চাঁদ খেকো অমানিশার কোলে মাথা গুঁজে দিয়ে ঘুমিয়েছি;
স্বপ্নবুভুক্ষ তিথিতে – শিউলির ঝরে পরা বাসরে,
চোখের অবাধ্যতায় লাজুক হবো বলে।
বিধবা চন্দ্রিমার কফিনে বেনারসি শাড়ি জড়িয়ে;
মর্ত্যরানীর নগ্ন পায়ে পঙ্কিল গ্রন্থ সপে দিয়ে চুমেছি বেদী,
হরিন শাবকের মায়া কান্না শুনবো বলে।
নিঃশ্বাসের শব্দে কান পেতে শুনি কোন ভুতে হাসি,
তেপান্তরের বুকে জন্মেছে বুনো ঘাস,
সেখানে মাছিদের গুঞ্জনে স্মৃতি বিকিয়ে ভাবি;
শ্রাবণীকে ভালোবাসতাম;
সেও কি আমাকে ?
ভ্যানিটি ব্যাগে রাখা জীর্ণ টিস্যুতে তার;
আজও আমার অশ্রুজল জমে আছে,
সেখানে এখন শুধুই পর মানুষের অধিকার।
আমি তারে নতুন করে কি আর পুণ্যতা দেবো !
দুধের শিশুরে বুকের কাছে নিয়ে ঘুমিয়ে আছে বধূ বেশে;
মনোরমা মনের মধু কুঁড়িয়ে,
কাঁকন জ্বালা হিয়ার গহীনে,
আমি কেবলই তার স্বপ্ন বুনেছি ধোঁয়ার নীল বিষে।
ভাবনার এই সব দিনরাত্রিগুলো একদিন ঝরে যাবে,
বালুর মতো মিহি হয়ে,
রয়ে যাবে মুঠোতে শুধু নিয়তির রেখা হয়ে কলঙ্ক।
--- আরণ্যক
২৫ই মে, ২০১৪
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১:৩৬