৮ মার্চ, আন্তর্জাতিক নারী দিবস (আদি নাম আন্তর্জাতিক কর্মজীবী নারী দিবস)। সারা বিশ্বব্যাপী নারীরা একটি প্রধান উপলক্ষ্য হিসেবে এই দিবস উদযাপন করে থাকেন। ‘বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর/ অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।’ একথা অনস্বীকার্য যে, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশের নারীর অগ্রগতির জোয়ার দৃশ্যমান। বর্তমানে ১ কোটি ৬৮ লাখ নারী কৃষি, শিল্প ও সেবা—অর্থনীতির বৃহত্তর এই তিন খাতে কাজ করছেন। অর্থনীতিতে নারীর আরেকটি বড় সাফল্য হলো, উৎপাদনব্যবস্থায় নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে। মূলধারার অর্থনীতি হিসেবে স্বীকৃত উৎপাদন খাতের মোট কর্মীর প্রায় অর্ধেকই এখন নারী। এ খাতে ৫০ লাখ ১৫ হাজার নারী-পুরুষ কাজ করেন। তাঁদের মধ্যে নারী ২২ লাখ ১৭ হাজার। তবে নারী কর্মীদের সিংহভাগই শ্রমজীবী। বাকিদের মধ্যে কেউ উদ্যোক্তা, কেউ চিকিৎসক, প্রকৌশলী। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শীর্ষ নির্বাহী ও উচ্চপদেও দায়িত্ব পালন করছেন নারীরা। দেশের প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় সংসদের স্পীকার, বিরোধীদলীয় নেতা এবং সংসদের উপনেতা- সবাই নারী। যোগ্যতা বলে নারী হচ্ছেন উচ্চ আদালতের বিচারক, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, পুলিশ, সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তা, সচিব, ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা।পুরুষের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে জাতীয় অর্থনীতিতে রাখছেন বিরাট অবদান। বছরে বছরে বিখ্যাত ফোর্বস ম্যাগাজিনের তালিকায় শীর্ষ ক্ষমতাধর শতাধিক নারীর তালিকা উঠে আসে। রাজনীতি, ব্যবসা, সমাজ উন্নয়ন, শিক্ষা, চিকিৎসা-এসব পরিসরেই নারীরা নিজের ক্ষমতার জানান দিচ্ছে। সময় এখন তাই দৃষ্টি বদলের। নারীর প্রাপ্য মর্যাদাটুকু বুঝিয়ে দেয়ার। পরিবারই যার সূতিকাগার।
নারীর অর্জনের ঝুলিতে প্রতিবছরই যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন মাইলফলক। নানা আয়োজনে নারীর অধিকার আদায়ের প্রত্যয়ে নিয়ে প্রতি বছর ৮ মার্চ পালিত হয় দিবসটি।আন্তর্জাতক নারী দিবস বিশ্বের এক এক প্রান্তে উদযাপনের প্রধান লক্ষ্য এক এক প্রকার হয়। কোথাও নারীর প্রতি সাধারণ সম্মান ও শ্রদ্ধা উদযাপনের মুখ্য বিষয় হয়, আবার কোথাও মহিলাদের আর্থিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠাটি বেশি গুরুত্ব পায়। ২০২০ সালের আন্তর্জাতিক নারী দিবসের মূল প্রতিপাদ্য সবার জন্য সমতা। এ বছরের নারী দিবসের হ্যাশট্যাগ ‘ইচ ফর ইক্যুয়াল’। আগের বছরের মতো এবারও নারী দিবসের প্রতিপাদ্যে সমতায়নে নারীর সৃজনশীলতায় দৃষ্টিপাত করা হয়।বাংলাদেশসহ পৃথিবীর সকল নারীদের প্রতি আমাদের গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপনের পেছনে রয়েছে নারী শ্রমিকের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের ইতিহাস। ১৯১০ সালের এই দিনে ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সমাজতান্ত্রিক সম্মেলনে জার্মানির নেত্রী ক্লারা জেটকিন ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন। তবে নারী দিবসের পটভূমি রচিত হয় এরও অর্ধশতাধিক বছর আগে। সেই দিনটি ছিল ১৮৫৭ সালের ৮ মার্চ। সেদিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে একটি সুঁচ কারখানার নারী শ্রমিকেরা দৈনিক শ্রম ঘণ্টা ১২ থেকে কমিয়ে আট ঘণ্টায় আনা, ন্যায্য মজুরি এবং কর্মক্ষেত্রে সুস্থ ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের রাস্তায় নেমেছিলেন সুতা কারখানার নারী শ্রমিকেরা। সেই মিছিলে চলে সরকার লেঠেল বাহিনীর দমন-পীড়ন। আন্দোলন করার অপরাধে তাদের অনেককে আটক করা হয়। কারাগারে নির্যাতিত হন অনেক নারী শ্রমিক। অবশেষে আদায় করে নেন দৈনিক আট ঘণ্টা কাজ করার অধিকার। এর পর থেকেই সারা বিশ্বে দিবসটি আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালিত হয়। এর তিন বছর পরে ১৮৬০ সালের একই দিনে গঠন করা হয় 'নারী শ্রমিক ইউনিয়ন'। ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দে নিউইয়র্কের সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট নারী সংগঠনের পক্ষ থেকে আয়োজিত নারী সমাবেশে জার্মান সমাজতান্ত্রিক নেত্রী ক্লারা জেটকিনের নেতৃত্বে সর্বপ্রথম আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন হয়। এরপর ১৯১০ খ্রিস্টাব্দে ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন। ১৭টি দেশ থেকে ১০০ জন নারী প্রতিনিধি এতে যোগ দিয়েছিলেন। এ সম্মেলনে ক্লারা প্রতি বৎসর ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালন করার প্রস্তাব দেন। সিদ্ধান্ত হয়ঃ ১৯১১ সালের ৮ মার্চ থেকে নারীদের সম-অধিকার দিবস হিসেবে বিশ্বের নারীরা প্রথমবার আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করবে। এরপর দিবসটি পালনে এগিয়ে আসে বিভিন্ন দেশের সমাজতন্ত্রীরা। ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে বেশ কয়েকটি দেশে ৮ মার্চ পালিত হতে লাগল। অতঃপর ১৯৭৫ সালে খ্রিস্টাব্দে ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। দিবসটি পালনের জন্য বিভিন্ন রাষ্ট্রকে আহ্বান জানায় জাতিসংঘ। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার লাভের পূর্ব থেকেই বাংলাদেশেও এই দিবসটি পালিত হতে শুরু করে। ১৯৭৫ সালে জাতিসংঘ নারীর অধিকার ও আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস হিসেবে ঘোষনা করে। এর দু'বছর পর ১৯৭৭ সালে জাতিসংঘ দিনটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
এরপর থেকে সারা পৃথিবী জুড়েই পালিত হচ্ছে দিনটি নারীর সমঅধিকার আদায়ের প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করার অভীপ্সা নিয়ে। বিশ্বের অনেক দেশে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে সরকারী ছুটির দিন হিসেবে পালিত হয়। তন্মধ্যে - আফগানিস্তান, আর্মেনিয়া, আজারবাইজান, বেলারুশ, বুরকিনা ফাসো, কম্বোডিয়া, কিউবা, জর্জিয়া, গিনি-বিসাউ, ইরিত্রিয়া, কাজাখস্তান, কিরগিজিস্তান, লাওস, মলদোভা, মঙ্গোলিয়া, মন্টেনিগ্রো, রাশিয়া, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, উগান্ডা, ইউক্রেন, উজবেকিস্তান, ভিয়েতনাম এবং জাম্বিয়া। এছাড়া, চীন, মেসিডোনিয়া, মাদাগাস্কার, নেপালে শুধুমাত্র নারীরাই সরকারী ছুটির দিনভোগ করেন। বিশ্বের অনেক দেশে নারী দিবসে সরকারি ছুটি থাকলেও বাংলাদেশে এই দিনটিতে নেই কোনো ছুটি। তবে নানামূখী কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে বেশ আড়ম্বরেই পালিত হয় দিবসটি। এ দিবসটি এমন একসময়ে হচ্ছে যখন নারী নির্যাতন, বিশেষ করে নারীর প্রতি সহিংসতা ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে। ৮ মার্চ সারা বিশ্বে যখন নারী দিবস পালন করা হচ্ছে, অন্যদিকে হয়তো কোন নারী সহিংসতা বা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। প্রকাশিত সংবাদ থেকে নারী নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র পাওয়া গেছে। এ পরিস্থিতি উত্তরনের জন্য অনেকদিন থেকেই সরকারি ও বেসরকারিভাবে নানান পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। তবে এতো পদক্ষেপ সত্ত্বেও নেই বাস্তবায়ন।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সূত্র মতে, গত এক বছরে দেশে ৫ হাজারের বেশি নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এ হিসেবে দেশে প্রতিদিন গড়ে ১৫টি নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। অথচ পরিসংখ্যান অনুযায়ী নির্যাতিতদের মধ্যে আইনের আশ্রয় নিচ্ছেন মাত্র ২ শতাংশ নারী। বাংলাদেশে জাতিসংঘের জনসংখ্যা বিষয়ক সংস্থা ইউএনএফপিএ’র জরিপ অনুযায়ী, দেশে শতকরা ৮৭ জন নারী তাদের স্বামী বা স্বামীর পরিবারের সদস্যদের দ্বারা জীবনের কোন না কোন সময় নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। আইন থাকলেও এখনও বাল্যবিয়ে বন্ধ করা যায়নি। ২০১১ সালের সর্বশেষ বাংলাদেশ জনমিতি ও স্বাস্থ্য জরিপের (বিডিএইচএস) তথ্যানুযায়ী, দেশে বাল্যবিয়ের হার ৬৬ শতাংশ। ইউএনএফপিএ’র তথ্য মতে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশে বাল্যবিয়ের হার সবচাইতে বেশি। বাংলাদেশের পরে ৪৭ শতাংশ বাল্যবিয়ের হার রয়েছে ভারতে। দেশে প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে বাল্যবিয়ের ঘটনা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গণমাধ্যমের তৎপরতার কারণে কিছু কিছু বিয়ের ঘটনা প্রকাশ্যে এলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রভাবশালীদের পৃষ্ঠপোষকতার কারণে তা আড়ালে থেকে যাচ্ছে। এ অবস্থায় মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮ থেকে কমিয়ে ১৬ বছর করার চিন্তা ভাবনা করেছিল খোদ সরকার। বিষয়টি তীব্রভাবে সামলোচিত হওয়ার পর মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৮ই থাকছে তবে পিতা-মাতা চাইলে ১৬ বছরেও বিয়ে হতে পারে এই নতুন কৌশল অনুসরণের কথা ভাবছে। নতুন খসড়া আইনে বলা হয়েছে যুক্তিসংগত কারণে মা-বাবা চাইলে বা আদালতের সম্মতিতে অন্যূন ১৬ বছর বয়সী কো্ন নারী বিয়ে করলে সে ক্ষেত্রে সে অপরিণত বয়স্ক বলে গণ্য হবেনা যা শিশু আইন, শিশুনীতিসহ বিভিন্ন আইন ও নীতি এবং জাতিসংঘের শিশু অধিকার এর সাথে সাংঘর্ষিক। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কন্যাসন্তান হিসেবে জন্ম নিয়ে নারী বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন পরিবার থেকেই। আর পারিবারিক পর্যায়ে নারী নির্যাতনের অন্যতম প্রধান কারণ বৈষম্যমূলক পারিবারিক আইন। সংবিধানের ১০, ১৬, ২৬, ২৭, ২৮, ২৯ ও ৩০ ধারা এবং এগুলোর উপধারায় নারীর মৌলিক অধিকার রক্ষার কথা ঘোষণা করা হলেও প্রচলিত অসম আইনকে অবৈধ বা বাতিল ঘোষণা করা হয়নি। এত বছরেও সিডও সনদের পূর্ণ বাস্তবায়ন হয়নি। অনুমোদনের ২১ বছর পরও সিডও সনদের ধারা ২ এবং ১৬.১ (গ) বিষয়ক সংরক্ষণ প্রত্যাহার বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে আলাপ-আলোচনা চলছে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সংরক্ষণ প্রত্যাহারের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রেখেছে।
সরকার পারিবারিক সুরক্ষা ও সহিংসতা প্রতিরোধ আইন-২০১০, মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন-২০১২, পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১২, সরকারী চাকরি বিধি সংশোধন করে মাতৃত্বকালীন ছুটির সময় বাড়ানো, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন (সংশোধন) আইন-২০১৩, মাতার নাগরিকত্বে সন্তানের নাগরিকত্ব আইন, ইভটিজিং প্রতিরোধে মোবাইল কোর্ট আইনসহ বেশ কয়েকটি আইন করতে পারলেও এখন পর্যন্ত সম্পদ-সম্পত্তিতে নারী-পুরুষের সমতা ও অভিন্ন পারিবারিক আইন প্রণয়ন করতে পারেনি। পৃথিবীর বহু দেশে নাগরিকদের ব্যক্তিগত অধিকার অভিন্ন পারিবারিক আইনের আওতায় সংরক্ষিত। কিন্তু আমাদের দেশে তা হয়নি। দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠীর নারী সমাজ আইনের ক্ষেত্রে এখনও কার্যত বৈষম্য ও নিপীড়নের শিকার। সাম্প্রতিক অতীতে নারীর অধিকারকে স্বীকৃতি দিয়ে কয়েকটি কঠোর আইন প্রণীত হলেও আর্থ-সামাজিক বাস্তবতা, বিচারে দীর্ঘসূত্রিতাসহ নানা কারণে সেগুলোর সুফল নারীরা পাচ্ছেন না। বিদ্যমান যে সব আইনকে নারীবান্ধব বলা হয়, সেগুলোরও মাত্র ১০ শতাংশ কার্যকর হচ্ছে।
নারী পুরুষের সমতায় সমাজ এগিয়ে যায়। বর্তমান সময়ের পরতে পরতে নারীর কর্মক্ষেত্রগুলো সমতার ভিত্তিতে এগিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষক, নির্মাণকর্মী, বিজ্ঞানী, ব্যাংকার, উদ্যোক্তা, শিল্পী, গণমাধ্যমকর্মী প্রায় সব পেশাই বেছে নিচ্ছেন নারী। এমনকি এখন পেশা হিসেবে গৃহকর্মকেও বেছে নিচ্ছেন তাঁরা। বর্তমানে দেশে স্থায়ী কিংবা অস্থায়ীভাবে নয় লাখ নারী গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করছেন। বিনোদন ও শিল্পকর্মেই জড়িত আছেন প্রায় নয় হাজার নারী। এ ছাড়া ব্যাংক-বিমার মতো আর্থিক খাতে কাজ করেন ৭০ হাজার নারী। আর শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে নিয়েছেন সাড়ে ছয় লাখ নারী। সেবা ও শিল্প খাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রধান নির্বাহী ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে প্রায় পাঁচ হাজার নারী দায়িত্ব পালন করছেন। তবে নারী ও পুরুষের মধ্যে মানবিক সমতা অর্জনে এখনও অনেকটা পথ পাড়ি দেয়া বাকি। তাই প্রতিবছরের মতো আজও নানা আনুষ্ঠাকিতায় নারী শপথ নেবে বাঁধা ডিঙিয়ে এগিয়ে যাওয়ার। নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে পারলেই হবে, মানবতার উন্নয়ন। গতবারের প্রতিপাদ্য ‘ব্যালান্স ফর বেটার’ অর্থাৎ ভালোর জন্য সমতা। আর এবারের ‘সবার জন্য সমতা’। শুধু জনসংখ্যার পরিসংখ্যান নয়-শিক্ষা, নেতৃত্ব আর সৃজনশীলতার গুণে নারীরা এখন অর্থনীতির অনিবার্য শর্তে নিজেদের উপস্থিতি নিশ্চিত করছে। যার অব্যাহত ধারা সমতার বিশ্ব গড়ার কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়। তবে মানবাধিকারের অনিশ্চয়তা রেখে এসব প্রতিপাদ্য পূরণ করা এখনও অসম্ভব।ঘরে বাইরে, দেশে ও আন্তর্জাতিক ভাবে সকল নারী ভোগ করবে সমান অধিকার ও সমান মর্যাদা এই প্রত্যয় ব্যক্তকরে আর্ন্তজাতিক নারী দিবসে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর সকল নারীদের প্রতি আমাদের গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।
নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল ফেসবুক লিংক
[email protected]
আর্ন্তজাতিক নারী দিবসে একটি সুন্দর দৃষ্টিনন্দন ব্যানার উপহার দেরবার জন্য সামু কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:৫৬