somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কবিতাঃ ব্যবচ্ছেদ! মাঝরাত!

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অবিন্যস্ত ব্যথার সুর
সব ধমনী ঘুরে হতাশ যুবকের বুকে
নীল রঙের ধোঁয়া হয়ে ঠাঁই পেল।
সমান্তরাল রেললাইনে সবুজ পতাকার অপেক্ষায়
ষোড়শীর অপ্রাপ্ত ভালবাসা পূর্ণতার আশায় ডুকরে কাঁদে
পুরোটা রাত জুড়ে, হয়ত খানিক থামে, তারপর আবার-
বিচ্ছিন্ন গণিত হয়ে জীবন লাল কালির দাগে
আর এগোতে পারল না এবারের মত।

ভালবাসা, সে তো না পড়া খবরগুলোর মতই-
কখনও কখনও গুরুত্ব নিয়ে পড়া হলেও শেষমেশ অই আধার
কাগজওয়ালা থেকে হকারের ঝালমুড়ির ঠোঙা, আর যাওয়ার জায়গা কই?
এলোমেলো বিজ্ঞাপণের কথাগুলো দিয়ে কবিতা লিখতে খুব ইচ্ছে হয় কারও
হয়ত আমারই, কিংবা ঘুমের ভান করে থাকা আমার পাশের বন্ধুটির-
সস্তা হলেও চলবে, সাদাকালো, এক কলাম আর তিন ইঞ্চির একটা বিজ্ঞাপন
কিন্তু এমন একটা শীর্ণ কবিতাও আর রেললাইন ধরে হাঁটে না।

ব্যথাগুলো, উড়তে যেয়ে থমকে থাকা ধোঁয়াগুলো,
কিংবা বালিশের যেটুকু জায়গা চোখের জলে ভিজল, তার সব, সবই-
দূর কোন স্টেশনে ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ে আছে কত শতরাত থেকে।
কেউ নেই এমন বাঁচাবার, কিংবা যদি একটা সংকেত পাঠাতো জংশনে!

আজকের শেষরাতে হয়তবা শেষ হর্ণটিও বাজানো হয়ে যাবে
অনেকগুলো ঝরা পাতা কেঁপে উঠবে লাল চোখের বিরক্তি নিয়ে
ঘাসের সাথে মিশে যাওয়া ধূলোরা অনেকদিন পর আনন্দে উড়বে কিছুক্ষণ
কিন্তু অই কিছুক্ষণ। তারপর সব চুপ-
কোন বিরক্তি নেই, কোন আনন্দ নেই, কোন ব্যথা-কান্না
নীল রঙের ধোঁয়া, কিছুই নেই, থাকবে না আর কোনদিন।

অল্প অল্প করে থেমে যাওয়াই হয়ত ভুল হয়েছে এতকাল ধরে
গণিত, লালকালি, ওসব কিছুর দরকার ছিল না এমন বিকট হৃদস্পন্দন বুঝতে
অথবা আঙুলের ফাঁকে আঙুলগুলো চালিয়ে সে কয়েকফোঁটা চোখের পানি
আরেক হাত দিয়ে খুব সহজেই মুছে দেয়া যেত।
অতকিছুর দরকার ছিল না রেললাইন ধরে হাঁটতে
আর বেশিকিছুর দরকারও নেই ধোঁয়া হয়ে উড়ে যেতে
কারও কারও পাখি হয়ে ওড়ার জন্য আকাশ থাকে না যে!


২৬/০১/১৪
১৭টি মন্তব্য ১৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

প্রসঙ্গঃ ডক্টর ইউনুস স্যারের বিভ্রান্তিকর বক্তব্য...

লিখেছেন জুল ভার্ন, ৩০ শে মে, ২০২৫ সকাল ৯:০৪

প্রসঙ্গঃ ডক্টর ইউনুস স্যারের বিভ্রান্তিকর বক্তব্য...

জাপান সফরে ডঃ মোহাম্মদ ইউনুস স্যার উষ্মা প্রকাশ করে বলেছেন- "দেশের একটামাত্র দল ডিসেম্বরে নির্বাচন চায়"।


কথাটা আংশিক সত্য।
কারণঃ
★ দেশে রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। কৃমির হাজার বছরের ঘুম

লিখেছেন শাহ আজিজ, ৩০ শে মে, ২০২৫ সকাল ১০:০৬




রাশিয়ান বিজ্ঞানীরা সাইবেরিয়ার পারমাফ্রস্টে ৩০০টি প্রাগৈতিহাসিক কৃমি আবিষ্কার করেছেন, যার মধ্যে দুটিকে সফলভাবে পুনরুজ্জীবিত করা সম্ভব হয়েছে। এই কৃমিগুলি হাজার হাজার বছর ধরে বরফে আটকা পড়ে ছিল, তবুও গলানোর... ...বাকিটুকু পড়ুন

নির্বাচন চাইলে নির্বাচন কমিশনের কাছেই চাইতে হবে, ড. ইউনুসের কাছে নয়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ৩০ শে মে, ২০২৫ দুপুর ১২:১৯


বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি প্রশ্ন বারবার ঘুরেফিরে আসছে—বিএনপি আসলে নির্বাচন চায় কার কাছে? সম্প্রতি নানা বক্তব্যে বোঝা যাচ্ছে, দলটি যেন নির্বাচন চাচ্ছে ড. ইউনুসের (অর্থাৎ প্রধান উপদেষ্টার) কাছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে ভাবে মটরবাইকে স্বস্ত্রীক ট্যুর দেই

লিখেছেন অপলক , ৩০ শে মে, ২০২৫ বিকাল ৩:৫০



আসলে আমি ফ্রিডম পছন্দ করি। আদেশে নয়, অনুরোধে মন গলে আমার। শহুরে হট্টগলের চেয়ে প্রকৃতি ভাল লাগে। দল বেঁধে ট্যুর দেবার চেয়ে একাকি ট্যুর দিতে ভাল লাগে। বনের কুকুররা... ...বাকিটুকু পড়ুন

"বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ হবে বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রধান চালিকা শক্তি".....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ৩০ শে মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০৬

"বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ হবে বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রধান চালিকা শক্তি".....


বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ হতে হবে বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রধান চালিকা শক্তি। হতে হবে সকল প্রেরণার উৎস। বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের এই দর্শনের নিহিত রয়েছে আত্মসামাজিক,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×