বিজ্ঞ ব্লগার আগুন চৌধুরী আর ব্লগে লিখবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন। কারন তিনি তার প্রাপ্য সম্মন পাননি বলে তার ধারণা। ব্লগে কে থাকবে , কে থাকবেনা সেটা তার নিজস্ব ব্যাপার। এতে ব্লগের কিছু আসে যায়না। কারণ কোন কিছুই কখনো শূণ্য থাকেনা। প্রকৃতি বোধ হয় শূণ্যতা পছন্দ করেন না। তাই প্রকৃতি শুণ্যস্থানকে আর কিছু না হোক বায়ু দিয়ে ভরে দেন। যার কোন রং, আয়তন, ওজন নাই। প্রতিয়মান হচ্ছে আগুন চৌধুরীর শূণ্যস্থানও ভারে গেছে তেমন বায়ু দ্বারা। আগুন চৌধুরী অনেক দিন ব্লগে ছিলেন। আমরা তার সহ-ব্লগার। তার চলে যাওয়াতে (বিশেষ করে আমি) আমরা মর্মামহত। তার পরেও তাকে ফিরে আসবার বা চলে না যাওয়ার অনুরোধ করিনাই। কারণ সবার মান সম্মানবোধ ব্যারোমিটারের একটি দাগে নিস্ক্রিয় থাকেনা। ব্যক্তি বিশেষ মান সম্মানের পারদ ওঠা নামা করে। আমার আঁতে যতটুকুতে না ঘা লাগে অন্য জনের তার থেকে কমেও ঘা লাগতে পারে। সে যাহোক আগুন চৌধুরী ফিরে আসুক বা না আসুক, কিংবা লিখুক বা না লিখুক আর তা নিয়ে কে নাচন কোদন করুক তাতে আমার কিছু আসবার যাবার কথা নয়। তবে কথা থাকে সেখানে যেখানে অহেতুক বা উদ্যেশ্যমূলকভাবে আমার নামটি জড়িয়ে যায়। আমি বলছিনা আমার নামটি স্পর্সকাতর! বা ভাসুরের নাম যা প্রয়োজন ছাড়া নেওয়া যাবেনা। তবুও যখন উস্কানি! দেওয়া জন্য নামটি ব্যবহার করা হয় তখন কিছু না বললে বিনা যুদ্ধে মেদিনি ছেড়ে দেবার সামিল হয়ে পড়ে। তাই আবশ্যকীয় ভাবে এই রম্য লেখার অবতারণা।
একটা গল্প বলি। এক রাজা তার তিনকন্যাকে তিন জন যুবরাজের সাথে বিয়ে দিলেন। তারা বিয়ের পরে শ্বশুর বাড়ির আরাম আয়েশ আর মুখরোচক মি্ষ্টি পায়েশ খেয়ে নিজের দেশের বাড়ি ঘরের কথা ভুলেই গেলেন। রাজা বিরক্ত হলেন, কিন্তু জামাই ত্রয়ের মোটা বুদ্ধির কারণে তাদের মোটা চামড়ায় তা দাগ কাটতে পারলোনা। রাজা জামাইদের এহেন আচরণে চিন্তিত হয়ে রাজবাড়ি থেকে তাদের তাড়াবার জন্য তার বিজ্ঞ পরামর্শকের পরামর্শে এক অভিনব পদ্ধতি প্রয়োগ করলেন। প্রথম দিনে চিরাচরিত খাবার অষ্ট ব্যঞ্জন থেকে ঘৃত প্রত্যাহার করলেন। ব্যাস আর যায় কোথায় ! বড় জামাই ভাবলেন তাকে অপমান করা হয়েছে। তাই তিনি ওই দিনই প্রতিবাদ করে শ্বশুর বাড়ি ত্যাগ করলেন! রাজা দেখলেন ওষুধে কাজ হয়েছে। তবে অন্য দু জামাই এই অপমান গায়ে না মেখে দিব্যি শ্বশুরের অন্ন ধ্বংশ করতে লাগলেন। রাজা্ এদের এই নির্লজ্জতার কারণে মর্মাহত। তিনি আবার নতুন পথ খুঁজতে লাগলেন। পরামর্শকের পরামর্শে রাজা এবার তার দুই জামাইকে তাড়াবার জন্য আহার থেকে এবার পায়েশ বন্ধ করে দিলেন। মেঝ জামাই এবার বুঝলেন তাকে অপমান করা হচ্ছে। তিনি তার পরদিন শ্বশুর বাড়ি ত্যাগ করলেন। কিন্তু ছোট জামাই এ্ই অপমান গায়ে মাখলোনা আর শ্বশুব বাড়ি ছাড়ার চিন্তাও করলোনা।
রাজা আবার তার পরামর্শকের দ্বারস্থ হলেন। সব শুনে পরামর্শক সিদ্ধান্ত দিলেন এ্ই বেহায়া জামাইকে তাড়াতে উত্তম মধ্যম দেওয়া ছাড়া কোন বিকল্প নেই। কার্যত হলোও তাই। রাজার নির্দেশে বেহায়া জামাইকে উত্তম মাধ্যম দিয়েই বিতাড়িত করা হলো। ব্লগে তেমন কিছু জামাই আছে যাদের পাতে ঘি না পড়লে ব্লগ ত্যাগ করে আবার কাউকে ছোট জামাতার মতো। কাউকে ব্রহ্মাস্ত্রআবার কাউকে বরুনাস্ত্রে পরাস্ত্র করতে হয় !!
সামু আগুন চৌধুরীকে একখান নোটিশ পাঠিয়ে ছিলো। অর্থাৎ তার পাত থেকে ঘি তুলে নিয়েছিলো! ব্যাস !! তিনি অপমান বোধ করায় ব্লগ নামক শ্বশুর বাড়ি ছাড়লেন। অথচ এমন শত নোটিশ, ব্যান খেয়েও অনেকে দিব্যি বহাল তবিয়তে শ্বশুরবাড়ি দখল করে আছেন। তাদের মান সম্মানের ব্যারো মিটার নির্ণয় ন জানি!! তারপরেও আশির্বাদ সবাই থাকুক দুধে ভাতে!!
কৈফিয়তঃ আমার অদ্যকার অখাদ্য রম্যটিকে কেউ অযাচিতভাবে নিজের কাধে নিয়ে আমাকে অভিসম্পাত করবেন না।
নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
ব্রেকিং নিউজ২৪.কম ফেসবুক-১ ফেসবুক-২
[email protected]
লেখার কোন সূত্র নাই, সূত্র উল্লেখ করা হলোনা তাই!
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:১৩