২০১১ সালের রোজার ঈদের কথা মনে পড়ছে। মাস দিন তারিখ কিছু মনে নেই। শুধু মনে আছে, তুমি আমার সাথে ছিলে। সকালে ঘুম থেকে উঠেছিলাম এক পেট ক্ষুধা নিয়ে। তারপর বাইরে বেরিয়েছিলাম খাবার খোঁজে। তখনও ঢাকার রেস্তোরাগুলো খুলেনি। একটা দুইটা পাঁচটা রেস্তোরা ঘুরে খাবার নিয়ে ফিরেছিলাম। খেয়েছিলাম একসাথে।
খাবার আনতে আনতেই তোমার যাওয়ার সময় হয়ে গেছে। মুরগীর স্যুপ আর পরোটার দুই এক লুকমা খেয়েই তোমার ফেরার তাড়া। আর আমার তাড়া তোমাকে আরো একবার কাছ থেকে দেখার।
আজ তিন বছর পর ওইদিনটার কথা মনে পড়ছে। আগের রোজার ঈদের পরও মনে পড়েছে। আজ একটু বেশি। পৃথিবীতে সব কিছুই ধ্বংসশীল- শুধু মনে পড়া ছাড়া। মনে পড়ার যন্ত্রণা ভোলা যায় না। অবশ্য তুমি মনে হয় ভুলতে পারো।
একটা সময় তোমাকে কাছে পেলেই ভয়ানক অহঙ্কারী হয়ে উঠতাম আমি। আজ আর সে সুযোগ নেই। এখন আমি যেকোনো ভাবে একটাবার তোমাকে দেখতে চাওয়ার পাগল। ছুঁতে না পারলে আপত্তি নেই। কণ্ঠ না শুনলে আপত্তি নেই। আপত্তি নেই তুমি আমার চোখে চোখ না রাখলেও...
যাবার সময় তো তুমি বলে গেছো, আমি নাকি ভালোবাসতেই শিখিনি। আসলেই তাই। তুমি শেখাওনি কেনো? আজ এই প্রশ্ন অর্থহীন। আজ অনেক কিছুই অর্থহীন। কিন্তু এই যে তোমাকে আমার মনে পড়া। এই স্মৃতির ধুলোপড়া পথ থেকে তোমার স্মৃতি কুড়ানো, এসব কি ভালোবাসা না? তুমি তো ভালোবাসা বুঝো, তুমি কি বলো?
আসলে কি জানো, এই যে মনে পড়া, তোমাকে মিস করা ভালোবাসা শেষ পর্যন্ত এই-ই। যে দিন তোমার পৃথিবীটা সম্পূর্ণ সঙ্কুচিত হয়ে আসবে, সেদিন হয়তো আমাকে মনে পড়বে তোমার। তখন দেখো, মিস করা ছাড়া ভালোবাসা বলতে কিছু আছে কিনা...