বুকের অনেক আলোড়ন আছে যা লিখে প্রকাশ করা আমার দুঃসাধ্য। তেমনি কিশোর বয়সে শোনা কিছু গান সেই স্কুলের দিনগুলোতে যে ভাবে হৃদয়ে দোলা দিত তা হয়তো এ লেখা পড়ে কেউই বুঝতে পারবেন না।।৯৮-৯৯ সালের কথা।ধানমন্ডি গভ: স্কুলে পড়ার সুবাদে, স্কুল পালিয়ে চন্দ্রিমা উদ্যানে অথবা সদ্য নির্মাণাধীন ধানমন্ডি ৩২-এ কার্ড পেটানো ছিলো প্রতিদিন টিফিন পিরিয়ডের পর রুটিন ওয়ার্কস। চন্দ্রীমায় পতিতাদের অবলোকন,বিড়ি মামু, চা মামুদের সাথে আলাপ জমানো।স্কুলের ব্যাজটার জন্য ঠোলারা কিছু বলতো না। সবে সিগারেট ফুকতে শেখা। যৌনতা আর নারীদের আবিষ্কার করা। কারো ব্যাগে থাকতো গুপ্ত স্যারের বই।আর মাঝে মাঝে কোরাসে গাওয়া জেমস-এর কবিতা তুমি স্বপনচারীনি হয়ে খবর নিও না অথবা দিন রাত এখানেই থমকে গ্যাছে । আমরা সব বন্ধুরাই ছিলাম জেমস ফ্রিক। জেমস-এর কোন কনসার্ট হলেই দে দৌড়। মহিলা কমপ্লেক্স,আর্মি এস্টেডিয়ামের কনর্সাটগুলো...অসাম....জেমস...সেই ভরাট গলায় হাক...সাবাস বাঙালী, দুষ্টু ছেলের দল ছন্নছাড়ার দল। চারিদিকে ঘর্মাক্ত দুষ্ট ছেলে।গাজার গন্ধে ভরপুর। ইন্চি। ....কেমন জানি ঘোড় লাগিয়ে দিত তলে তলে তল্লাটে তল্লাটে জিকির উঠে। পোলাপাইন অনেকে বাঁশের আটকা পাড়িয়ে জেমস-এর পায়ে চুমু খেত দেখতাম। পেছন থেকে কেউ কেউ বোতলে হিসি করে ছুড়ে মারতো সামনে। এটা ছিলো আমার কাছে বিরক্তিকর। দুই তিন গ্রুপের মধ্যে ঘাড়াঘাড়ি হয় নাই এমন কনসার্ট দেখিনিই বলতে গেলে।
তারপর রাত ১১টা-১২টায় কোন গাড়ি নাই। এয়ারপোর্ট রোড ধরে উদ্দেশ্যহীনের মতো হাটা....সিগারেটের পর সিগারেট। গোল্ডলিফ..আর ভেঙে যাওয়া খরখরে গলায় যান্ত্রিক নগরে এখন মাঝরাত পেরিয়ে গ্যাছে কিংবা আমি তারায় তারায় রটিয়ে দেব......।আমরা ক্লান্ত সব দুষ্টু ছেলের দল।
শেষ, জেমস-এর দেখা পেলাম, কমলাপুরের কনসার্টিতে। খুব বেশি সময়ের জন্য নয়। এখনকার কনসার্টগুলো বিরক্ত লাগে.....মিলা, অর্নব, সুমন এর গান ঘরে বসে শুনতে ভালো লাগে কিন্তু কনসার্টে শুনে কেন জানি টেষ্ট পাই না।আর ওই সব ডিজে অমুক তমুকের কনসার্টে যাইতে ফালতু লাগে।
অনেক দিন কোন জমজমাট কনসার্ট পাই না।
কষ্টে আছি আইজউদ্দি।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১:১২