রবী।নিবিষ্ঠ মনে কবিতা লিখছে।
আজি গ্রীষ্মের দাবদাহের তান্ডব প্রলেপিত দুপুরে,কাক পক্ষীর কর্কশ স্বরে বিদ্যুৎ মশাইয়ের ঘন ঘন গমন এবং আগমনের প্রভাহে ডায়রিয়ার আগ্নুৎপাত হইয়্যাছে কিনা ঠিক ঠাওর করিতে পারিতেছি না।
সূর্য্য মহাজনের ভীষন দাঁট দেখাচ্ছে,বলি পৌষ মাঘে এই গর্ব কোথায় লুকাইয়্যা রাখ।তখনতো সুরন্জীত মশাইয়ের কাল বিড়ালে সাদৃশ ভিতরে লুকাইয়্যা থাক।
আজি ২৫ শে বৈশাখ।১৫১ বছর আগে এই দিনে রবীবাবু রবির মুখ দেখিয়াছিলেন।১৫১ বছর পর ছেলেপেলেরা রবী বাবুকে শুভেচ্ছা দিয়া ফেসবুক এবং ব্লগ ভরাইতেছে।ফেসবুকের হোমপেজটা রবীসমগ্র হইয়্যা গেছে।আর অন্য রবি তখন তার যৌবন জ্বালা দেখাইয়্যা আমাদিগকে পুড়িতেছে।রবী বাবু বরাবরই চালাক মানুষ ছিলেন।তাইতো লিখিয়া গেছেন
আজি হতে শতবর্ষ পরে
কে তুমি ফেসবুকে মারিতেছ স্ট্যাটাস আমার কবিতাখানি।
রবীবাবু কেবল কবি ছিলেন না।ছিলেন জ্যৌতিষি।না হইলে কিভাবে জানিবেন ফেসবুকে তাহার কবিতা দিয়া স্ট্যাটাস মারে?
বিশেষজ্ঞরা বলিয়া থাকেন বাংলা সাহিত্যে রবী করেন নাই হেন কাজ নাই।রবী প্রতিভা বটে।তথাপি বলিতে হয় রবীও বঞ্চিত হইয়্যাছেন।রবীবাবু স্ট্যাটাসে তাহার কাব্য দিয়া লাইক বা কমেন্ট অর্জন করিতে পারেন নাই,চ্যাটে কোন দীঘল কালো চুলের প্রোপিকওয়ালা রমনীকে কবিতা শোনাইতে পারেন না।রবীর কোন ব্লগ আইডি নাই।জীবনে এত অপ্রাপ্তি লইয়্যা কবি চলিয়া গিয়াছেন দেখিয়া মাঝে মাঝে নিজেকে খুব দোষী মনে হয়।
এক রাতে স্বপ্ন দেখিলাম।রবীবাবু আর আমি গল্প করিতেছি।তাহাকে কহিলাম
“রবীদা তুমি ব্লগে নিক খোল না কোন হেতুতে?
রবীদা সাদা দাড়িতে হাত বুলাইয়্যা কহিলেন “আমার সাদা দাড়ি দেখিয়া যদি ছাগু ট্যাগ দিয়া ব্লগ হইতে বাহির করিয়া দেয়,সেই ভয়ে ব্লগে যাই না”
তবে শেষ পর্যন্ত রবীবাবু ব্লগে নিক খুলিয়াছেন।কিন্তু কেবল কবিতা পোষ্ট করেন বলিয়া তাহার ব্লগ হিট বাড়িতেছিল না।মডুও তাহাকে সেফ করিতেছিলেন না।ফেসবুকে রবীবাবু আমাকে চ্যাটে নক করিয়া বলিলেন “ওহে ছোকড়া আমাকেতো সেফ করিতেছে না? আমি বলিলাম “এক খানা ১৮+ পোষ্ট দ্যান,দেখিবেন লুলরা আপনার পোষ্টে হিট দিতে দিতে হয়রান হইবে আপনাকে মডুরাও সেফ করিবে”।রবী আমার কথায় নাক সিটকাইলেও মনে মনে ঠিকই অশ্লীল ছিলেন।তাহার গানের একটি লাইন দেখলে বুঝিতে পারিবেন।তিনি লিখিয়াছেন “
“ওযে কোন্ বাঁকে কী ধন দেখাবে, কোন্খানে কী দায় ঠেকাবে-
কোথায় গিয়ে শেষ মেলে যে ভেবেই না কুলায় রে”
চিন্তা করেন কতটা অশ্লীল।রবীবাবু আমার কথা শুনিলেন না।সেফও হইলেন না।পরে দুখে ব্লগ ছাড়িয়া ফেসবুকে কাব্য চর্চা করা শুরু করিলেন।তিনি একদিন স্ট্যাটাস দিলেন “বধু কোন আলো লাগল চোখে?।কেউতো লাইক দিলই না।উল্টো কিছু টিএনএজ ছোকরা রবীদার স্ট্যাটাসে ফাইজলামি করিল।একজন লিখিল “টিউব লাইটের আলো” আরেকজ লিখিল “আলো দিয়া কাম কি,যে পারে অন্ধাকারেই পারে”। পরে আমি গিয়া অশ্লীল ছোকড়াটাকে আচ্ছা মতন শায়েস্তা করেছি।মাত্র ব্লক করিব ওই মুহূর্তে ঘুম ভাঙ্গিয়া বুঝিলাম ব্লক করা লাগিবে না আমি স্বপ্ন দেখেতিছলাম।
আগে যাহা বলিতেছিলাম।রবী বাবুর জীবনে অপূর্ণতায় ঠাসা।শাকিব খানের ঠোটের গান না লেখা,হৃদয় খানের জন্য কোন লিরিকস না লিখতে পারা।সে যাই হোক অপূর্ণতার কথা না হয় নাইবা বলিলাম।স্বপ্নে একবার রবীদা আসিয়া আমাকে বলিয়াছিলেন তাহার যত গান কবিতা সবই যেন আমি প্যারডি করিয়া পোষ্ট দেই।কারন সে নিজে প্যারডি করিতে পারে না।আফসোস রবীর আমি তাহার আগে জন্ম নিই নাই।জন্মনিলে আমার লেখা প্যারডি করিয়া অপূর্ণতা কিছু হইলেও কাটাইতে পারত।
তাহার লেখা একটি গান আমি পরে ফিচারিং করিয়াছিলাম।
বাংগদেশে গগনে ঘোর ঘনঘটা, নিশীথযামিনী রে।
কুঞ্জপথে, সখি, কৈসে যাওব অবলা কামিনী রে। (দুদলের নেত্রী অবলা ধরে)
উন্মদ মিলীগে বাংলা তর্জিত, ঘন ঘন গর্জিত সাহারা।
দমকত বিইনপি, অধিকার লুন্ঠিত, থরহর কম্পিত মির্জা।
ঘন ঘন সাহারা সাহারা সাহারা মুখেতে বলেছেন ৪৮ ঘন্টা।
মাল-মনি –(আ)বুল-সুরু নিবিড় দুর্নীতিময় মিষ্টি মন্ডা।
কহ রে দিপুমনী, এ দুরুযোগে কুঞ্জে নিরদয় হিলারী
দারুণ বাঁশী কাহ বজায়ত সকরুন রাধারা বাহারি।
সকল রবীভক্ত এবং রবীদার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা পূর্বক “শুভ জন্মদিন কবিগুরু”
উৎসর্গ : রবীঠাকুরকে
পোষ্ট তৈরি করতে সাহায্য করেছে আলাউল হক সৌরভ।