
খান সাদীর সাথে এটা আমার ব্যক্তিগত তৃতীয় খেলা। আর টাইটেলেই বোঝা যাচ্ছে, এখন পর্যন্ত সবগুলোতেই তিনি হেরে গেলেন। এবারও একই সমস্যা দেখলাম। সুন্দর শুরু করেও খেলার মাঝপথে খেই হারিয়ে বা হিসেবে গোলমাল করে খেলার নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলা। এই জায়গাতে খান সাদীকে ইমপ্রুভ করতে হবে। জয়ের আনন্দে আমি বোধহয় একটু বেশি আকাশে ভাসছি।
আমি সাদা নিয়ে আর খান সাদী কাল নিয়ে খেলা শুরু করেন। খেলার শুরুতে দুইজনই খুব দক্ষতার সাথে ঘর গুছিয়ে ফেলি। ১২ চাল পরে খেলার অবস্থা দাঁড়ায় নিচের ছবিটির মত।
আমি যখন a4 চাল দিয়ে কর্নার দিয়ে খান সাদীর দূর্গে ঢুকবার চেষ্টা করছিলাম, তখন তিনি মধ্যমাঠ দিয়ে আক্রমন করেন e5 চালের মাধ্যমে। ফলে একটি যুদ্ধাবস্থা তৈরী হয়। খান সাদী এই খেলায় জয়ের জন্য খুব ডেসপারেট ছিলেন। ওনার মন্ত্রী d5 এ এবং হাতি b7 এ সেট করা ছিল। ওনার উদ্দেশ্য আমি খুব ভালভাবে বুঝতে পারি। তা হল, আমার f6 পজিশনের ঘোড়াটিকে কোনভাবে সরিয়ে দিয়ে সরাসরি কিস্তিমাত করে দেয়া। রিফাত হোসেনের সাথে একটি খেলাতে এই ধরনের হিসাবের গোলমালে পড়ে আমি ভাল পজিশন থেকেও খেলায় হেরে যাই। তাই এই ব্যাপারটাতে আমি সচেতন ছিলাম।
আমার ঐ ঘোড়াটি সরানোর উদ্দেশ্যে তিনি exd4 চাল দিলেন। আমি সেটাকে সৈন্য দিয়ে ডিফেন্স করে দেই। ওনার উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয়। ঊনি আবার আমার ঐ ঘোড়াটি সরানোর উদ্দেশ্যে এবার Bd4 চাল দিলেন। আর এটাই ছিল ওনার সবচেয়ে বড় ভুল, যা খেলার জয়-পরাজয় নির্ধারন করে দেয়। ভুল চালের খেসারত দিয়ে ওনার একটা ঘোড়া শর্ট পড়ে যায়। ২০ চাল শেষে খেলা দাঁড়ায় নিচের ছবিটির মত।
খেলাতে পাওয়ারে দিক দিয়ে পিছিয়ে গেলে আমি কিছুটা আত্মঘাতী স্টাইলে খেলে প্রতিপক্ষের আক্রমন নস্যাত করে দিতে চেষ্টা করি। আমার এই স্টাইলের একটি বিশেষ নাম দিয়েছেন রিফাত হোসেন - আল কায়েদা স্টাইল। খান সাদী পাওয়ারের দিক থেকে পিছিয়ে থেকে তেমন পালটা আক্রমন তৈরী করতে পারেননি। বাড়তি পাওয়ারের পুরো এডভান্টেজ নিয়ে আমি খান
সাদীর প্রতিটি সৈন্য খেয়ে ফেলি। ৩৮ তম চালে গিয়ে যখন খেলার ফলাফল নিশ্চিত, তখন খান সাদী রিজাইন দেন।
রিফাত হোসেনের সাথে একটা গেম আজ হতে পারে। আশা করছি তুমুল ফাইট হবে। আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন।