somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আল বিদা মাহে রমজান-১০ম পর্বঃ আজ পবিত্র জুমাতুল বিদা ও ঐতিহাসি আল-কুদস দিবস

০৭ ই মে, ২০২১ রাত ৩:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আজ ২৪শে রমজান ১৪৪২ হিজরী, ৭ মে ২০২১ ইং শুক্রবার। রমজানের শেষ দশক অর্থাৎ নাজাতের দশকের ৪র্থ দিবস শেষ শুক্রবার পবিত্র জুমাতুল বিদা। পবিত্র মাহে রমজানের শেষ জুমাকেই আখেরি জুমা বা জুমাতুল বিদা বলে অভিহিত করা হয়। অনেকে ওই শুক্রবারকে‘গরীবের হজ্জ্বের দিনও’ বলে আখ্যায়িত করে থাকেন। দিনটি মুসলিম উম্মাহর কাছে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। এই দিনের জুমার নামাজ আদায়ের জন্য ব্যাকুল রোজাদারগণ নামাজ শেষে দয়াময় প্রভুর দরবারে হাজিরা দিয়ে বিগলিত চিত্তে মাগফিরাত কামনা করবেন। ইসলামের সূচনাকালে মদিনায় যখন রমজান মাসে রোজার বিধান নাজিল হয়, তখন থেকেই প্রতিবছর রমজানের শেষ জুমাকে বিশেষ গুরুত্বসহকারে আদায় করে আসছে মুসলিম উম্মাহ। এক মাসের সিয়াম সাধনার শেষ পর্যায়ে এসে আজ হচ্ছে পবিত্র জুমাতুল বিদা। জুমার দু'রাকাত ফরজ নামাজের পর আখেরি মুনাজাতে মুসল্লিরা আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করবে। দিনটি মুসলিম বিশ্বে মুসলামানদের প্রথম কেবলা ‘বায়তুল মুকাদ্দাস’ মসজিদুল আল-আকসা পুনরুদ্ধারের দাবিতে আল-কুদস দিবস হিসেবেও পালিত হয়। হজরত মুহাম্মদ (সা.) রমজানের শেষ শুক্রবারে জুমার নামাজের পর বিশেষ ইবাদত করতেন। তার উম্মতরা এরই ধারাবাহিকতায় এই দিনে জুমার পর নফল নামাজ আদায় করেন ও বিশেষ দোয়া মোনাজাত করেন। আজ মসজিদগুলোতে খতিবগণ জুমার খুতবায় 'আল্ বিদা-আল্ বিদা ইয়া শাহরু রামাদ্বান, আল্ বিদা-আল বিদা ইয়া শাহরু নুযুলুল কোরআন' ইত্যাদি বিশেষণ দ্বারা মাহে রমজানকে বিদায় সম্ভাষণ জানাবেন।


এ ছাড়াও রমজান মাসের শেষ শুক্রবার আন্তর্জাতিকভাবে মুসলীম বিশ্বে দিনটিকে আল-কুদস দিবস বলা হয়। মুসলমানদের প্রথম কেবলা পবিত্র বায়তুল মুকাদ্দাসকে দখলমুক্ত করার আন্দোলনের প্রতীকী দিন। দিনটি মুসলিম বিশ্বে মুসলামানদের প্রথম কেবলা 'বায়তুল মুকাদ্দেস' মসজিদুল আল-আকসা পুনরুদ্ধারের দাবিতে আল-কুদস দিবস হিসেবেও পালিত হয়। জেরুজালেম শহরের অপর নাম ‘কুদস’ বা ‘আল কুদস’। জেরুজালেমে অবস্থিত বায়তুল মোকাদ্দাস হলো- মুসলমানের প্রথম কেবলা। ১৯৬৮ সালে ইসরায়েলি আগ্রাসনে মুসলমানদের হাতছাড়া হয় মসজিদের আল আকসাখ্যাত বায়তুল মুকাদ্দেস। বায়তুল মুকাদ্দাস বছরের পর বছর ধরে ইহুদিদের দখলে রয়েছে। ফিলিস্তিনের মূল অধিবাসীদের অধিকাংশকে বিতাড়িত করে ১৯৪৮ সালের ১৫ মে ইহুদিরা সেখানে অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল কায়েম করে। ১৯৬৭ সালে ইসরাইল বায়তুল মুকাদ্দাস দখল করে। এরপর থেকে বায়তুল মুকাদ্দাসকে দখলমুক্ত করার জন্য সমর্থন আদায়ের লক্ষ্যে আল-কুদস দিবস পালিত হয়ে আসছে। পবিত্র রমজান মাসের শেষ জুমার দিনকে আল-কুদস দিবস হিসেবে পালন করা হয়। ইমাম খোমেনী (রহ.) তথা ইরানি জাতি রমজান মাসের শেষ শুক্রবারকে বিশ্ব কুদস দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছেন। এটা ফিলিস্তিনিদের অধিকারের কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়। ইরানের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানি বলেছেন, কুদস দিবস হচ্ছে ফিলিস্তিনি জাতির অধিকারের প্রতি সমর্থনের দিবস এবং আশাকরি খুব শিগগিরই ফিলিস্তিনিদের সংগ্রাম বিজয় অর্জন করবে। এদিকে বায়তুল মুকাদ্দাস মুক্তির সময় ঘনিয়ে আসছে বলে ইহুদিদের টার্গেট করে কঠিন বার্তা দিয়েছেন অধিকৃত বায়তুল মুকাদ্দাস বা জেরুজালেমের রোমান অর্থোডক্স চার্চের আর্চবিশপ আতাউল্লাহ হানা। তিনি বৃহস্পতিবার বিশ্ব কুদস দিবসকে সামনে রেখে এ কথা বলেন।


প্রসঙ্গত,বায়তুল মোকাদ্দাস হচ্ছে ইসলামের প্রথম কেবলা মক্কা ও মদিনার পর তৃতীয় পবিত্র স্থান। হজরত রাসুলে করিম (সা.) মক্কার মসজিদুল হারাম, মদিনার মসজিদুন্নবী ও বায়তুল মোকাদ্দাস মসজিদের উদ্দেশে সফরকে বিশেষভাবে সওয়াবের কাজ হিসেবে উল্লেখ করেছেন,যা অন্য কোনো মসজিদ সম্পর্কে করেন নি। হিজরতের পর বায়তুল মোকাদ্দাস ইসলামের প্রথম কেবলা। বায়তুল মোকাদ্দাস দুনিয়ার জন্য অসংখ্য ভূখন্ডের মতো কোনো সাধারণ ভূখন্ড নয় । বায়তুল মোকাদ্দাস মসজিদ এবং তার আশপাশের এলাকা বহু নবীর স্মৃতি বিজড়িত । এ পবিত্র নাম শুধু একটি স্থানের সঙ্গে জড়িত নয় বরং এ নাম সব মুসলমানের ঈমান ও সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। এখানে রয়েছে অসংখ্য নবী-রাসুলের মাজার। ওহি ও ইসলামের অবতরণস্থল এ নগরী নবীদের দ্বীন প্রচারের কেন্দ্রভূমি।
হাদিসের বর্ণনা অনুযায়ী, হজরত আদম (আ.) মক্কায় কাবাঘর নির্মাণের চল্লিশ বছর পর বায়তুল মুকাদ্দাসে মসজিদুল আকসা নির্মাণ করেন, অতঃপর হজরত সুলায়মান (আ.) বায়তুল মুকাদ্দাসের এ পবিত্র মসজিদের পুনঃনির্মাণ করেন। কিন্তু বিভিন্ন ঘটনাপ্রবাহে ওই মসজিদ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। ৬৩৮ খ্রিস্টাব্দে বায়তুল মুকাদ্দাস মুসলমানদের অধিকারে আসে এবং পরবর্তীকালে ওই পবিত্র স্থান আবাদ করে সেখানে মসজিদুল আকসা ও কুব্বাতুস সাখরাহসহ (মসজিদ) বিভিন্ন স্থাপনা নির্মিত হয়। ১০৯৬ খ্রিস্টাব্দে ইউরোপের ক্রুসেডার খ্রিস্টানরা সমগ্র সিরিয়া ও ফিলিস্তিন দখল করে নেয়ার পর বায়তুল মুকাদ্দাসের বিভিন্ন ইসলামী স্থাপনায় পরিবর্তন করে, বিশেষ করে মসজিদুল আকসাকে গির্জায় পরিণত করে। এরপর ১১৮৭ খ্রিস্টাব্দে সালাহ উদ্দীন আইয়ুবি বায়তুল মুকাদ্দাস শহরকে আবারও মুসলমানদের অধিকারে নিয়ে আসেন। অবশেষে ব্রিটিশ সরকার ফিলিস্তিনকে আরব ও ইহুদিদের মধ্যে ভাগ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে- ফলে ১৯৪৮ সালের ১৫ মে ফিলিস্তিনে ইহুদিবাদী অবৈধ ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়। এ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা লাভের পর ইহুদিরা আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে এবং মুসলমানদের কচুকাটা করতে থাকে। তাদের অত্যাচারে জর্জরিত আরবরা জীবন বাঁচাতে দলে দলে দেশ ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়। এ সত্ত্বেও তখনও বায়তুল মুকাদ্দাস মুসলমানদের দখলে ছিল। কিন্তু আরবদের দুর্বলতার মুখে ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরাইল যুদ্ধে তা মুসলমানদের হাতছাড়া হয়ে যায়। ফিলিস্তিনের নির্যাতিত জনগণ দীর্ঘদিন ধরে তাদের আবাসভূমি ও আল-কুদস (বায়তুল মুকাদ্দাস) উদ্ধারের জন্য রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম চালিয়ে যেতে থাকে। তাদের সংগ্রামে দিশেহারা হয়ে ইহুদিবাদী ইসরাইল ফিলিস্তিনি জনগণের মধ্যে ভাঙন ধরানোর জন্য ফিলিস্তিনের একটি ক্ষুদ্র অংশে সীমিত স্বায়ত্তশাসনের কথা বলে কিছুসংখ্যক নেতাকে আপসকামী ভূমিকায় নিয়ে আসে। তথাকথিত শান্তি আলোচনার সুযোগে তারা একে একে ফিলিস্তিনের প্রকৃত সংগ্রামী নেতাদের হত্যা করে চলেছে এবং ফিলিস্তিনের নতুন নতুন এলাকা দখল করে ইহুদি বসতি সম্প্রসারণ অব্যাহত রেখেছে, এমনকি ফিলিস্তিনে মানবিক ত্রাণসহায়তা পৌঁছাতে পর্যন্ত বাধা দিচ্ছে। এ ধরনের অমানবিক কার্যক্রম তারা এখনও অব্যাহত রেখেছে। এছাড়া তারা ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে বারবার বিমান হামলা চালিয়ে নারী, শিশু ও বৃদ্ধসহ এ পর্যন্ত কয়েক হাজার নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছে এবং হাজার হাজার বাড়িঘর, মসজিদ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হাসপাতাল ধ্বংস করেছে। ইহুদিদের ষড়যন্ত্র ও ধ্বংসলীলা আজ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে সীমাবদ্ধ নেই। সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যে, বিশেষ করে সিরিয়া, ইরাক, ইয়ামেন, লিবিয়া, বাহরাইনসহ গোটা আরব বিশ্বে মুসলিম দেশগুলোর জায়নবাদী আগ্রাসন ছড়িয়ে পড়েছে। জায়নবাদী ষড়যন্ত্রের ফাঁদে কোনো কোনো মুসলিম শাসক পতিত হয়েছেন। ফলে লাখ লাখ মুসলিম হত্যার শিকার হয়েছে। কোটি মুসলিম নিজ বাড়িঘর থেকে বিতাড়িত হয়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ছে এবং সেখানে মানবেতর জীবনযাপন করছে। অনেকে সাগরে ডুবে মরছে। আবার বোমা মেরে বিভিন্ন স্থাপত্যশিল্প মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেয়া হয়েছে। ১০৯৬ সালে খ্রিস্টান ক্রুসেডাররা সমগ্র সিরিয়া ও ফিলিস্তিন দখল করে নেয়ার পর বায়তুল মোকাদ্দাস মসজিদের ব্যাপক পরিবর্তন করে একে গির্জায় পরিণত করে। এরপর ১১৮৭ সালে মুসলিম বীর ও সিপাহসালার সুলতান সালাহ উদ্দীন আইয়ুবি জেরু জালেম শহর মুসলমানদের অধিকারে নিয়ে আসেন।


এরপর থেকে মুসলমানরা নির্বিঘ্নে পবিত্র এই নগরীতে তাদের নিজেদের ধর্মকর্ম আঞ্জাম দিয়ে আসছেন। এর সঙ্গে সমস্ত মুসলিম জাতির একটি নিবিড় রয়েছে। এই শহরকে কেন্দ্র করে আরব বিশ্ব তথা মুসলিম দেশগুলোতে গড়ে উঠেছে ঐতিহ্যের আবহ। মধ্যপ্রাচ্যের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে ফিলিস্তিন নগরী। কিন্তু বিপত্তি বাধে বিগত শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সারাবিশ্বে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা যাযাবর জাতি ইহুদিদের একটি স্থানে জড়ো করার দাবি ওঠে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন এ ব্যাপারে জোর তৎপরতা চালিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে ইহুদিদের পুনর্বাসন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করে। সে লক্ষ্যে তারা নিজেদের প্রত্যক্ষ মদদে ফিলিস্তিনে ইহুদিদের এনে জড়ো করতে থাকে। এভাবেই একটি স্বাধীন ইহুদি রাষ্ট্র গঠনের সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়। জাতিসংঘও সহযোগিতা প্রদান করে। তখন অবশ্য বলা হয়েছিল, এখানে আরেকটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের কথা। কিন্তু সেই আশার কথার চিড়া আজও ভেজেনি। এরপর থেকে ফিলিস্তিনের সমস্যা দিন দিন ঘনীভূতই হয়েছে। এত কিছুর পরও ফিলিস্তিনের মুসলমানরা একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখে আজও। যদিও তাদের সেই আশা দিন দিন দুরাশায় পরিণত হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী সাম্রাজ্যবাদীদের সূক্ষ্ম চালের কারণে ফিলিস্তিন ও মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি দিন দিন অবনতি হচ্ছে। সারাবিশ্বের মুসলমানরা আজ তাকিয়ে আছে ফিলিস্তিনের দিকে। কবে মুক্ত হবে আল কুদস। কবে মুসলমানরা আবার তাদের পুণ্যস্থান বায়তুল মোকাদ্দাসে স্বাধীনভাবে ইবাদত-বন্দেগি করতে পারবে। কুদস দিবস মুসলমানদের হারানো সম্মান পুনরুদ্ধারের চেতনাকে ক্রমেই শানিত করছে। মূলত আল কুদস দিবস এক মহাজাগরণের দিন। যে জাগরণের মূল চেতনা হলো- মুসলিম ঐক্য।


আল-কুদস দিবস বা আন্তর্জাতিক আল-কুদস দিবস ইমাম খোমেনী (রহ.) এর আহবানে ১৯৭৯ সালে ইরানে প্রথম শুরু হয়েছিল। এ দিবস পালনের উদ্দেশ্য হলো ফিলিস্তিনি জনগণের সাথে একাত্মতা প্রকাশ, জায়নবাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ এবং ইসরাইল কর্তৃক জেরুযালেম দখলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ। জেরুযালেম শহরের অপর নাম ‘কুদস’ বা ‘আল-কুদস’। ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রথম পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইবরাহীম ইয়াজদি সর্বপ্রথম আল-কুদস দিবস র‌্যালি আয়োজনের ধারণা দেন। তারপর আয়াতুল্লাহ খোমেইনী ১৯৭৯ সালে ইরানে এর প্রবর্তন করেন। এর পর থেকে ইরানসহ আরও বিভিন্নদেশে প্রতি বছর আল-কুদস দিবসটি গুরুত্বের সাথে উৎযাপিত হযে আসছে। মহানবী (সাঃ} মক্কার মসজিদুল হারাম, মদিনার মসজিদুন্নবী ও বায়তুল মুকাদ্দাস মসজিদের উদ্দেশ্যে সফরকে বিশেষভাবে সওয়াবের কাজ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এ পবিত্র ঘর থেকেই তিনি মিরাজে গমন করেছিলেন। বায়তুল মুকাদ্দাস মসজিদ এবং তার আশপাশের এলাকা বহু নবীর স্মৃতিবিজড়িত। হজরত ইবরাহীম (আ.) কাবাঘর নির্মাণের ৪০ বছর পর হজরত ইয়াকুব (আ.) জেরুজালেমে আল-আকসা মসজিদ নির্মাণ করেন। এর পর হজরত সুলায়মান (আ.) এই পবিত্র মসজিদের পুননির্মাণ করেন।


রমজানের শেষ মুহূর্তে রোজাদারদের বড় জমায়েত এ জুমাতুল বিদায় মসজিদের খতিবের মুখে বার বার ধ্বনিত হয় আল বিদা মাহে রমজান, আল বিদা মাহে রমজান। রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস মাহে রমজানের বিদায়ের সানাই খতিবদের মুখে মুখে করুণ সুরে বেজে উঠে। তখন গভীর শূন্যতা ও বেদনায় আবেগ আপ্লুত হয়ে উঠে আল্লাহর প্রিয় বান্দারা। এমন কোনো মুসলমান নেই, যে হতভাগ্যের মতো এ জুমাতুল বিদায় ফজিলত ও ধর্মীয় আনন্দ থেকে বঞ্চিত হতে চায়। মাহে রমজানের ফজিলত ও বরকত প্রত্যেকের নসিব হোক, শান্তিপূর্ণ ও পূর্ণ মর্যাদার আদায় হোক আজকের জুমাতুল বিদা এটাই সকলের প্রত্যাশা।
সূত্রঃ পুনঃপ্রকাশ
মাহে রমজানের আগের পর্বঃ
১। খোশ আমদেদ মাহে রমজা্ন- ১ম পর্ব
২। খোশ আমদেদ মাহে রমজান- দ্বিতীয় পর্বঃ
৩। খোশ আমদেদ মাহে রমজান- তৃতীয় পর্বঃ
৪। খোশ আমদেদ মাহে রমজান- ৪র্থ পর্বঃ
৫। খোশ আমদেদ মাহে রমজান- ৫ম পর্বঃ
৬। খোশ আমদেদ মাহে রমজান- ৬ষ্ঠ পর্বঃ
৭। খোশ আমদেদ মাহে রমজান-৭ম পর্বঃ
৮। খেশ আমদেদ মাহে রমজান-৮ম পর্বঃ
৯। খোশ আমদেদ মাহে রমজান-৯ম পর্বঃ

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
ব্রেকিং নিউজ২৪.কম :-& ফেসবুক-১ :-& ফেসবুক-২
[email protected]
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই মে, ২০২১ ভোর ৪:২২
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সংস্কারের জন্য টাকার অভাব হবে না, ড. ইউনূসকে ইইউ

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:২৪



বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত ইইউর রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার এবং সফররত এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের এশিয়া ও প্যাসিফিক বিভাগের পরিচালক পাওলা... ...বাকিটুকু পড়ুন

তোমার বিহনে কাটে না দিন

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:০৩



অবস্থানের সাথে মন আমার ব্যাস্তানুপাতিক,
বলে যাই যত দূরে ততো কাছের অপ্রতিষ্ঠিত সমীকরণ।
তোমাকে ছেড়ে থাকা এতটাই কঠিন,
যতটা সহজ তোমার প্রতিটি চুল গুনে গুনে
মোট সংখ্যা নির্ণয় করা।
তোমাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিশ্রী ও কুশ্রী পদাবলির ব্লগারদের টার্গেট আমি

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৫



আমাকে জেনারেল করা হয়েছে ১টি কমেন্টের জন্য; আমার ষ্টেটাস অনুযায়ী, আমি কমেন্ট করতে পারার কথা; সেটাও বন্ধ করে রাখা হয়েছে; এখন বসে বসে ব্লগের গার্বেজ পড়ছি।

সম্প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছবি কখনো কখনো কিছু ইঙ্গিত দেয়!

লিখেছেন ডার্ক ম্যান, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৭



গতকাল ভারতীয় সেনাপ্রধানের সাথে বাংলাদেশ সেনাপ্রধান এর ভার্চুয়ালি কথা হয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের অফিসায়াল এক্স পোস্টে এই ছবি পোস্ট করে জানিয়েছে।

ভারতীয় সেনাপ্রধানের পিছনে একটা ছবি ছিল ১৯৭১ সালের... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রথম আলু

লিখেছেন স্নিগ্দ্ধ মুগ্দ্ধতা, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৯



লতিফপুরের মতি পাগল
সকালবেলা উঠে
পৌঁছে গেল বাঁশবাগানে
বদনা নিয়ে ছুটে



ঘাঁড় গুঁজে সে আড় চোখেতে
নিচ্ছিল কাজ সেরে
পাশের বাড়ির লালু বলদ
হঠাৎ এলো তেড়ে




লাল বদনা দেখে লালুর
মেজাজ গেল চড়ে।
আসলো ছুটে যেমন পুলিশ
জঙ্গী দমন করে!





মতির... ...বাকিটুকু পড়ুন

×