চাইনা আওয়ামী লীগ, চাইনা বিএনপি, চাইনা জামাত। মুক্তির পথ গনতন্ত্র হলেও, চাইনা বাংলাদেশের এই গনতন্ত্র। বাংলাদেশের এই গনতন্ত্র এখন ধাপ্পাবাজীর গনতন্ত্র। এই গনতন্ত্র শোষনের গনতন্ত্র। এই গনতন্ত্র অসৎ গনতন্ত্র । এই গনতন্ত্র ক্ষমতার হাত ধরে সাধারণ মানুষকে শোষনের পথকে আরো বেশী সুগম করে দেয়। এই গনতন্ত্র কিছু রক্তচোষা পরিবারের সম্পদবৃদ্ধির সহায়ক, যাদের হাতে এখন সারা দেশ কব্জাবন্দী। এই গনতন্ত্র সন্ত্রাসী গনতন্ত্র। পাকিন্তানী আমলে ছিল বাইশ পরিবারের শোষন ও সন্ত্রাস, এখন সে শোষক ও সন্ত্রাসীর সংখ্যা আরো কয়েকগুন বেশী। এ জন্যে স্বাধীন হয়নি দেশ, এ জন্যে বয়নি তিরিশ লক্ষ শহীদের রক্ত।
খালেদা চাইনা, চাইনা হাসিনা, চাইনা নীজামী। হাসিনা, খালেদা সব সমান পাপী, এরা সবাই শোষক। কিছুই আসে যায়না, ভোটে খালেদা জিতল, না হাসিনা জিতল, কে কার সাথে জোট করল। নীজামী জোটে এল কি না এল, তাতে সাধারণ মানুষের কোন চাওয়ার প্রতিফলন নেই। এরশাদ কোন জোটে গেল, এতে কারো পেটে একবেলা বেশী ভাত জুটবে না। এ হলো শোষকদের, অসৎদের, খুনীদের রাজনৈতিক দাবার চাল। কার ভাগে কতো বেশী পড়বে, এ চালে তার হিসেব নিকেশ হয়, সাধারণ মানুষের ভাগ আগের মতোই অপরিবর্তিত শুন্য। এই দাবার চালে শত শত মানুষ মরে, মায়েদের, বাবাদের, শিশুদের কান্নায় আকাশ ফাটে, আমরা হাহুতাশ করি, কিন্তু এতে এই ভুয়া রাজনীতিবিদদের কিছুই যায় আসে না। কখনো বিএনপি পিস্তলের গুলিতে মানুষ হত্যা করে, আওয়ামী লীগ করে পিটিয়ে, জামাত কারো গলার রগ কেটে। এরা সবাই হত্যাকারী, এরা সবাই শোষক, প্রতারক ও সন্ত্রাসী।
সাধারণ মানুষের আশা আকাঙ্খার প্রতিফলন তখনই ঘটবে, যেদিন দলমতনির্বিশেষে মানুষের ঢল নামবে জনপদে। জনস্রোতের ধারায় ভেসে যাবে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামাত ও তাদের তোষামোদকারী পাতি রাজনৈতিক অস্তিত্বগুলো। জনস্রোতের আগুনে পুড়বে শোসকদের দালানকোঠা ও চোরাই কোষাগার। নতুন কোন গনতান্ত্রিক শপথে আবারো মুক্ত হবে দেশ। আত্ম, সমাজ ও রাজনৈতিক শুদ্বিতে শুদ্ধ হবে মাটি, সমাজ ও শহর বন্দর। সেখানে অসৎ রাজনীতি, বাজনীতিবিদ ও তোষামোদকারীদের কোন স্থান থাকবে না; তাদের ঝেটিয়ে পাঠানো হবে ইতিহাসের আস্তাকুড়ে। সে সময় হয়তো এখনো আসেনি, কিন্তু আসবে কোন আগুনঝরা দিনে। আসুন আমরা তারই অপেক্ষায় থাকি ও তারই সন্ধান ও গঠনে আমাদের শিক্ষা, মনন, চিন্তাশৈলী ও বোধকে প্রসারিত করি।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৪:৩৩