শুরুতে দুইজনই সমান তালে শুরু করি। ১০ তম চালে গিয়ে আমি কিছুটা ভাল পজিশনে পৌছে যাই (নিচের ছবি দেখুন)।
কিন্তু খান সাদী খুব ভালভাবে রিকোভার করেন। ১৭ তম চালে খেলা দাঁড়ায় নিচের ছবির অবস্থানে।
এক পর্যায়ে খুব হাস্যকর ও এমেচার টাইপের ভুল করে আমার হাতি হারাই। খেলা দাঁড়ায় আমার চার পাওয়ার বনাম খান সাদীর পাঁচ পাওয়ার। ২১ তম চালের ছবি নিচে।
আমি নোকা সুসংহত করে রুখে দাড়াবার চেষ্টা করি। ২৩ তম চালের ছবি নিচে।
কিন্তু আমার সাথে নৌকাদুটি কাটাকাটি করে আমার পজিশন খারাপ করে দেন খান সাদী। এবার খান সাদীর দুই ঘোড়া বনাম আমার এক ঘোড়া। ২৭ তম চালের ছবি নিচে।
এই অবস্থায় আমি সাবধান হয়ে খেলতে শুরু করি। আর খান সাদী একটা বাড়তি ঘোড়ার সাহসে আমার দূর্গে ঢুকে যান। আমি রাজা, ঘোড়া আর সৈন্য এমনভাবে সেট করে ফেলি যে, খান সাদীর ঘোড়া আমার দূর্গে বন্দী হয়ে যায়। ৩৬ তম চালের ছবি নিচে।
অতি সাহসে খান সাদীর একটা ঘোড়া চলে গেল। আমার রাজার অবস্থানও শক্ত হয়ে যায়। দীর্ঘ সময় পরে আমি বোর্ডের এডভান্টেজ নেই। ৪৬ তম চালের ছবি নিচে।
আমার সৈন্য চারটি আর খান সাদীর তিনটি। আর সবচেয়ে বড় কথা আমার রাজা মিডফিল্ডে খুব ভাল অবস্থানে। খান সাদীকে কোন সুযোগ না দিয়ে ঘোড়াদুটো কাটাকাটি করে ফেলি। যার ফলে ৫৮ তম চালে গিয়ে মন্ত্রী তুলে ফেলতে আমার মোটেও বেগ পেতে হয় না।
এরপর খান সাদীর করনীয় একটাই ছিল। আমার কোন ভুলের সুবাদে যদি খেলা ড্র হয়। কারন রাজা কোন চাল দিতে পারছেনা এমন পজিশনে খেলা ড্র হয়ে যায়। কিন্তু আমিও এই ব্যাপারে এলার্ট ছিলাম। ৬৮ তম চালে খান সাদীর রাজাকে চেকমেট করে ফেলি।
খান সাদীর সাথে প্রথম খেলাটির মত এই খেলাটিতেও খেলার মাঝপথে খেই হারিয়ে তিনি হেরে গেলেন। ঠিক একই ভাবে খেলার একই স্টেজে রুখে দাঁড়িয়ে আমি খেলা জিতে নিলাম। খেলাটি চেস ডট কমেও পাওয়া যাবে Click This Link ।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা মে, ২০০৯ বিকাল ৫:৩৮