লিথি, এই আমি! খুব বিনম্র কাঁদছি তোমার চোখের নীরব মহাকাব্যে। কিন্তু তুমি কখনো জানবে না, কক্খনো না...
লিথি আমাকে তার সব কথা বলেছে। অথচ আমি মদ খেয়ে তার সমস্ত কথা চৌরাস্তার মোড়ে উগরে দিয়েছি।
লিথি আমাকে তাদের পাহাড়ে এক আশ্চর্য কূয়ার কথা বলেছিলো ,ডাক দিলেই যার জল কূয়ার তলা থেকে উঠে আসতো! জলের ফোঁটাগুলি বুঝি জোনাক জ্বলতো!
লিথি আমাকে তাদের ঘরের পেছনে দাঁড়ানো একটি উজ্জ্বল রথের কথা বলেছিলো, রথে চড়ে সে গিয়েছিলো পাহাড়ের ওপারে যেখানে কুয়াশার শুরু হয়েছে দিগন্তাবধি।
আমি একবার দিনের পর দিন বৃষ্টির প্রতীক্ষায় থাকতে থাকতে লিথির কাছে গিয়েছিলাম, খুব নিভৃত স্বরে বলেছিলাম, প্রাণের অতল গহবর ছেড়ে যে-শব্দমালা লিথিকে জাগিয়েছিলো-- বৃষ্টি না-মু-ক... বৃষ্টি...
আর লিথি কেঁদেছিলো, তার কান্নার ওপারে ছিলো সিঁদুরের মন কেমন করা গন্ধ। আর দিনটা ছিলো বাকশোবন্দি ঘাসফড়িং।
লিথি হলো বিস্মৃতির নদী। তার কাছে গিয়ে আমি ভুলে যাই গতকাল। গতকাল কুঠার হয়ে আমাকে চিরে চলে; আর লিথি চেরাপথে বহতাকুসুম...
লিথির চোখদুটি শাদা, ডুমুরের ফুল। ওই চোখেই আমি বিনম্র কাঁদি, কিন্তু সে জানে না একদিনও, ভাবে সে এ তারই কান্না...
তার ছিলো রৌদ্রময় অন্ধকার। আমি তাকে বলেছি, চুপিচাপ বলেছি, আমার প্রাণটাকে ধরেছি তোমার রৌদ্রস্নাত অন্ধকারের পাশে...
তাকে বলেছি, অন্ধকার আমার চোখের কান্না, তুমি তা জানো না।
তার চোখের মধ্যে বৃষ্টি হয়ে নেমে বলেছি, ডুবে যেতে দাও, ডুবে যেতে দাও, আমাকে ডুবে যেতে দাও...
লিথির একটি জলপাইরঙ আবরণ আছে, লিথির একটি হাতি আছে টেবিলে সাজানো; লিথির ওল্ড-টেস্টামেন্টে এ লেখা আছে, লেট দেয়ার বি লাইট, গড সেইড, এন্ড দেয়ার ওয়জ লাইট...
লিথির একটি লাল আবরণ আছে। যা পরলে সে হয়ে যায় লালপরী। লালপরীটার চোখে আছে নদীগন্ধা গান, সেই গানেতে মধ্যে মধ্যে ভোলায় আমার প্রাণ...। আমার প্রাণ আকুল হয়ে থাকে তার গান শোনার জন্যে। তার কণ্ঠে গান আছে জলের উপর হাওয়া। তার কণ্ঠের গান আমার দুঃখসমান...
সে গাইছিলো, ‘...কাল যাবে সে বাড়ি/ পরশু যাবে ঘর/ ঘর মানে তার বৃষ্টিমোহন/ ভুবন চরাচর...’
আর আমি তাকে চিনে ফেললাম। সেদিন আকাশভরা সূর্যতারা শুনতে শুনতে সে আমাকে তার মাথার একটা চুল খুলে দিলো। আর আমি খামের ভিতর বন্দী করে রেখেছি দীঘলবাঁক এক নদীর পোর্টরেট। তার এক একটা চুল একটা নদী হতে পারে।
লিথির একটি বোন আছে; নাম অন্ধকার, ডায়েরি লিখে আর গান করে। লিথি ঘাটের উপর পা তুলে বসে থাকে অন্ধকারে বাতির উপাখ্যান।
সে একজনকে ভালোবাসে, সে একজনকে ভালোবাসতো। তার একটা কলাপাতারঙ আবরণ আছে; না, কলাপাতা নয়। ওটা সে এখনো পরে নি। পরলে সে বাঁশবন মুগ্ধতায় ছড়িয়ে থাকতো পৃথিবীতে।
লিথি একদিন চারতলার ছাদে দাঁড়িয়ে খুলতে খুলতে খুলে ফেলে সমস্ত আকাশ, পরপর। দেখে দৃশ্যালোক, শূন্যতার আবিলতা। লিথি একদিন সুন্দরতার নামে বিষ ভেবে অমৃত পান করে, এদিক-ওদিক তাকায়। তারপর হাসে। সুধাপুকুর শেষে অমৃতবিষের জ্বালা দিয়েছিলে।
সে একজনকে ভালোবাসে। কিন্তু সে খুঁজছে অনন্যকে। কে অনন্য? আমি জানি না। কেবল জানি, আমার নাম শূন্যতা। আমি তাকে একান্ত কোনো স্বপ্ন দিই নি, দেয়ার কথাও নয়; তবে আমি তাকে আমার একটা স্বপ্নের কথা বলেছি। বটফুলের স্বপ্ন। আমি বটফুল স্বপ্নে দেখেছি-- লক্ষ লক্ষ বটফুল আমার উপর ঝরে পড়ছে ঝড়ে বৃষ্টিতে।
লিথি কবিতা লেখে। লিথি বিস্মৃতির কবিতা লিখতে পারে না। লিথি কাঁদে। আমি তাকে বলেছি, বৃষ্টিকে হারিয়ে দিতে না পারলে কান্না করা বোকামি। কালরাতে ঘুরে ফিরে যে স্বপ্নটা দেখেছি-- লিথি বৃষ্টিকে হারিয়ে দিয়েছে।
লিথি আমাকে বলেছে, পা নিনি ধা পা/ মা গা মা পা/ রে গা রেগা রে/ নি রে সা...
একটা ইমন এইভাবে শুরু হয়। আমার বেহালার সবচেয়ে চিকন তারটা আমি ছিঁড়ে ফেলেছি। বেহালার কান্নার রঙ আমার নয়ন; নয়ন মানে চোখ।
লিথির সাথে আমার ঝগড়া হয়েছিলো। আর আমার খুব কষ্ট হচ্ছিলো। তারপরও লিথি আমাকে ডেকে নিয়েছে। আর আমি তার কাছে গিয়ে চুপিচাপ বসে থেকেছি। তার পায়ের কাছে বসে থেকেছি স্তব্ধ সুন্দর। লিথির কাছে গেলেই আমি সুন্দর হয়ে উঠি ক্রমশ।
লিথির দরজায় টাঙানো একটা কবিতা আছে, ধনেশপাখির কবিতা কিংবা কাকপাখির কবিতা অথবা সে বকপাখি ডাহুক শালিক পানকৌড়ি ঘুঘু...
লিথি আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। লিথি আমাকে কী কী দিয়েছে আমার মনে নেই।
লিথি আমাম ঘরের দেয়ালে একটা নৌকো এঁকেছে, এটা হলো নোয়ার নৌকো, নাম আর্ক।
সে একটা নদী এঁকেছে, নাম বৈতরণী।
সে এঁকেছে একটি মেঘ, নাম মেঘদূত।
সে এঁকেছে একটি গাছ, নাম কল্পতরু। গাছের পাশে লিখেছে সে, পান্থজনের সখা।
মেঘের পাশে লিখেছে, ‘কেনো মেঘ আসে হৃদয় আকাশে/ তোমারে দেখিতে দেয় না...’
লিথির একটা হাত রোদের মতো, একটা হাত হাওয়ার মতো।
ছেলেবেলার বৃষ্টি শেষে সে আমার কাছে এসেছিলো বালিকা। এখন সে নারী-- ক্রমশ মানুষ। সে আমাকে লিখেছিলো, মনখারাপ করে থাকো কেনো? হাসবে হাসবে, শুধু হাসবে ইত্যাদি।
একদিন দুপুরবেলা লিথি আমার জন্যে একটা কবিতা লিখে আকাশে টাঙিয়ে দিয়েছে। ওটা পাওয়ার জন্যে একদিন আমি ভরদুপুরে অনেক উচু একটা পাহাড়ের চূড়ায় উঠে আকাশে লাফ দিতে গিয়ে সাহস হারিয়েছি।
লিথির পায়ের রঙ জল। লিথির হাসি পাথুরে নদী এবং তার অপসৃয়মাণ স্রোত। লিথি তার সব গল্প আমাকে বলেছে। আর আমি মদ খেয়ে তার সব কথা চাররাস্তার মোড়ে বলে দিয়েছি। চারটি রাস্তাই ছিলো অরণ্যের পথ।
আমার কোনো গল্প নেই বলে আমি তাকে বলতে পারি নি। লিথি, তোমার কাছে আমি সহজপাঠ্য রোদ, আমাকে যতোবার ইচ্ছে, যেভাবে ইচ্ছে পাঠ করতে পারো।
তাড়া নেই। কাল আমি চলে যাবো। কাল লিথি চলে যাবে। কাল কবে আসবে আমরা কেউই নিশ্চিত নই। কিন্তু লিথিকে কী বলা যায়, কোনো গল্প? কোনো বানানো গল্প! না, এতো গল্প নয়! আমার কোনো গল্প নেই-- কবিতা আছে--
লিথি! আমি তোর চোখের মধ্যে কাঁদি...
‘কেনো আমায় পাগল করে যাস/ ওরে চলে যাওয়ার দল...’
এই লাইনটা পর্যন্ত লিথি লিখে ফেলে। তারপর আর কিছুতেই মনে করতে পারে না সে কী লিখেছে। মনে করতে পারে না তার মাতামহ তাকে একশো বুনোফুলের নাম লিখতে শিখিয়েছিলো। একশোটা গাছ আর একশোটা পাখির নাম সে কিছুতেই মনে করতে পারে না। মনে করতে পারে না, তার দেহের কোনখানে একটা পোড়া দাগ আছে। সে আমার সমুখে বসে এইসব ভুলে যায়; আর আমি মনে মনে হাসতে হাসতে কেঁদে ফেলি। লিথি তা দেখতে পায় না। আমার কাঁধে এসে বসে একটা হলুদপ্রজাপতি। লিথি তখন মূর্তিমান বিস্ময়। সে আমাকে ছুঁতে পারে না; কিন্তু প্রজাপতি তাকে ভয়ানক টানে। সে গান করে-- বিভ্রম ছেড়ে বের হতে চায়; পারে কিনা জানি না। আমি মনে মনে পাপ করি, আমি মনে মনে কবিতা লিখি। কবিতা পৃথিবীর সুন্দরতম পাপ। কবিতার দেবতা কে? পবিত্র শয়তান!
লিথি শোন, মানুষ ভুল না করে কখনো কিছু জানতে পারে না, ভুলই জ্ঞানের পূর্বশর্ত।
ভিতরে বৃষ্টি, বাহিরে বৃষ্টি ধারা; ভিতরে সন্ধ্যা, বাহিরে সন্ধ্যাতারা...
লিথিকে আমি বলেছিলাম, লিথি! এইখানে বর্ষাকালে বৃষ্টি হয়...।
কে যেনো আমাকে বলেছিলো, আমি জানি একজনকে ডাকলে সে ঠিকই আসবে। কিন্তু ইচ্ছে করে না, মনে হয় প্রতারণা করা হবে...
এইসব কথা শুনে আমি কেনো সেদিন কেঁপে উঠেছিলাম এখনো জানতে পারি নি। সে তাকে চিঠি লিখেছে পদ্মপাতায়, সে তাকে পত্র লিখেছে তমালের পাতায়। সে তাকে গভীর শীতের ভোরে একখানা চাদর দিয়েছে, বুটিদার-- মণিপুরি চাদর; কালোর উপরে লালরেখা নদী। সে তার জন্যে অরণ্যের পথে দাঁড়িয়ে আছে দুই আলোকবর্ষ। সে আমি নই। মূলত আমি প্রতীা জানি না। তারপরও কেনো জানি মনে মনে বলেছি, বলে ফেলেছি, না ডাকলেও আমি আসি, সুরপোড়া বাঁশি...
এইসব কথা আমি কেনো ভেবেছি কখনো জানতে পারি নি।
লিথিকে আমি কিছুই বলি নি। অথচ সে আমাকে সবকিছুই বলেছে, মাতামহের কথা, বীজ এবং পত্রালিকার কথা, জল এবং পাহাড়ের কথা, অদ্ভুত যাদু এবং যাদুকরের কথা...
অদ্ভুত সব ভাষায় সে আমার সাথে কথা বলেছে; আমি কিছুই বুঝি নি-- বুঝার ভান করে কেবল হেসেছি নিঃশব্দে। আমি জেনেছি, সে মূলত ছবি আঁকে। আমি জেনেছি, সে মূলত কবিতা লিখে। আমি জেনেছি, সে মূলত গান করে আর আমি জেনেছি, সে মূলত অন্তহীন উড্ডীনতা ইত্যদি।
লিথির মাতমহ ছিলেন এক আশ্চর্য যাদুকর। লিথি আমাকে বলেছে। তিনি অদ্ভুত সব জাদু জানতেন। লিথিদের ঘরের পেছনে ন্যাড়ামাথা ভয়াল এক পাহাড়কে তিনি একবার হরিতকীগাছ দিয়ে বুনে বানিয়ে দিয়েছিলেন এক সন্ধ্যারঙ বনাঞ্চল। ওইখানে অ›ধকার ছিলো প্রিয়তম বোনের মতো। প্রথম তিনমাস ওইখানে গাছের একটি পাতাও কাঁপে নি। বিষণ্ন হরিতকীর বনে লিথি কাঁদলো যেদিন-- গভীর হাওয়ার পাখিরা এসে বলে গেলো বৃষ্টির সংবাদ।
এইসকল কথা লিথি আমাকে বলেছে। আর নিষেধ করেছে; আমি যেনো কাউকে বলে না ফেলি। লিথি লিথি লিথি...
লিথি আমাকে অনেকগুলি কলম দিয়েছে পরপর; কবিতা লেখার জন্যে। লিথির কাছে আমার কবিতা আছে শূন্যতার পরিমাপ। সে বললেই আমি তার খাতার শূন্যতাকে আরো প্রলম্বিত করি শব্দ-বাক্য-অরে। তাকে বলি নি, আমার জলের নাম লিথি। লিথি আমাকে একটা কাঠের হরিণ দিয়েছে; ওটা সে কিনেছিলো সূর্যখোলা থেকে, ওটা সে কিনেছিলো গরু ভেবে; হাতে নিয়ে বলেছে সে, বাহ্ কী সুন্দর গরু!
লিথি আমাকে একটা তালপাতার পাখা দিয়েছে, খুব সাধারণ দেখেতে ওটা। অথচ ওটা দিয়ে হাওয়া করলে পুবের বাতাস আসে সূর্যোদয়ের গন্ধ মেখে।
লিথির মাতামহ গিয়েছিলেন কামরূপ-কামাখ্যায়। ওইগুলি নাকি যাদুর দেশ। একটা নদ ও একটি নদী পার হওয়া পর ওখানে যাওয়া যায়। প্রথমে নদ পার হয়ে বিবসন হতে হয়, একটা সুতোও গায়ে রাখা যায় না। তারপর নদীটি পার হতে হয়। ওইসব দেশে লিথির মাতামহ গিয়েছিলেন একবার মৃত্যুর পর। তারপর বেঁচেছিলেন একশোচৌত্রিশ বছর। লিথি এইসব কথা আমাকে বলেছে, আর আমি রাষ্ট্র করে দিয়েছি, এখনো দিচ্ছি।
লিথির মাতামহ শিখে এসেছিলেন অদ্ভুত সব যাদু। আর অদ্ভুত এক যাদু শিখিয়েছিলেন লিথিকে, হাতের উপর ফুল ফোটানো। লিথি জীবনে দুইবার হাতের উপর ফুল ফুটিয়েছে। একবার শেষহেমন্তে চন্দ্রমল্লিকা। আর পৃথিবীর রঙ হয়ে যাচ্ছিলো চন্দ্রমল্লিকার মতো। আর একবার তার হাতে ফুটেছিলো রক্তজবা; পৃথিবীর রঙ এখনো রক্তজবা। কার জন্যে ফুটেছিলো ফুল-- লিথি আমাকে সমস্ত বলেছে। আর আমি রাষ্ট্র করেছি।
লিথির কাছে আমি তিনশো নয়টি বর্ষায় গিয়েছি, গিয়ে নতজানু এই আমি মিনতি করেছি-- লিথি, বকুল ফোটাও, বকুল...
আর লিথি বকুল ফোটাতে পারে নি। আমি তার কাছে পৌছাতে পৌছাতে সে তার অদ্ভুত মতাসকল হারিয়ে ফেলে।
আমার জন্যে লিথি কিনে দিয়েছিলো প্রায় দুইশোপৃষ্ঠার একটি মরুভূমি। বলেছিলো, এটা মরুস্বর্গ। ওখানে রিবিকা এবং রিবিকারা উটের পিঠে ধর্ষিত হয়, ওখানে সূর্যমন্দির সব গণিকালয়...
লিথি আমাকে একটা আবরণ দিয়েছিলো, শ্রাবণমেঘের আকাশের মতো। ওটাতে ঝালর ছিলো হাতে ও পায়ে। আমি ঝালরগুলি কেটে ওটাকে বানিয়ে নিয়েছি চিন্ময় কাফন।
লিথি আগামীকাল (কাল সম্পর্কে আমি নিশ্চিত নই) চলে যাবে। সে হাতে ফুল ফোটানো ভুলে গেছে। তার এই বিস্মরণ সে প্রমাণ করেছে আমারই কাছে। তার হাতে আমার জন্যে ফোটে নি বকুল, তাই বর্ষা কেঁদেছে। আর আমি কেঁদেছি লিথির চোখের মধ্যে। তার চোখে পাপড়ি নেই; তাই সে আমাকে ধরে রাখতে পারে না।
লিথি! কষ্টে থেকো। যন্ত্রণা মানুষকে সুন্দর করে।
আমি লিথিকে বলি নি একদিনও, লিথি আমি তোর চোখের মধ্যে কাঁদি...
আগামীকাল হয়তো বলে দেবো।
____________________________________________
রচনাকাল: ১৫. এপ্রিল. ২০০৬
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫২