১.যাদের বয়স ১৮ বছরের উপর।
২.যারা মায়োপিক বা মাইনাস পাওয়ারের চশমা পরেন এবং পাওয়ার ২০ এর নিচে।
৩.যারা হাইপার মেট্রোপিক বা প্লাস পাওয়ারের চশমা পরেন এবং পাওয়ার ১০ এর কম।
৪.যাদের পাওয়ার মোটামুটি স্থির মানে গত দুবছরের মধ্যে চোখের পাওয়ারের তেমন একটা পরিবর্তন হয় নি।
ল্যাসিক কাদের জন্য নয়:
১.যাদের একটাই চোখ।
২.যাদের শুষ্ক চোখ এর অসুখ রয়েছে।
৩.যাদের নেত্রস্বচ্ছের বা কর্ণিয়ার বিশেষ কোনো অসুখ রয়েছে।
৪.যাদের চোখ দেখতে খুব ছোট কিংবা কোটরের ভিতর ঢোকানো।
৫.যাদের বয়স ১৮ বছরের নিচে।
৬.যারা শুধু মাত্র রিডিং চশমা ব্যবহার করেন অথ্যার্ৎ পড়াশুনা করার জন্য যারা প্লাস পাওয়ার ব্যবহার করেন।
৭.যাদের পাওয়ার পরিবর্তনশীল।
ল্যাসিকের পরবর্তী করণীয়:
১.অপারেশনের পর থেকে দেড়মাস পযর্ন্ত চোখ রগরানো বা চুলকানো যাবে না।
২.সাতদিন পর্যন্ত চোখে কোনো পানি দেয়া যাবে না।
৩.দুসপ্তাহ ডুব দিয়ে সাতারকাটা বা গোসল করা যাবে না।
৪.চিকিতসকের পরামর্শমত ড্রপ ব্যবহার করতে হবে।
ল্যাসিক ও দৃষ্টির মান:
আমরা জানি মাইনাস পাওয়ার পড়লে সব জিনিসকে ছোট দেখায় আর প্লাসে বড়। এমনকি কম আলোতে খালি চোখে আলোর প্রক্রিয়াশীল বৈষম্য অনেক উন্নত মানের। ল্যাসিক করার ফলে শুধু খালি চোখে ভালো দেখাই যাবে না, উন্নত মানের দৃষ্টিরও নিশ্চয়তা দেয়। ল্যাসিকের সর্বশেষ প্রযুক্তি জার্মানীর এ্যলগ্রেটো ওয়েভ। বাংলাদেশেও এখন এই মেশিনটির সাহায্যেই চোখের অপারেশন করা হয়। সারা বিশ্বে এখন মেডিকেলের যে কোন মেশিন ও ঔষধের মানের মাপকাঠি আমেরিকার এফডিএ থেকে পাশ করে আনা হয়। কয়েক হাজার চোখের উপর অপারেশনের পর এ্যলেগ্রেটো ওয়েভ অভূতর্পূব সাফল্য অজর্ন করেছে। যেখানে সাধারণ লেজার মেশিনের শক্তি চলিশ থেকে পঞ্চাশ হার্টজ সেখানে এ্যলেগ্রেটো ওয়েভের চারশ হার্টজ। আগের মেশিনগুলোতে এক চোখে লেজার দিতে সময় লাগতো চলিশ সেকেন্ড। সেখানে এ্যলেগ্রেটো ওয়েভ মেশিনে সময় লাগে মাত্র ৬ থেকে ৮ সেকেন্ড। আর তাবাদে এ পদ্ধতিতে চোখ সারতে সময় লাগে কম এবং সংক্রমনের ঝুকি একদম কম।
এ্যলেগ্রেটো ওয়েভ লেজারের আর একটা বিশেষ সুবিধা এটি অত্যন্ত নিখুঁত ও ছোট মাপের লেজার রশ্মি। প্রতিটি লেজার রশ্মির মাপ যত ছোট বা চিকন হয়, পাওয়ার সংশোধনও তত নিখুঁত হয়। এই মেশিনের প্রতিটি লেজার রশ্মি মাত্র ০.৯৫ মি.মি.। ...(চলবে)
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১:৪৪