ছোটবেলা থেকে আমার এক আজব চিজের প্রতি আগ্রহ ছিল, (হাইসেন না আবার) সেটা ব্যাঙ


এটা ক্লাস থ্রি এর বর্ষাকালের ঘটনা। বর্ষাকালে ব্যাঙ এর ডাকাডাকি বেড়ে যেত। সেটা শুনে আমার মনে এক প্রশ্ন জেগেছিল সারাবছর এরা এত ডাকাডাকি না করলেও বর্ষাকালে ঘেঙর ঘেঙর বেড়ে যায় কেন??

পরের দিন গেলাম বিচ্ছু বাহিনীর(আমি যার সাধারন সদস্য ছিলাম) লিডার কামাল ভাইয়ের কাছে।কামাল ভাইরেও একই জিনিস জিগাইলাম আর বাপজান কি কইছে তা বললাম।এরপর তিনি শোনাইলেন পুরাই অন্য কথা। কইলেন, “এই সময় পুরুষ ব্যাঙ স্ত্রী ব্যাঙকে আকৃষ্ট করার জন্য ডাকে”

আমি বদ পোলার লাখান জিগাইলাম, “কেন এইরকম করে”?

“এই সময় মানুষের মত এরাও বিয়া করে”

তাই নাকি? অনেক মজার তো।।
ভাইয়ের কাছ থেকে বিদায় নিয়া বোল্টের লাখান দৌড় দিয়া বাড়িত আসলাম। সারাবিকাল ডোবার পাশে বসে থাকলাম, মজা করে ব্যাঙের ডাক শুনলাম। আমার চিন্তার রাজ্য তখন শুধু ব্যাঙময়

অনেক ভাবার পর একদিন বিকাল বেলা বাপজানের কাছে গেলাম। বাপজানে বিড়ি ফুকাইতেছিল

বাপজান আমি দুইটা ব্যাঙের বিয়া দিবার চাই



আমি আমার সব বন্ধুগো শুক্কুরবার দাওয়াত দিলাম, বাপজান মায়েরে বুঝাইয়্যা সব কিছু ঠিক কইরা ফেলাইল(তয় এই নিয়া বাপ-মায়ের মধ্যে ভালোই ঢিসুম ঢিসুম হইছিল /


আমি ব্যাঙ জোগার করে ফেললাম দুইটা। অনেক অনেক যত্ন নিতে লাগলাম। কপালে টিপ দিলাম

শুক্কুরবার সব বন্ধু যথাসময়ে এসে পড়ল। ওরা জানতো না যে আমি কেন ওদের দাওয়াত দিছি। তয় ব্যাঙের বিয়া দেয়া দেখে ওরা অনেক মজা পাইল।অনেক মজা করল, গান করল, নাচলো, সব শেষে দাওয়াত খাইয়্যা বিদায় নিল। আমি তখন নয়া দম্পতি নিয়া মহা ব্যস্ত। অনেক হই-হুল্লুর করে, বাপের সাথে মজায় দিনটা কাটালাম। তয় মায়ে অনেক রাইগা ছিল। বাপজানের জন্য কিচ্ছু কইবার পায় নাই।
পরের দিন স্কুলে গিয়া পরলাম মহা বিপত্তিতে :-* , গেট দিয়া ধোকার সাথে সাথে হগলে আমারে ব্যাঙবাবা বইলা ডাকা শুরু করলো। আমি তো মহা খেপে গেলাম



উৎসর্গঃ চেয়ারম্যান০০৭ কে, যিনি এই অলস পোলাডারে গল্প লেখতে অনেক উৎসাহ দিয়েছেন।ধন্যবাদ চেয়াম্যান সাব।
