আমার উপন্যাসের নায়িকা শেষের কবিতার লাবণ্যের মত নয়,
আমার গল্পের নারী চরিত্র প্রথম প্রতিশ্রুতির সত্যবতীর মতও নয়,
আমার কল্পনার নারী অমরাবতীর ঊর্বশীরমত ওড়নায় মুখঢাকা কোনো দেহপসারিণী নয়,
কিম্বা রাঙামাটির পথ ধরে হেঁটে চলা আলুথালু বেশ, শুকনো কেশ কোনো নিষ্পাপ গ্রাম্যবালিকা নয় ;
কালবেলার মাধবীলতা নয়.. নয় সে নষ্টনীড়ের কুড়ানি।
আমি স্বপ্নের ফেরিওয়ালা ; স্বপ্ন বেচি কাব্য লিখে। ঘুমের মাঝে গল্প লিখে ...
আমার রঙীন নেশার স্বপ্নের নায়িকা কৃষ্ণকলি ..
সে কালোমেয়ে তাই কৃষ্ণকলি বলি আমি তাকে।
জানো ? সে আমার মনের গহন বনে, লুকিয়ে থাকে আপনমনে,
রাত্রি শেষে ঘুমের মাঝে, ঘুমপাড়ানি গানের সুরে,
আমার কাছে দেয় সে ধরা, কোলে তোলে আপন করে ।
কৃষ্ণকলি পাশে বসে। আমায় দেখে মুচকি হাসে।
নয় সে কোনো বিম্ববতী, সুরধুনীতীরের কোনো বিরহিণী রাধারাণি ।
গাছ তলার নীচে চুঁইয়ে পড়া ক্ষীণ ঝোরার জলের শ্যাওলা পড়া পাথরের নীচে বসা,
কোনো আধফোটা কিশোরী নয়,
প্রকান্ড সোনাঝুরির ফ্যাকাসে কাঠের গুঁড়ির গায়ে হেলান দেওয়া প্রেমিকের জন্য প্রতীক্ষারত,
কোনো সদ্যকুসুমিত যুবতী নয় ।
সে একপিঠ কালোচুল এলো করে, সাঁঝের বাতি করে সাথী, চলে আসে রাতারাতি ।
কখোনো পূবের আলোর কনকোজ্জ্বল রক্তিমাভা দু কপোলে মেখে, কপালে মস্ত লাল সিঁদুরের টিপ এঁকে,
শোনায় ভোরের আগমনী ।
কম্বুকণ্ঠী কৃষ্ণকলি আমায় কবিতা শোনায়,
কাজলনয়না কৃষ্ণকলি আমাকে গান শোনায় ।
কখনো চাঁদের রূপোলী জ্যোত্স্না গায়ে মেখে, ছাদ আলো করে আমার পাশে এসে দাঁড়ায় ।
মিষ্টি হাসি হেসে আমায় বলে, আমি যে তোমায় বড্ড ভলোবাসি, তাই তো তোমার কাছে ছুটে ছুটে আসি।