বাংলাদেশের কোন এক অস্বাভাবিক সুন্দর জায়গা এটা। সামনের দিকে যতদূর চোখ যায়, সমান্তরাল একটা রেল-লাইন দেখা যাচ্ছে আর তার মাঝখান দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে জ্বলন্ত সিগারেট হাতে এলোমেলো চুলের এক যুবক। সামনের দিকে তাকিয়ে কি যেন ভাবছে, আর হেঁটে চলছে আপনমনে। তার জ্বলন্ত সিগারেটের ধোঁয়াগুলো যেন তার মতো গন্তব্যহীনভাবে আকাশে মিলিয়ে যাচ্ছে ............
এমন এক যুবকের গল্প নিয়ে লেখা একটি গল্পের নাম "অন্ধকারের গল্প"। লেখক ছিলাম না কোন কালেও, তারপরও লিখতে লিখতে কিভাবে যেন গল্প হয়ে গেল। আর সেই গল্পটা রূপ নিচ্ছে সম্পূর্ণ ভিন্নধারার এক বাংলা চলচিত্রে।
ইউনিভার্সিটিতে সখের বশে "ভিডিওগ্রাফি" নিয়ে ২০ ক্রেডিট পড়াশুনা করেছি, তার প্রজেক্ট হিসেবে একটা শর্টফিল্ম সাবমিট করতে হবে -- এভাবেই এই ছোটগল্পটা লেখা। কিন্তু ফ্যাকাল্টি যখন জানিয়ে দিলো ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সাউথ-এশিয়ান কাহিনী চলবে না তখন বাধ্য হয়ে "All For Charity" নামক একটা শর্টফিল্ম বানিয়ে ফেলতে হলো। কিন্তু এই "অন্ধকারের গল্প" এর কি হবে??
রাখে আল্লাহ, মারে কে! শেষ পর্যন্ত অন্ধকারের গল্প-টা অনেক বড় হয়েছে, শর্টফিল্মের পরিবর্তে হতে যাচ্ছে পূর্ণদৈর্ঘ্য একটা চলচিত্র। লেখক হিসেবে আজ আমি তাই অনেকটাই স্বার্থক। "নাহিদরেইনস পিকচার" এর ব্যানারে অত্যাধুনিক স্টুডিওতে বাংলাদেশের চট্টগ্রামে তৈরি হচ্ছে ফিচার ফিল্ম "অন্ধকারের গল্প"। থ্যাংকস টু দি ডিরেক্টর। এ চলচিত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও কালার গ্রেডিং, আর নায়ক-নায়িকা সবাই নতুন মুখ। আশা করি কয়েক মাসের মধ্যে আপনারা দেখতে পারবেন "অন্ধকারের গল্প"।
চলচিত্রের কিছু স্টিল পিকস [অরিজিনাল ভিডিও ফুটেজ]:
ইডিটিং ল্যাবের ওয়ার্ক-ফ্লো:
সবাই দোয়া করবেন।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জুলাই, ২০১০ রাত ৩:২৪