থার্মোমিটার এর রিডিংঃ ১০২, তবে শুরু হোকঃ
মাথাভর্তি যন্ত্রণা। জ্বর হয়েছে। কিছু লিখতে ভয়াবহ ইচ্ছে হওয়া সত্ত্বেও লিখতে পারছিলাম না। সাবজেক্ট ই পাই না। তখন ই মাথায় এলো। হোয়াই নট জ্বর ইটসেলফ ক্যান বি অ্যা রাইটিং? তাছাড়া জ্বর এর ঘোরে আমার লেখা ক্যামন হয়, সেটা জানতেও লোভ হচ্ছে।
তিন দিন ধরে জ্বর চলমান আছে। সারাটা দিন ঘরের এবং ঘোরের মধ্যেই থাকছি। সমস্ত স্বত্বা যেন এই একটা ঘরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।
জ্বরের জন্য একটা জিনিস মনে হয় হয়েছে। সেটা হল, প্রচণ্ড মাথাব্যাথা। ব্রেইন এর কারেন্ট পাসিং রেট যেন বহুলাংশে বেড়ে গেছে। কাজের কাজ হয়েছে, আজ ভোরবেলা ছোট বেলার কিছু সৃতি ঘুমের ঘোরে দেখতে পেয়েছি। দেখলাম আমার নানা আমার জন্য একটা প্লাস্টিকের প্লেন নিয়ে এসেছে। আমি মহা আনন্দে সেটা হাতে নিয়ে দৌড়াচ্ছি। আকাশে কাল মেঘ। মনেহল যেন মাটির খানিকটা সোঁদা গন্ধও পেলাম।
ঘুম ভেঙ্গে গেল। মনে হল কোথায় জানি কি একটা ভার নেমে গেছে। কেমন যেন শান্তি শান্তি লাগছে। টুল টা নিয়ে বারান্দায় যেয়ে বসলাম। সাড়ে ৬ টার মতন বাজে তখন। তিন চার টা কাক পরস্পরের সাথে কথায় ব্যাস্ত। যেন ঠিক করে নিচ্ছে সারাদিনের কাজের বিবরণী। বসে থাকলাম। বসন্ত সকালের ঝিরঝিরে বাতাস। গাটা জুড়িয়ে যেতে থাকে। জ্বর ও যেন বলছে যাই যাই। মনে মনে প্রতিজ্ঞা করি, যে কদিন বাঁচব, সকাল দেখব। জানি, এ প্রতিজ্ঞা রাখা অসম্ভব। জ্বর সেরে যাবার সাথে সাথেই আমাকে আমার নিজস্ব প্লাটুনে ফিরে যেতে হবে। আবার যুদ্ধ । পরবর্তী বার জ্বর না হওয়া পর্যন্ত কোন বিরতি থাকবে না।
বসে আছি বারান্দায়। সেই ঝিরঝিরে হাওয়া। প্রথম ভাললাগার মানুষটির কথা মনে পড়ল। কেমন আছে সে ? কোথায় আছে ? কিচ্ছু জানি না। জানার ইচ্ছাও নেই।
জ্বর, আহঃ !!! একটু শারীরিক কষ্ট। বিনিময়ে জীবনের একটু টকমিষ্টি স্বাদ। ক্ষতি কি ? ভালই তো লাগল। নিজের মত বাঁচতে জানা, ভাবতে জানা এ আমার শান্তির দীর্ঘশ্বাস .।