প্রায় ২০/২২ বছর আগে এমন একটা বর যাত্রী গিয়েছিলাম, কিছুদিন আগে আবার সেই অভিজ্ঞতা হলো, বর এবং কনে দুজনের বাড়িই নদীর পাড়ে তাই এ ব্যবস্থা, খুব অল্প সময়ের জার্নি হলেও অসভব ভাল লেগেছে, সেই পুরনো দিনের ছোয়া পেলাম,
সবাই ইঞ্জিন চালিত বোটে উঠিতেছি, কনের পিত্রালয়ে যাইবার জন্য
সবাই উঠেপড়েছে,
এখন সর্বত্রই সেলফী হয়, এইখানে কেন হবে না?
ভট ভট করিয়া চলিতে শুরু করিলাম
নদীর মাঝখানে তথা যাত্রাপথেরওঁ মাঝখানে।
গন্তব্যের অতি নিকটে চলিয়া আসিয়াছি,
গেট সাজানো হইয়াছে, বাট আমরা সেইপথে যাচ্ছিনা, তাতে কারো কোন আপত্তিও নাই, শুধুমাত্র বর অই গেটদিয়ে গেলেই গুটিওয়েক তেদর পোলাপাইনের পকেট গরম হইবে


এ হচ্ছে গ্রামের রিতী, কনের আত্মিয় সজনেরা সহ আসে পাসের ময়মুরুব্বিগন বর দেখিতে আসিয়া কিচ্চিত মিস্টি পানি পান করাইয়া এবং পাতিয়া রাখা রোমালে কিছু টাকা দিয়া যাইতেছেন (মাঝে মাঝে বর কে নাযেহাল করার জন্য দুস্টামি করা যায়েয এমন সম্পর্কের দাদী, নানী, সালীকাগন মরিচের পানী পান করাইয়া থাকেন, বিষেশ করে এই পর্বে বর ওঁ কনে পক্ষের আত্মীয় সজন্দের মাঝে বেপক পরিমান হাসা হাসি / আনন্দ ফুর্তি হইয়া থাকে, আবার কিখনো কখনো সিরিয়াস ঝগড়াঝাটিও হইতে দেখা যায়।
যে ভদ্রলোক খাবার সার্ভ করিয়াছিলেন উনি প্রফেসনাল ছিলেন। সম্পুর্ন খাবার সময় ওঁনাকে আমার প্রতি বিষেশ যত্নবান হতে দেখা গেল, খাবার পরে বঝিতে পারিলাম এর আসল কারন, পকেট হইতে ৫০ টাকা খসিয়া গেল অতপর মুক্তি পাইলাম



একটা বিষয় ভাল লাগেনি, দই খেতে দেয়া হয়েছিল ভাওখাবার প্লেটে, চামচ ছারাই








ওভারল দিনটা খুব খুব উপভোগ করেছি
বিঃ দ্রঃ ভক্ষন কালে এতই মজা করিয়া ভক্ষন করিয়াছিলাম যে সেলফীর কথা ভুলিয়াই গিয়াছি,



সর্বশেষ এডিট : ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৭