somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সে আমার প্রিয় বন্ধু....

৩০ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৪:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আমার বন্ধু ছিল মেয়েটা। এত জ্বালাতাম তাকে আমি! যখন তখন ডাক দিতাম আসতে, কখনও ছড়া কেটে, কখনও গান গেয়ে। মা যখন রান্নাঘরে ব্যস্ত কিংবা বা তাঁর প্রিয় বান্ধবীর সাথে গল্পরত, আমি তখন জানালার সারশি ধরে তার নাম ধরে ডাকতাম। আমি আমার প্রিয় লাল মখমলের জামাটা পরে কখনও ফ্রকটাকে দুলিয়ে দুলিয়ে গান গাইতাম ওর জন্য আমার ছোট বারান্দায়। ও ঠিকই আসত। আর ও আসলে বাবার বকুনি খাওয়াকে পাশ কাটিয়ে, মাকে উৎকোচস্বরুপ পুরোটা ভাত খেয়ে আমি একছুটে ছাদে দৌড়ে যেতাম।

দৌড়!!! সেখানে গিয়ে প্রথমে কিছুক্ষণ ওর নাম ধরে ডেকে চিৎকার করতাম। তারপর ওর সাথে খেলতাম, নাচতে থাকতাম। আর ওকে ছুঁয়ে দিতাম। এক আঙুল, দুই আঙুল, তারপর পুরোটা মুঠো খুলে আস্তে আস্তে পুরোটা হাত বাড়িয়ে ছুঁয়ে দিতাম অস্পৃশ্য এই আমিও।
ওকে গান শুনাতাম আমি...
....যাও পাখি বল...
...আজ ঝরঝর মুখরও বাদলও দিনে
...মমচিত্তে নিতি নৃত্যে...
...মোর ভাবনারে...
....নয়নও তোমারে পায়না দেখিতে.....

আমার গানের তালিকা শুনেও ও বিরক্ত হতনা, চুপ করে শুনে যেত আমার গান। আমি তারপর ওকে ধরে দু’হাত পাশে তুলে প্রজাপতির মত উড়ে বেড়াতাম আর ঘুরে ঘুরে নাচতাম। তবে মেয়েটা সবসময় কাঁদত আমার সামনে। কখনও কষ্টে, কখনও আনন্দে!

নাহ! আমি ওকে কখনও থামতে বলিনি। বরং স্বার্থপরের মত আমি চিৎকার করে উঠতাম...
জোরে....
আরও জোরে....
স্বার্থপরের মত ওর এই কান্নাকে নিয়েই মাতি আমি। ওর কান্না দেখতেই যে বেশি ভাললাগে আমার। ওর কান্না দেখতেই মুখিয়ে থাকতাম আমি।
আর শব্দের উপমায় ওর নাম দেই বৃষ্টি বলে.......
ও আমার বন্ধু ........বৃষ্টি..............
৮৩টি মন্তব্য ৮২টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বেফাঁস মন্তব্য করায় সমালোচনার মুখে সমন্বয়ক হাসিবুল ইসলাম !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৩ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৩২



"মেট্রোরেলে আগুন না দিলে, পুলিশ না মারলে বিপ্লব সফল হতো না "- সাম্প্রতিক সময়ে ডিবিসি নিউজে দেয়া সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করে সমালোচনার শিকার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসিবুল... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমিত্ব বিসর্জন

লিখেছেন আজব লিংকন, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১:৪৮



আমি- আমি- আমি
আমিত্ব বিসর্জন দিতে চাই।
আমি বলতে তুমি; তুমি বলতে আমি।
তবুও, "আমরা" অথবা "আমাদের"
সমঅধিকার- ভালোবাসার জন্ম দেয়।

"সারভাইভাল অব দ্য ফিটেস্ট"
যেখানে লাখ লাখ শুক্রাণুকে পরাজিত করে
আমরা জীবনের দৌড়ে জন্ম... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ হঠাৎ মেহজাবীনের পিছে লাগছে কেন ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:৪১


স্বৈরচারী আওয়ামীলীগ এইবার অভিনেত্রী মেহজাবীনের পিছনে লাগছে। ৫ ই আগস্ট মেহজাবীন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন ‘স্বাধীন’। সেই স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট যুক্ত করে অভিনেত্রীকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ তার অফিসিয়াল ফেইসবুকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×