আইন চাই: কোনও মুন্সি বা মাওলানারা রাস্তায় নেমে আন্দোলন করতে পারবে না !!
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
কেমন যেন হয়ে যাচ্ছে ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্ত আর দুই লক্ষ মা- বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে উদ্ধার হয়ে আসা এই স্বাধীন বাংলাদেশ এর সামগ্রিক ধর্মীয় পরিস্থিতি। অবস্থা এতই বেগতিক কয়েক দিন পরে শুক্রবার দিন জুমার নামায আদায় করতে মসজিদে গেলে সাথে করে নিয়ে যেতে হবে একে দেশী রাম দা। কারণ পাকিস্তানের মত নিয়ম শুরু হয়ে যাচ্ছে যে শুক্রবার দিন জুমার নামায বাদ রাস্তায় নেমে টুপি মাথায় দিয়ে বাল চিরতে হবে মুচুল্লিদের। কারণ নেই যৌক্তিকতা নেই শুধু নারায়ে তকদির বলে শুরু করে দিলেই হবে। কিসের জন্য আন্দোলন ? কার জন্য আন্দোলন ? কেউ জানে না শুধু জানে একটু পরে যখন পুলিশ এসে বাধা দিবে তখন আর কোনও কথা নেই হাতের সামনে ডিলা,কুলপ যা থাকবে তাই ছুড়ে মারতে হবে পুলিশের নাক বরাবর। এতে করে পুলিশের নাক দিয়ে রক্ত বের হলো কিনা তাতে কারো মাথা ব্যাথা নেই, কিন্তু যখন পুলিশ এসে পিটানি শুরু করে তখন শুরু হয় স্থায়ী খুতবা, খুতবার ভাষা থাকে বেশ অন্যরকম কিসিমের যেখানে খুজে ফিরলে পাওয়া যেতে পারে খাঙ্কির ছেলে পুলিশের বাচ্চা টাইপের মহাবচন। আরও অনেক না বলার মত কথা যা সাধারনত চলমান ভদ্র সমাজে খুব সহজে বলা যায় না। তারপরে সন্ধায় সাংবাদিক সম্মেলন, সেখানে বলা হয়ে থাকে, এই সরকারের হাতে এচলাম ধর্ম নিরাপদ না, পুলিশের হাতে আমাদের টুপি নিরাপদ না, আমরা নিরপেক্ষ জাতিসংগের তদন্ত কমিটি চাই কেন আমাদের বাধা দেওয়া হলো। ইত্যাদি টাইপের কথা।
বলা বাহুল্য পাগল হয়ে যেতে শুরু করেছি মুচুল্লিদের এহেন কর্মকান্ডে। কী চায় এইসব মুচুল্লিরা ? বাল চিরতে চায় ? এচলামিক আইন চায় ? মেয়েদের মাথায় হিজাব চায় ? ইন্ডিয়ান চ্যানেল বন্ধ চায় ? আর নিজেদের বেলায় মুন্সি-মাওলানারা টুপি খুলে নেকেট ফিলিম দেখে বলে উঠে ওহ গড একবার মিলা দে, আমিও কেমন পারি। ঘরে বসে মুননি-শিলার খুল্লামা খুললামা নাচ দেহে আর নিজের অজান্তে বলে উঠে একদম জিরো ফিগার। দেখেন কেমন চরিত্র ওদের। শুধু তাই না ব্লগে দেখবেন ১৮+ পোস্টে তাদের রয়েছে অবাধ বিচরণ। প্রশ্ন করি এই সব ধর্মান্ধতা কী তাহলে লোক দেখানো ? নাকি নিজেকে এচলামের একজন বলে প্রমাণ করার প্রয়াস ?
কয়েক বছর আগে পর্যন্ত কিন্তু এমনটি ছিল না। যেই কিনা বেগম খালেদা জিয়া উনার গত শাসনামলে নিজামী, মুজাহিদ কে লাল বাত্তি ওয়ালা গাড়ি উপহার দিয়েছিলেন আর তখন থেকেই এই সব মুন্সী-মাওলানারা তাদের বাল দিয়া গুট্টি উড়ান শুরু করে দিয়েছে। এই প্রসঙ্গে দেখুন গতকালকের একটি খবর ইসলামীদলের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ, পল্টন রণক্ষেত্র শিরোনামের।
প্রিয় পাঠক, পোস্ট পড়ে মনে কস্ট পেলে ও কিছু করার নেই। কারণ একটি বাংলাদেশ এর জন্ম কিন্তু কোনও ধর্মান্ধতার প্রভাবে হয়নি। তাহলে যে বাংলাদেশ এর জন্ম সুত্রে কোনও ধর্মান্ধতা কাজে লাগেনি,বরঞ্চ এই ধর্মান্ধতা স্বাধীন বাংলাদেশ যাতে না হতে পারে তার বিরোধিতা করেছে। সেই ধর্মান্ধতা দিয়ে এখন বাংলাদেশ এর এমন কী উপকার হচ্ছে ? যে এই ধর্মান্ধতা ধুয়ে তিন বেলা আমাদের নিয়মিত পানি খেতে হবে ? যদি না খাই তাহলে আমাদের খুব সমস্যা হবে। যত সব আবালের দল।
বলতে চাই, আমরা এইসব ধর্মান্ধ প্রশ্ন আর দেখতে চাই না, আমরা চাই একটি আইন যেখানে শুধু মাত্র মুন্সী-মাওলানারা রোজা আর নামায নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। বাকি দিন দুনিয়া নিয়ে তাদের কোনও মাথা ব্যাথা থাকবে না। মনে রাখতে হবে এচলামের আদর্শ নিয়ে এই দেশ স্বাধীনতা লাভ করেনি। এই দেশ স্বাধীনতা লাভ করেছে সকল ধর্ম, বর্ণের মানুষের আদর্শ নিয়ে। এই দেশে শুধু এচলাম অনুসারীরা থাকবে আর অন্য ধর্মের অনুসারীরা থাকবে না তা হবে না। সবাই থাকবে একে অপরের ভাই বা বন্ধু হয়ে এই হোক আগামী দিনের প্রত্যাশা।
ধর্মান্ধতা নিপাত যাক, মুন্সি-মাওলানাদের আন্দোলন নিপাত যাক।
সকলের জন্য শুভ কামনা।
@সুলতান মির্জা
২৯টি মন্তব্য ২৭টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন
জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন
এখানে সেরা ইগো কার?
ব্লগারদের মাঝে কাদের ইগো জনিত সমস্যা আছে? ইগোককে আঘাত লাগলে কেউ কেউ আদিম রোমান শিল্ড ব্যবহার করে,নাহয় পুতিনের মত প্রটেকটেড বুলেটপ্রুফ গাড়ি ব্যবহার করে।ইগো আপনাকে কোথায় নিয়ে গিয়েছে, টের পেয়েছেন... ...বাকিটুকু পড়ুন
এবং আপনারা যারা কবিতা শুনতে জানেন না।
‘August is the cruelest month’ বিশ্বখ্যাত কবি টিএস এলিয়টের কালজয়ী কাব্যগ্রন্থ ‘The Westland’-র এ অমোঘ বাণী যে বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে এমন করে এক অনিবার্য নিয়তির মতো সত্য হয়ে উঠবে, তা বাঙালি... ...বাকিটুকু পড়ুন
=বেলা যে যায় চলে=
রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।
সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন
মার্কিন নির্বাচনে এবার থাকছে বাংলা ব্যালট পেপার
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাংলার উজ্জ্বল উপস্থিতি। একমাত্র এশীয় ভাষা হিসাবে ব্যালট পেপারে স্থান করে নিল বাংলা।সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর খবর অনুযায়ী, নিউ ইয়র্ক প্রদেশের ব্যালট পেপারে অন্য ভাষার সঙ্গে রয়েছে... ...বাকিটুকু পড়ুন