somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চশমা বিহীন পৃথিবী কি সম্ভব- ২

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ল্যাসিক কাদের জন্য:
১.যাদের বয়স ১৮ বছরের উপর।
২.যারা মায়োপিক বা মাইনাস পাওয়ারের চশমা পরেন এবং পাওয়ার ২০ এর নিচে।
৩.যারা হাইপার মেট্রোপিক বা প্লাস পাওয়ারের চশমা পরেন এবং পাওয়ার ১০ এর কম।
৪.যাদের পাওয়ার মোটামুটি স্থির মানে গত দুবছরের মধ্যে চোখের পাওয়ারের তেমন একটা পরিবর্তন হয় নি।

ল্যাসিক কাদের জন্য নয়:
১.যাদের একটাই চোখ।
২.যাদের শুষ্ক চোখ এর অসুখ রয়েছে।
৩.যাদের নেত্রস্বচ্ছের বা কর্ণিয়ার বিশেষ কোনো অসুখ রয়েছে।
৪.যাদের চোখ দেখতে খুব ছোট কিংবা কোটরের ভিতর ঢোকানো।
৫.যাদের বয়স ১৮ বছরের নিচে।
৬.যারা শুধু মাত্র রিডিং চশমা ব্যবহার করেন অথ্যার্ৎ পড়াশুনা করার জন্য যারা প্লাস পাওয়ার ব্যবহার করেন।
৭.যাদের পাওয়ার পরিবর্তনশীল।

ল্যাসিকের পরবর্তী করণীয়:
১.অপারেশনের পর থেকে দেড়মাস পযর্ন্ত চোখ রগরানো বা চুলকানো যাবে না।
২.সাতদিন পর্যন্ত চোখে কোনো পানি দেয়া যাবে না।
৩.দুসপ্তাহ ডুব দিয়ে সাতারকাটা বা গোসল করা যাবে না।
৪.চিকিতসকের পরামর্শমত ড্রপ ব্যবহার করতে হবে।

ল্যাসিক ও দৃষ্টির মান:
আমরা জানি মাইনাস পাওয়ার পড়লে সব জিনিসকে ছোট দেখায় আর প্লাসে বড়। এমনকি কম আলোতে খালি চোখে আলোর প্রক্রিয়াশীল বৈষম্য অনেক উন্নত মানের। ল্যাসিক করার ফলে শুধু খালি চোখে ভালো দেখাই যাবে না, উন্নত মানের দৃষ্টিরও নিশ্চয়তা দেয়। ল্যাসিকের সর্বশেষ প্রযুক্তি জার্মানীর এ্যলগ্রেটো ওয়েভ। বাংলাদেশেও এখন এই মেশিনটির সাহায্যেই চোখের অপারেশন করা হয়। সারা বিশ্বে এখন মেডিকেলের যে কোন মেশিন ও ঔষধের মানের মাপকাঠি আমেরিকার এফডিএ থেকে পাশ করে আনা হয়। কয়েক হাজার চোখের উপর অপারেশনের পর এ্যলেগ্রেটো ওয়েভ অভূতর্পূব সাফল্য অজর্ন করেছে। যেখানে সাধারণ লেজার মেশিনের শক্তি চলিশ থেকে পঞ্চাশ হার্টজ সেখানে এ্যলেগ্রেটো ওয়েভের চারশ হার্টজ। আগের মেশিনগুলোতে এক চোখে লেজার দিতে সময় লাগতো চলিশ সেকেন্ড। সেখানে এ্যলেগ্রেটো ওয়েভ মেশিনে সময় লাগে মাত্র ৬ থেকে ৮ সেকেন্ড। আর তাবাদে এ পদ্ধতিতে চোখ সারতে সময় লাগে কম এবং সংক্রমনের ঝুকি একদম কম।
এ্যলেগ্রেটো ওয়েভ লেজারের আর একটা বিশেষ সুবিধা এটি অত্যন্ত নিখুঁত ও ছোট মাপের লেজার রশ্মি। প্রতিটি লেজার রশ্মির মাপ যত ছোট বা চিকন হয়, পাওয়ার সংশোধনও তত নিখুঁত হয়। এই মেশিনের প্রতিটি লেজার রশ্মি মাত্র ০.৯৫ মি.মি.। ...(চলবে)
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১:৪৪
১০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার কথা: দাদার কাছে—একজন বাবার কিছু প্রশ্ন

লিখেছেন সুম১৪৩২, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৫



দাদা,
কেমন আছেন? আশা করি খুবই ভালো আছেন। দিন দিন আপনার ভাই–ব্রাদারের সংখ্যা বাড়ছে—ভালো তো থাকারই কথা।
আমি একজন খুবই সাধারণ নাগরিক। ছোটখাটো একটা চাকরি করি, আর নিজের ছেলে–মেয়ে নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×