গত জন্মের কোন এক বজ্র জ্বলা রাতে প্রনয় হয়েছিল তাদের
প্রেমের দেবী আফ্রোদিতি নেমে এসেছিল,
তাদের হৃদয়ে রূপকথার সিঁড়ি বেয়ে
দেবতার প্রতিক্ষায়প্রহর গুনেছিল কিশোরী দীর্ঘ ষোল বসন্ত
হঠাৎ দেবতা এসে দাঁড়ালেন কিশোরীর চৌকাঠে ,
ঘনকালো এক অমাবস্যার রাতে
আলো হয়ে উঠেছিল কিশোরীর কুঁড়েঘর
লাজুক কিশোরী হয়ে উঠেছিল শুন্য তার প্রান্তর
হাতে এক মুঠো জোনাক ছড়িয়ে দিলেন নগ্ন সেই প্রান্তরে...
দেবতার লাঙ্গল চষে বেড়াল কিশোরীর জমিন,
লাঙ্গলের ফলায় লেগে থাকা লাল সব রঙ : ছাইপাশ সব...
সারারাত নিষ্পেষিত হল জমিন ইস্পাত কঠিন নিষ্ঠুর লাঙ্গলে
দূরে জ্বলছিল মোমের রোশনাই
বাতাস ভারী হয়ে উঠেছিল হঠাৎ পোড়া বারুদের ঘ্রানে...
মেঘের মত গর্জন করে এক সময় নামল বৃষ্টি, মুষুলধারে,
নোনতা জল ধুয়ে দিল কিশোরীর জমিন খোড়া সেই লাল রঙ,
ধুয়ে দিল দেবতা প্রেমের সব কথকতা
কিশোরীর ভালবাসার মরা জমিকে জাগিয়ে তুলল
হয়ত প্রথমবার
কিন্তু আজীবনের জন্য দেব লাঙ্গলে আটকা পড়ে গেল তার সবটুকু
দেবতা হারিয়ে গেলেন
ঝড়ের মতই উধাও হয়ে গেলেন, যেভাবে তিনি এসেছিলেন
দেবতার লাঙ্গল চষে বেড়ানো সেই জমিন আছে,
দেবতা কোথায় যেন হারিয়ে গেছেন,
অন্য কোন কিশোরীর খোঁজে
অন্য কোন জমিনের ভাজে
যে মাটিতে বীজ ফেলে চারা গজায়,
বেড়ে ওঠে ভালবাসার গাছ
কিশোরী তবুও অপেক্ষা করে
অন্য কোন অজানা দেবতার
তার রিক্ত এ জমিন সিক্ত করবেন যিনি,
যার বজ্র লাঙ্গলে ছিন্ন ভিন্ন হতে চাওয়ার আশায় প্রহর গোনে সে জমিন,
বারেবারে,
ক্ষণেক্ষণে
মেঘের অপেক্ষা করে
লাঙল ফলার খুঁড়ে আনা জলে প্রান পেতে চায় সে,
দেবতা
দেখা দাও...
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:২৪