বেদনার রঙ নাকি নীল!!
আচ্ছা অভিমানেরও কি কোন রঙ হয়?
হয়তো হয়, কিন্তু আমি জানিনা।
অগ্নিলা কে জিজ্ঞাসা করলে ও হয়তো বলতে পারবে...
আমার প্রচন্ড ঘুম পাচ্ছে, কিন্তু আমি ঘুমাচ্ছি নাহ... মহামানব হতে হলে সবসময় ঘুমাতে নাই। আচ্ছা কাজ না থাকলে মানুষ কি সারাদিন ঘুমাতো? হয়তো ঘুমাতো... লাল্লুকে দেখলে সেটা বুঝা যায়। মধ্য রাত থেকে ভোর পর্যন্ত সময়টুকু ছাড়া ও তো সারাদিনই ঘুমায়। লাল্লু আমাদের এলাকার ছিচকে চোর। এখন পুলিশের ভয়ে
পালিয়ে বেড়াচ্ছে , অনেক দিন দেখা হয় না ওর সাথে।
আমি এখন বাইরে, রাস্তায় হাটছি। রাতের নিস্তব্ধতা ভেঙ্গে গাড়ি গুলো ছুটে চলেছে গন্তব্যের দিকে। কিন্তু আমার হাটার কোন গন্তব্য নাই। আমি হাটছি গন্তব্যের খোজেই হয়তো। অনেক দিন হলো ব্যালকনিতে দাঁড়ানো নীল শাড়ি পরা অগ্নিলাকে দেখি না।
আমি ভাবছি এখন ওদের বাসার দিকেই যাবো, ওকে খুব দেখতে ইচ্ছা করতেছে। আচ্ছা ওকে কি একটা ফোন করবো?
কিন্তু আমার কাছে তো কোন ফোন নাই... সামনের ফোন কলের দোকানটা বন্ধ দেখতে পাচ্ছি।
বাইরে প্রচন্ড ঠান্ডা। শিশির এর মধ্যে গোসল করতে ইচ্ছা করতেছে। কিন্তু আজকে বেশিক্ষণ বাইরে থাকা ঠিক হবে নাহ। কালকে আমার খুব একজন পরিচিত মানুষের বিয়ের নেমন্তন্ন আছে। কথা দিয়েছি যাবো। মহামানব হতে হলে কথা রাখতে হয়।
পা গুলোতে চমতকার ব্যাথা অনুভুত হচ্ছে। ঠান্ডায় জমে গেছি। এককাপ চা হলে মন্দ হতো নাহ। কিন্তু মতিনের চায়ের দোকানটার সামনে লোকজন নেই, হয়তো বন্ধ হয়ে গেছে। অগ্নিলার সাথে শেষ দেখা এই মতিনের চায়ের দোকানেই। নীল শাড়ি পরে এসেছিলো। লাল , টকটকে জবা লাল ওর পছন্দের রং। কিন্তু হলুদ আমার পছন্দ বলেই আমার কাছে হলুদ শাড়ি চেয়েছিলো। কিন্তু আমি তো মহামানব হতে চেয়েছি... মহামানবদের হলুদ শাড়ির প্রেমে পরতে নেই।
মাথাটা ঘুরছে। পা গুলো আর এগোতে চাচ্ছে নাহ। শীতের মাত্রাটা ক্রমেই বেড়ে চলেছে , সাথে শিরশির করে বাতাস বইছে। অগ্নিলা সেদিন এসেছিলো নীল শাড়ি পরে, কিন্তু চলে গেছে মনের মধ্যে একটা নীল রঙের ছাপ নিয়ে। ওর জন্য খুব মায়া হচ্ছে।
ভাবছি কাল একটা লাল টকটকে শাড়ি নিয়ে ওদের বাসায় গিয়ে হাজির হবো।
চুলায় যাক আমার মহামানব হওয়া।
কিন্তু ও এখনও লাল রঙ পছন্দ করে তো??
হয়তো করে......
আমি ঠিক জানিনা......
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৭