ঢাকা: খেতে সুস্বাদু এবং পুষ্টি গুণে ভরপুর সহজলভ্য ফল কলা। প্রায় সব মৌসুমেই এটি পাওয়া যায়। কলায় রয়েছে ক্যালরি এবং এটি খেলে দীর্ঘ সময় ক্ষুধা অনুভূত হয় না। তবে যতই ভাল হোক না কেন লোভে পড়ে বেশি কলা খেয়ে ফেলবেন না। বেশি কলা খেলে ক্ষতির সম্ভাবনাও কিন্তু থাকে। জেনে নিন কলার ক্ষতিকর দিকগুলো-
ওজন বাড়ায়: মাঝারি মাপের একটি পাকা কলায় ১০৫ ক্যালরি শক্তি থাকে। তাই বেশি কলা খেলে ওজন বৃদ্ধির প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।
মাইগ্রেন: কারও যদি মাইগ্রেনের সমস্যা থাকে তা হলে তাদের যতটা সম্ভব কলা এড়িয়ে চলা উচিত। কলায় টাইরামাইন নামে এক ধরনের উপাদান থাকে, যা মাইগ্রেনের কারণ।
হাইপারক্যালেমিয়া: রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা বেড়ে গেলে এই রোগ হয়। এই রোগে আক্রান্তরা সহজেই ক্লান্ত হয়ে পড়েন। যেহেতু কলাতে প্রচুর পটাশিয়াম রয়েছে, সেজন্য বুঝে-শুনেই কলা খাওয়া ভালো। এছাড়াও যাদের হৃৎপিণ্ডের স্পন্দন অনিয়মিত, তাদের কলা এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।
দাঁতের ক্ষয়: প্রচুর পরিমাণে শর্করা থাকায় বেশি কলা খেলে দাঁতের ক্ষতি হয়। এমনকী দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য কলা নাকি চকোলেটের থেকেও বেশি ক্ষতিকর।
ক্লান্তি: পাকা কলাতে ট্রিপটোফ্যান আমাইনো অ্যাসিড থাকে। এই অ্যামাইনো অ্যাসিডের প্রভাবে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা হ্রাস পায়। দেহে ক্লান্তি আসে এবং সব সময় ঘুম পায়।
নার্ভ: ভিটামিন বি ৬ বেশি খাওয়ার প্রভাবে স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি হয়ে থাকে। কলায় এই ভিটামিনের আধিক্য আছে তাই খুব বেশি কলা খাওয়া উচিত নয়।
অ্যালার্জি: কলা অনেক সময়ই অ্যালার্জির কারণ হয়ে থাকে। ঠোঁট ফুলে যায়, গলা জ্বালা করে।
শ্বাস নিতে সমস্যা: যাদের শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা আছে বেশি মাত্রায় কলা খেলে তা বেড়ে যেতে পারে।
পেট ব্যথা: বাজার থেকে কেনা কলার বেশির ভাগই রাসায়নিকের সাহায্যে পাকানো হয়ে থাকে। তা ছাড়াও কলায় শর্করার পরিমাণ খুব বেশি। এ সবের জন্য পেট ব্যথা হতে পারে।
কোষ্ঠকাঠিন্য: কলা বৃহদন্ত্রের চলনে সাহায্য করে থাকে। কিন্তু বেশি পরিমাণ কলা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা যেতে পারে।
অ্যাসিডিটি: কলাতে থাকা ফ্রুক্টোজ এবং ফাইবার এক সঙ্গে অ্যাসিডিটি সৃষ্টি করতে পারে।
ডায়াবেটিস: সুগারের পরিমাণ বেশি থাকায় অত্যধিক মাত্রায় কলা খেলে ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা থাকে।
নিউজটি ঢাকা টাইমস ২৪ থেকে সংগৃহীত হয়েছে
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই মে, ২০১৬ সকাল ১১:২৪