ছোট বাচ্চারা ঘুমাতে যাও, এটা একটি বড় দের পোষ্ট, বড়দের পোষ্ট পড়তে হয় না সোনা, আর অবিবাহিত রা পোষ্ট না পড়ে চোখ বুঝে সোজা প্রিয়তে রাখন, কারন আমার এই পোষ্ট শুধু মাত্র বিবাহতদের জন্য। যখন বিয়ে করবেন তখন কাজে লাগতে পারে।
ব্লগে কোন সুড়সুড়ি মূলক পোষ্ট দিতে আমার ভাল লাগেনা, কিন্তু কিন্তু অতি দুখের সাথে বলিতে হয়, বি্বাহ অনেকে করেছেন, কিন্তু সুখী কয়জন???
আমার বন্ধুদের বিবাহিত জীবনের অনেক কথা শুনেছি, একজন ছেলে ও মেয়ে বিবাহিত জীবনে যত টুকু প্রত্যাশা করে বাস্তাবে তার কোন মিল নেই, অবিবাহিতদের জীবনে একটাই স্বপ্ন সুন্দর দম্প্যত জীবন, কিন্তু বাস্তবতা অনেক ফারাক দেখা যায়, অপুরুন স্বপ্ন, ইচ্ছা শক্তির পরাধীনতা, প্রত্যাশিত জীবনের অবস্তবতা, দাম্পত্য জীবনে দুঃখ কষ্ট এনে দেয়, ফলে সমাজে পরকীয় প্রেমের উৎথ্যান ঘটে, অসুখী দাম্পত্যরা মনের সু্প্ত বাসনা গুলি পূরন করার জন্য পরকীয়তা লিপ্ত হয়, ফলে আমাদের সামাজে নানা অঘটন ঘটছে।
ভাষন দিয়া লাভ নাই, ভাষন দেওয়া জ্ঞানীদের কাজ, আমি দাম্পত্য জীবনের জন্য কিছু টিপস্ দিতে পারি।
১। বিয়ের আগে ভাবুন কি রকম মেয়েকে আপনি জীবনর জন্য সবচে উপযুক্ত।
২। আপনার যোগ্যতা অনুযায়ী মেয়ে নির্বাচন করুন।
৩। ভুলে ও আপনার চাইতে বেশী শিক্ষিত, বেশি ধনী মেয়ে বিয়ে করবেন না, হয়তো তার জন্য সারা জীবন পস্তাতে হবে, (কানে কানে বলি আপনার চাইতে বেশী শিক্ষিত, ও বেশী ধনী হলে তার টেম্পার হবে ১২০ ডিগ্রীর উপড়, অবশ্যই সব মেয়ে একরকম না)
৪। বাসর রাতে অবশ্য বিড়াল মেরেছেন তো??? নাকি বিড়ালে জ্বালায় এখনো জ্বলছেন, না মেরে থাকলে নিচের মেনুটি অনুসরন করুন।
৫। বউয়ের কাছে আপনার দূর্বল দিক গুলি কোনটি, তা নির্বাচন করুন। যতদূর সম্ভব দূর্বলতা কাটিয়ে উঠুন, বউয়ের কাছে কোন দূর্বলতা আপনার মানসিক ও শারীরকতার উপড় প্রভাব পড়ে, যা ভবিষ্যতের জন্য মারাত্নক ক্ষতি কর,
৬। নিজের মনে অন্য কোন মেয়ের স্থান দিবেন না, মনে রাখবেন আপনি যতই চালাক হোন না কেন, অন্য মেয়ের সাথে সর্ম্পক একদিন না একদিন আপনার স্ত্রী জানবেনই, (কানে কানে মেয়েরা খুব সন্দেহ প্রবন আপনাকে সব সময় চোখে চোখে রাখে)
৭। স্ত্রী কে প্রচুর ভালবাসা দিন, তার ভাল লাগা দিক গুলি গুরুত্ব দিন, দেখবেন সে ও আপনার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে উঠবে।
৮। মেয়েরা স্বামীর সাথে বেড়াতে ভালবাসে, অতএব, অল্প খরচে অধিক সময় থাকা যায়, এমন স্থান র্নিবাচন করুন, (যদি টাকা পয়সার টানাটানী থাকে)
৯। আপনি রাতে ঘুমান কি ভাবে??? সব সময় বউকে জড়িয়ে ঘুমাতে চেষ্টা করুন, (যদিও ডিজিটাল দেশে বিদু্ৎ সমস্যার কারনে গরমে রাতে ঘুমানো কষ্ট কর)
১০। ঐ কাজের পর বউয়ের কাছ থেকে ১০০ হাত দুরে চলে যাবেন না, তাকে বুকে জড়িয়ে বিশ্রাম নিন, এতে ভালবাসা বাড়ে। (পরীক্ষিত)
১১। রাস্তা ঘাটের এবং বাসে ঢিল ছোড়া বিজ্ঞাপনের প্রতি কি আপনার দূর্বলতা আছে ( আই মিন বিশেষ অঙ্গের দুর্বলতা) স্ত্রীর সাথে ঐ সময় যদি ক্ষনস্থায়ী হয়, তবে মানসিক ভাবে ধীঢ়তার প্রস্তুত থাকুন, যখন মনে হবে আপনি ফেল মারতাছেন, তখনি বন্ধ করে স্ত্রীকে চুম্মন, লেহন, আদর করুন, অথবা হালকা, মজা করুন, তার পর আবার শুরু করুন। (এটাও পরীক্ষিত)
১২। বিয়ের আগে যাই বলুন না কেন, বিয়ের পর কিন্তু কখনো বউকে বলতে যাবেন না, তুমিই আমার সব, তুমি ছাড়া জীবনে আমার কিছু, নেই,
( এই সব কইছেন তো মরছেন, বউ য়ের টেম্পার বেড়ে যাবে, এখন ঠেলা সামলান, আমি এর ভিতর নাই,)
১৩। পারতো পক্ষে বউয়ের দূর্বলতা নিয়ে কথা বলবেন না, তা হলে বউ খুব মন খারাপ করবে ফলে মেজাজ সব সময় খিটখিটে থাকবে।
১৪। অযথা সন্দেহ করনে না, যদি সন্দেহ যুক্ত কিছু ধরা পড়ে তবে বউ কে কিছু না বলে তদন্ত করুন, (আবার তদন্ত প্যনেল গঠন করবেন না, কারন যদি মিথ্যা সন্দেহ হয় তবে লজ্জার শেষ থাকবে না, বউ য়ের খোটা শুন বেন আজিবন ফ্রি) সন্দেহ হলে প্রমান হাতে নিয়ে বউ কে রিমান্ডে নিন, জিঙ্ঘ্াসা বাদ করুন, যদি যথা যথ উত্তর না দিতে পারে, বেধম মার দিন, চোখের পানিতে ভুলবেন না, মাইরের উপড় কোন উষুদ নাই( মার তে মারতে আবার অজ্ঞান কইরেন না, মেয়েরা খুব আবেগ প্রবন, সুতরাং মাইরের পর কোন অঘটন ঘটারে পারে সে দিকে খেয়াল রাকুন, বাপের বাড়ি যেতে দিবেন না,) পরদিন বউকে নিয়ে কোন রেষ্টুরেনটে খেতে যান, এবং বউকে বুঝান আপনি তাকে কত ভালবাসেন, অতীতের ভালবাসার দিক গুলি উপস্থাপন করুন, পারলে তাকে নিয়ে সুন্দর কোথাও বেড়াতে যান,
এর পর ও যদি বউয়ের প্রেমিকা আছে এমন প্রমান পান, ছাইরাদে মা কান্দা বাচি, এ মেয়ে আপনার জীবনের জন্য নয়, সে তার প্রেমিকের অতএব অন্যর বউ নিয়া নিজের জীবনে অশান্তি এনে লাভ কি???
"একলা চলরে " অনুসরন করুন, জীবন নিয়ে নতুন করে ভাবুন,( এটা শুধু যাদের ছেলেমেয়ে নাই তাদের জন্য)
ঘুমে ধরছে আজ যাই আরেক পর্বে শেষ করুম, আমি আবার বাংলায় কাচা, লেখতে গেলে দুইডা কিবোর্ড ভাঙ্গন লাগে।