১।
এই খানে থামিও না পরাণ এ বড় বিরাণ জমিন
ঐদেখো দূরে পোড়া শ্মশানের ঘাট,
এই বুনো চরে ডরাও না জানি
তার থেকে ঢের পেরিয়েছো মরা বৈরী পাট
তবু এই খানে থামিও না মাথার কসম;
খোয়াবে তোমার মাটি বংশ বসত
নবীন আঁতপের ঘ্রাণ,
লগি বেয়ে তারে এ কোন খানে নিয়ে এলে করতে ভিটের পত্তন!
এইখানে অলক্ষী মায়াজাদু ঘন লক্ষীর অভিশাপ
এই খানে থামিও না, এ বড় পুষ্পিত শ্মশান।
২।
পরাণের নাও ডারে লয়ে কোন দ্যাশে গেলা মাঝি ?
এইহানে বড্ড জলের ভাঙন
মুহূর্তের ঘূর্ণিতে ভাঙি যায় ঘর
তোমার লাগানো পুঁই মরিচের টাল
নিকোন উঠোন সুপুষ্ট বাথান
আমি একা বাঁধ দিই কারে ভাঙে দু নদী দু পাড়ে।
৩।
যে চলে গেল জলে বৈঠার শব্দ তুলে উজান দ্যাশে
ঘরেতে রেখে গেল শইলের ঘ্রাণ, উঠানে পায়ের ছাপ,
আঁচলের খুঁটে সজলপল্লবেরে রেখে
আমি তারে দু বেলা লেপে স্পষ্ট করি,
জঠরে বেড়ে তুলি তার নাম;
সযত্নে সাঁজাই কাসা ভরা জল
তুলে রাখি বাতাসা নারকেল নাড়ু ঝালর হাতপাখা,
নিদ্রাহীন নীরব অপরাহ্ন পার হয়ে যায়, পার হয় মেঘের আকাশ
দুয়ারে কপাট নাড়ে উড়ো ঝড়, পাতাঝরা দিন,
জল নামে জলঢাকা ঘাটে, নাইওর যায় নথের কাঙাল,
গাঙে ভাসি আসে বুনোহাঁস ভীনদেশী নাও,
নিদ্রাহীন চোখ কুলঙ্গিতে কুপি জ্বেলে জেগে
উজান ফেরত মাঝি ঐ বুঝি ফেরে!
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৯