখা ল্যান তৈরি করা হইছে !ল্যাপটপে পিন চাপতে গিয়া শাকিব খান অনেক সময় নিলেন ( পাওয়ার অনই করা ছিলো না যে ! পাওয়ার অন বাটন খুজতে একটু সময় লাগেই তো , জনাব ! )।পিন চাইপ্যা দিলেন এন্টার।ভিলেন ডেস্কটপে বইস্যা দেখলেন টাকা আসতাছে money on process! ( গ্রামীনের নেট হৈতে পারে..যেই স্লো ) । শাকিব এন্টার মারার পর ১৫ সেকেন্ড ধইরা যখন ভিলেনের কাছে টাকা যাইতাছিলো,তখন শাকিব খান তার জুতা খুইলা মারলেন ভিলেনের দিকে।সেই জুতা খুব নিষ্ঠতার সাথে ভিলেনরে মাইরা আবার শাকিবের পায়ের নিচে ফিরা আসলো ( প্রভুভক্ত পাদুকা নামে একটা জুতার ফ্যাক্টরী দিমু ভাবতাছি )।
তারপর আর কি ! মারামারির পর শাকিব খান ভিলেনরে কইলেন শ্লার্পো!আমার টাকা আবার ট্রান্সফার কর !ভিলেন সুড়সুড় কইরা ট্যাকা ফিরাইয়া দিলেন।সকলের মিলন হইলো,আমিও বেকুবের মতন কিছুক্ষন ল্যাপটপ আর ডেস্কটপের দিকে তাকায় রইলাম ।
আইচ্ছা,গাধার বুদ্ধি কি বাংলা ছিঃনেমার পরিচালকদের মাথায় ট্রান্সফারের কোনো উপায় জানা আছে ?
বি.দ্র.
@ ছবির পজিটিভ দিক হইলো সত্যাগ্রহীতা।গুন্ডাপান্ডা মায় ভিলেন পর্যন্ত গান্ধীর আদর্শে বিশ্বাসী।হাতে বন্দুক থাকার পরও কেউই গুলি চালায় না, খালি হাতে মারামারি করে।
@ আরেকটা পজেটিভ দিক হইলো নিয়মনিষ্ঠা ও সুশৃংখলা।সবাই এক সাথে শাকিব কে এটাক করে না।একজনের পর একজন,বাকি সবাই অপেক্ষা করে-কে কার পর মাইর খাইবো।
@ আরেকটা পজেটিভ দিক হইলো ,শাকিব খান।স্পাইডারম্যান ব্যাটম্যানও মাইর খায়।হ্যারা নায়ক না।নায়ক মাইর খাইতে পারে না।সুতরাং পুরা ছবিতে শাকিব খান দুইবার গলা ধাক্কা খাওয়া ছাড়া কোনো মাইর খায় নাই ।
@ আরো একটা পজেটিভ দিক হইলো টাইমস্প্যান।এই প্রথম বার বাংলা ছবিতে '১৯' বছর কথাটা ব্যবহার হইছে।অন্য সব সময় '২০'বছর পর দেখা হয়।
@আরো একটা পজেটিভ দিক হইলো অপু বিশ্বাসের স্বাস্থ্য।উনি শুকাইয়া মোটামুটি ৯৫-১০০ কেজির মত হইছেন।
@আরো একটা পজেটিভ দিক হইলো অ্যাকশন দৃশ্য।নিঃসন্দেহে রা.ওয়ানের চেয়ে ভালো এবং মেশিনম্যানের চেয়ে খারাপ।
সবাই সুস্থ থাকেন।ঈদ মোবারক।
____________________________________
একইসাথে চতুর্মাত্রিকে প্রকাশিত।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩০