চট্টগ্রামে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের হামলা- গতকাল ১৪৪ ধারা দিল না কেন প্রশাসন?
গত বুধবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের সংঘর্ষে দুই শিবির কর্মী নিহত হয়। সংঘর্ষ চবি'র নিয়মিত ঘটনা। এই ঘটনায় নতুন করে চমকানোর কিছু নেই। কিন্তু এর রেশ ধরে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় যা হল তা এক কথায় ভয়াবহ। গতকাল শিবির নামধারী একদল বহিরাগত দুস্কৃতিকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের নিকটবর্তী নন্দীরহাটের প্রসিদ্ধ এবং নয়নাভিরাম লোকনাথ ব্রহ্মচারীর আশ্রমে অতর্কিতে হামলা চালায়। তারা মন্দিরের ভেতরে ভাংচুর করে এক নারকীয় পরিবেশ সৃষ্ঠি করে। এই ঘটনার পর পর গতকাল হাটহাজারী এলাকায় বিক্ষুব্ধ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজন একত্রিত হয়ে এর প্রতিবাদ জানায়। তখন মনে হচ্ছিল ঘটনার জের বুঝি এখানেই শেষ।
কিন্তু আজ সকাল থেকেই নন্দীরহাটের হিন্দুদের উপর চোরাগুপ্তা হামলা হতে থাকে। আজও হাটহাজারীর সদর কালীবাড়িতে আগুন দেয়াসহ ৩টি মন্দির ভাংচুর করা হয়েছে। এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের মালিকানাধীন বেশ কটি দোকানে আগুন দেয়া হয়। হিন্দু জমিদারবাড়ি সহ বসতবাড়িতেও আগুন দেয় ও লুন্ঠন চালায়। এভাবেই পুরো এলাকাতে ত্রাসের রাজত্ব চালায়।
জানা গেছে, গতকাল থেকেই ওই এলাকার অধিবাসীরা প্রশাসনের কাছে বারবার নিরাপত্তার দাবিতে আবেদন জানায়। কিন্তু এই ব্যাপারে কোন উদ্যোগ নেয় নি প্রশাসন। গতকালের পর আজ যখন একই কায়দায় হামলা চালানো হল তখন প্রশাসনের টিকিটিরও দেখা মেলেনি। আজকের ঘটনার অনেক পর তারা ঘটনাস্থলে পৌছায়।সবচেয়ে আশ্চর্যজনক হচ্ছে, গতরাত থেকে বারবার যোগাযোগ করা হলেও মূলধারার মিডিয়াগুলো এ ব্যাপারে রহস্যজনকভাবে নিরব থেকেছে। এটিএন নিউজ ছাড়া কোন ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়া ঘটনা সংশ্লিস্ট কোন রকম সংবাদ প্রচার করেনি।
দুঃখজনকভাবে, কিছুদিন আগেও চট্টগ্রামের পাথরঘাটায় ঘটে যাওয়া আরেকটি ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হয়। সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন কেন বারবার ধামাচাপা দেয়ার চেস্টা করা হচ্ছে? অবস্থা যখন এতই খারাপ, কেন গতকাল ১৪৪ ধারা দেয়া হল না? কেন? কেন? জবাব চাই।