গতকালের ঘোষণা অনুযায়ী আজ গাজীনামার ২য় কিস্তি
চাঁন্দু মিয়ার চাঁন্দের গাড়ি
নূর মোহাম্মদ নূরু
চাঁন্দের থেকে চাঁন্দু আসলো চড়ে চাঁন্দের গাড়ি,
দেখতে তাকে ব্লগেতে লাগলো হুড়া-হুড়ি।
কেউবা আবার তোয়াজ করে তুবড়ি ছোটায় মুখে,
বড়ই আরাম চান্দু মিয়ার সুখ লাগে তার বুকে।
কেউবা আনে মিষ্টি মিঠাই কেউবা আনে ফল,
চান্দু মিয়া এসব দেখে জিভে আসে জল।
কারো কারো চামচামিতে লজ্বাও তার লাগে,
এমন করে তোয়াজ করবে কে জানিতো আগে।
তোয়াজের জোয়ার দেখে চান্দু লজ্জা পায়,
কে কোথায় কি বেফাস বলে ইতি-উতি চায়!
মোসাহেবদের ডেকে বলে হয়ে যাচ্ছে বেশী,
মান রাখাদায় তোদের জন্য ব্লগেতে আসি।
দূর্মূখেরা এসব দেখে খোঁচায় চাঁন্দুর ভূড়ি,
ফাঁস করে দেয় যত ছিলো ভূয়া জাড়ি জুড়ি।
কেউবা বলে যা ফিরে যা চাঁন্দু মিয়া চাঁন্দে,
তোমার লাগি চাঁন্দের বুড়ি বিরহের গান বান্দে।
চাঁন্দু যাবে চাঁন্দে ফিরে হচ্ছে কানা কানি,
যাবে কিনা চাঁন্দে চাঁন্দু আমি কি তা জানি!
গেলে চাঁন্দে চাঁন্দু মিয়া চামচার হবে কি,
পান্তা ভাতে পরবে কি আর খাটি গাওয়া ঘি?
চাঁন্দু মিয়া লোক খারাপ না কিন্তু বলে বেশি,
তিলকে যখন তাল বলে সে মুচকি মুচকি হাসি।
ইদুর ধরা মন্ত্র নিয়ে সাপ ধরা তার ভুল,
উল্টা পাল্টা প্রশ্ন করে সব করে ভন্ডুল।
চাঁন্দু মিয়া লক্ষী হয়ে থাকো মোদের মাঝে,
চোখে দেখনা কি কারনে বের হও তুমি সাজে।
সাদা চামড়ার দেশে কিন্তু মূল্য তোমার নাই,
দেশের গর্বে গর্বিত হও বিভেদ ভুলে যাই।
প্রকাশকালঃ ১৩ মে ২০১৮ইং
উৎসর্গঃ প্রিয় ব্লগার সনেট কবি ভাইকে।
বিশেষ সতর্কতাঃ কেউ নিজেকে চাঁন্দু ভেবে আত্মতৃপ্তির ঢেকুর তুলে ব্লককে নোংরা করবেন না। ইহা লেখকের উর্ব্বর মস্তিস্কের উদ্ভট চিন্তা!!
বিঃদ্রঃ গাজীনামার পরবর্তী কিস্তি "গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল!!"
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২০