সখী আজকের ভূ-কম্পন দেখেছো ?
ঘরের শক্ত ভিত্তিটা কেমন করে
কেঁপে উঠেছিলো বুঝেছো কি ?
ঘরের মসৃণ দেয়ালে কি ফাটল ধরেছে ?
বইয়ের তাক থেকে ক'টা বই সিটকে
পড়েছিলো তা কি গুনে রেখেছো ?
টেবিলের এক কোণায় ঘাপটি মেরে
বসে থাকা ফুলদানীটা পেরেছিলো কি
তার অবস্থান আঁকড়ে ধরে রাখতে ?
টেবিল ল্যাম্পটাও কি যথাস্থানে ছিলো ?
বসার ঘরের সিলিংয়ে ঝুলানো ঝাড় বাতিটা
কতটা দুলে উঠেছিলো তা দেখার
সময় কি তুমি পেয়েছিলে ?
রান্না ঘরের তাকে সাজানো চিনির বোয়াম-
লবণের বোয়াম, আচারের বোয়াম কি
আছড়ে পড়ে ভাঙ্গেনি একটুও ?
তখন কি ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছিলে
নিজেকে বাঁচাতে প্রাণপণে ?
সখী এমনি কম্পন আমার বুকে হয় প্রতিদিন,
পাঁজর ভেঙ্গে পড়ে দেখেনা কেউ কখনো-
এমন কি রঞ্জনের রশ্মিতে
আমার ভাঙ্গা পাঁজড় অধরা।
ফুসফুস বেরিয়ে আসতে চায়
নিকোটিনের নির্যাতনে;
নিকোটিনেরা অগ্নিগিরির লাভার-
মতোন বয়ে যায় শিরায় শিরায়।
লাভারা বেরোয় দীর্ঘশ্বাস হয়ে,
বেরোয় না তুমি আমার হৃৎকম্পনে
থেকেই যাও নীরবে গোপনে গোপনে।
জবরুল আলম সুমন
সিলেট।
১৮ই সেপ্টেম্বর ২০১১ খৃষ্টাব্দ।